Jagdeep Dhankhar Resignation: খাড়্গের সঙ্গে দেখা..কেজরির সঙ্গে সাক্ষাৎ! আর সেই ফোন কল..ছিল কফিনে শেষ পেরেক, কেন ইস্তফা দিতে হল ধনখড়কে?
- Published by:Satabdi Adhikary
Last Updated:
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভর্মার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণে পুড়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার হয়৷ সে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত রিপোর্টও জমা পড়েছে ৷ জুলাইয়ের চলতি বাদল অধিবেশনে তাঁর ইমপিচমেন্ট চেয়ে সংসদে প্রস্তাব আনতে চলেছেন প্রায় ২০০ সাংসদ৷
গত ১৫ জুলাই উপ রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তরফে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের সঙ্গে জগদীপ ধনখড়ের একটি ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিও শেয়ার করা হয়েছিল৷ ভিডিওটি ভি পি কনক্লেভের৷ অন্যদিকে, জগদীপ ধনখড় গত রবিবার সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু করার একদিন আগে আম আদমি পার্টির (এএপি) মূখ্য আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সাথেও দেখা করেন৷ সেই সাক্ষাতের ছবিও পোস্ট করেন তিনি। এক্ষেত্রে, মনে রাখা প্রয়োজন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল কিন্তু কোনও সাংসদ নন৷ তাহলে হঠাৎ কেন সাক্ষাৎ?
advertisement
advertisement
বিষয়টি ২০২৪ সালের একেবারে উল্টো ছবি বলে মনে করা হচ্ছে৷ সেইসময় বিরোধী দলনেতারা ধনখড়ের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করার অভিযোগ এনেছিলেন৷ তারপরে গত মার্চ মাসে হৃদরোগের সমস্যার জন্য ধনখড়কে এইমসে ভর্তি হতে হয়েছিল৷ তারপর ঘটে সেই ঘটনা...জাস্টিস ভার্মার বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণে নগদ পোড়া টাকা উদ্ধার৷ যা বদলে দিল ধনখড়-বিজেপির অন্তর্বর্তী সমীকরণ৷
advertisement
advertisement
আজীবন আরএসএসের সদস্য জগদীপ ধনখড়কে পশ্চিমবঙ্গের ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে এ রাজ্যের রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ একুশের বিধানসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয় ধনখড়ের নাম৷ এর মাঝে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে পদে পদে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছিল তাঁর৷
advertisement
কিন্তু, উপ রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের মনে হয়েছিল তিনি এমন কিছু বিষয়ে নাক গলাচ্ছেন, যা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে৷ এর মধ্যে অন্যতম হল নগদ কাণ্ডে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার ইমপিচমেন্ট নিয়ে প্রচার৷ শোনা যায়, এ নিয়ে রাজ্যসভার সাংসদদের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন ধনখড়৷
advertisement
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার আবার বিচারপতি ভর্মার ইমপিচমেন্ট নিয়ে বিশেষ উৎসাহী নয়৷ কারণ, সম্প্রতি CNN-News18-এর একটি অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন সরকারের কাছে এবিষয়ে কোনও প্রস্তাব নেই। কিন্তু বিচারপতি ভর্মার ইমপিচমেন্ট নিয়ে জগদীপ ধনখড়ের ঘন ঘন প্রকাশ্যে মতপ্রকাশ ভাল চোখে দেখছিল না কেন্দ্র৷ জগদীপ ধনখড় বারবার সমালোচনা করছিলেন যে বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে কেন এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে এটি তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত বিষয় ছিল বলে মনে করছিল অনেকে৷
advertisement
সূত্রের খবর, ধনখড়ের পদত্যাগের শেষ কারণ লুকিয়ে রয়েছে সোমবার সন্ধ্যায়৷ জানা গিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে কোনও প্রবীণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর টেলিফোনে প্রবল তর্কবিতর্ক হয়েছিল৷ ধনখড় বিচারপতি ভর্মার ইমপিচমেন্টের দাবি সংবলিত ৬৫ জন বিরোধী সাংসদের মহাঅভিযোগ প্রস্তাব কেন গ্রহণ করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে৷ সেই সময় ধনখড় রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে নিজের সাংবিধানিক এক্তিয়ারের কথা উল্লেখ করেন৷
advertisement
advertisement
রাজ্যসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা কম হওয়ায় মোদি সরকার এ বিষয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না বলে মনে করা হচ্ছে৷ সেই কারণে ধনখড়ের জায়গায় পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে একজন অনুগত বিজেপি নেতাকেই তাঁরা মনোনীত করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অন্য একজন সিনিয়র মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী অথবা রাজ্যসভার সিনিয়র বিজেপি সাংসদসহ বেশ কয়েকটি নাম আলোচনায় রয়েছে। পরবর্তী উপরাষ্ট্রপতি পাঁচ বছরের পূর্ণ মেয়াদ পাবেন। ৬০ দিনের মধ্যে নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক।