Jammu and Kashmir: মেঘের সমুদ্রে ভাসছে ব্রিজ... এবার এখানেও বেড়াতে যেতে পারবেন আপনি, ব্যবস্থা করছে রেল
- Published by:Satabdi Adhikary
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
১২০ বছর ধরে টিকে থাকার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এই ব্রিজ৷ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রেনের গতি সহ্য করতে পারে। এটি রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারবে৷ এছাড়াও, ৪০ টন টিএনটি-র সমান উচ্চ-তীব্রতার বিস্ফোরণও সহ্য করতে পারবে এই সেতু। এর ইস্পাত কাঠামো -২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা এবং ঘণ্টায় ২৬৬ কিমি বেগে বাতাস সহ্য করতে পারবে।
নয়াদিল্লি: ঠিক যেন রূপকথার সিনেমা থেকে উঠে আসা দৃশ্য৷ এবার এখানেই বেড়াতে যেতে পারবেন আপনি৷ আগামিদিনে ভারতীয় রেলের হাত ধরে চেনাব রেল সেতু হয়ে যেতে পারে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন ক্ষেত্র। তিন বছর আগেই গোল্ডেন জয়েন্টের কাজ শেষ হয়েছে চেনাব রেল সেতুর। এর পর ধাপে ধাপে বাকি কাজ শেষ হয়ে যায়। সমস্ত ধরণের ট্রায়াল রান শেষ। ছুটবে এবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এবার এই সেতুকে ঘিরে একাধিক পরিকল্পনা নিচ্ছে রেল।
advertisement
advertisement
advertisement
প্রথমত কউরিতে ভারতীয় রেলের, নর্দান ডিভিশনের তরফে একটি গেস্ট হাউজ তৈরি করা আছে। আপাতত, এই জায়গা ব্যবহার করেন চেনাব রেল প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি চেনাব যা চন্দ্রভাগা নদী নামেও পরিচিত, তার পাশে রয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের একাধিক ঘর।চেনাব সেতু, ভারতীয় রেলের হাতে তুলে দেওয়ার পরে এই সব জায়গা ফাঁকা হয়ে যাবে। আর এই সব পরিকাঠামোকে ব্যবহার করেই ভারতীয় রেল চাইছে এখানে পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা করা হোক।
advertisement
নর্দান রেলের চিফ অ্যাডমিন অফিসার জানিয়েছেন, “নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের তরফে আমাদের কাছে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এই প্রস্তাবও আছে। এই গোটা যাত্রা পথটাই একটা দারুণ রোমাঞ্চকর ব্যাপার। সেখানে অবশ্যই আমরা আমাদের তরফ থেকে দেখব। এই গোটা প্রকল্পের বিষয়ে জম্মু প্রশাসনও জানে। তাই আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলব।” নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনসের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর, গিরিধর রাজাগোপাল জানিয়েছেন, “আমরা সেতুর কাজ করেছি। আমরা একাধিক প্রস্তাব দিয়েছি।”
advertisement
সূত্রের খবর, চেনাব রেল সেতুর কাছে একটা রেল মিউজিয়াম বানানো। একটা ক্যাফেটেরিয়া। আর এই পরিকাঠামো ব্যবহার করে যদি গেস্ট হাউজ বা রিসর্ট বানানো যেতে পারে। ফলে যারা বৈষ্ণোদেবী আসেন। তারা সহজেই সেখান থেকে চেনাব চলে আসতে পারবেন। এর ফলে একদিকে যেমন এলাকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলাবে। তেমনি একটা রেলসেতুকে কেন্দ্র করে নয়া পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে।
advertisement