Gayatri Devi: কোচবিহারের রাজকন্যা, রুপের ছটায় যে কোনও বিশ্ব-সুন্দরীকেও হার মানাতেন গায়েত্রী দেবী, দেখুন ছবি

জয়পুর রাজপরিবারের রাজমাতা গায়ত্রী দেবী ২৩মে ১৯১৯-এ লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা জিতেন্দ্র নারায়ণ ছিলেন কোচবিহারের যুবরাজের ছোট ভাই। তাঁর মা ছিলেন বরোদার রাজকন্যা ইন্দিরা রাজে।

ঘোড়ায় চড়া, পোলো খেলা, শিকার করতে পছন্দ করতেন তিনি। কলকাতায় এমনই এক পোলো ম্যাচ দেখতে গিয়ে জয়পুরের মহারাজা সওয়াই মান সিং-এর সঙ্গে দ্বিতীয়ের দেখা হয় তাঁর। দ্রুত প্রেমে পড়ে যান দুজন। তিনি যখনই লন্ডন যেতেন, গায়ত্রী দেবীর সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। ছয় বছর প্রেমের পর অবশেষে ১৯৪০ সালের ৯ মে বিয়ে করেন দুজনেই।

বিয়ের পরও তিনি একই রাজকীয় কায়দায় জীবনযাপন করতে থাকেন। দাবি করা হয় যে গায়েত্রী দেবী এত সুন্দরী ছিলেন যে তাঁর মেকআপের প্রয়োজন হত না৷ মানসিক দিক থেকেও তিনি ছিলেন উদার৷ কখনও নিজেকে আড়ালে রাখেননি৷ মেয়েদের শিক্ষার জন্য জয়পুরে একটি স্কুলও স্থাপন করেছিলেন।

বিখ্যাত ভোগ (Vogue)ম্যাগাজিন বিশ্বের দশজন সুন্দরীর তালিকায় গায়ত্রী দেবীকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

গায়ত্রী দেবী রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর, যখন সি রাজাগোপালাচারী স্বাধীন পার্টি গঠন করেন, ১৯৬২ সালে, তিনি জয়পুরের লোকসভা আসন থেকে সর্বাধিক সংখ্যক ভোটে জয়ী হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা ছিল। ১৯৬৭এবং ১৯৭১সালের নির্বাচনেও, গায়ত্রী দেবী স্বতন্ত্র পার্টির টিকিটে জয়পুর সংসদীয় এলাকা থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন।

তবে রাজমাতার জীবনে সুখের পাশাপাশি দুঃখও ছিল প্রচুর৷  ১৯৭০ -এ স্বামী সওয়াই মানসিং এর মৃত্যু হয়৷ কিছুদিন পরে, ১৯৭৭সালে, তাঁর একমাত্র পুত্র জগৎ সিং অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে মারা যান। স্বামীর মৃত্যু এবং সন্তানের মৃত্যুশোকে খুবই ভেঙে পড়েন গায়েত্রীদেবী৷ 

ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থার সময় গায়ত্রী দেবী তিহার জেলেও কিছু সময় কাটিয়েছিলেন। সেখান থেকে মুক্তির পর তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নেন।

গায়ত্রী দেবী, যিনি সর্বদা সমাজসেবা এবং মানুষের ভালবাসায় ব্রতী ছিলেন, ২৯জুলাই  ২০০৯-এ জয়পুরে মারা যান৷ তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০বছর৷