শিলঙে পর্যটক খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে একটি বড়সড় চক্রের হাত, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ! বিস্ফোরক দাবি করলেন মৃত রাজার ভাই
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indore Honeymoon Couple Shillong News: বিপিনের দাবি, শিলঙে তাঁদের সঙ্গে একটা ভয় এবং চাপের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। এমনকী, অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে প্রশাসন কোনও সহযোগিতাও করেনি। এখানেই শেষ নয়, বিপিন আরও গুরুতর অভিযোগ করে জানান যে, শিলঙে একটি বড়সড় চক্র সক্রিয় রয়েছে। যারা পুরুষ পর্যটকদের খুন করে তাদের স্ত্রী অথবা মহিলা সঙ্গীদের বিক্রি করে দেয়।
মধুচন্দ্রিমায় শিলঙে গিয়েছিলেন ইনদওরের সদ্যবিবাহিত দম্পতি রাজা রঘুবংশী এবং সোনম। সেখানে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। পরে অবশ্য রাজা রঘুবংশী নামে ওই যুবকের দেহ খুঁজে পাওয়া গেলেও তাঁর স্ত্রী এখনও নিখোঁজ। এই ঘটনাটি গোটা এলাকা তথা সারা দেশেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই অবশ্য শিলং প্রশাসন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশী। ফলে তিনি এই ঘটনায় সিবিআই-এর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
advertisement
বিপিনের দাবি, শিলঙে তাঁদের সঙ্গে একটা ভয় এবং চাপের পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল। এমনকী অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে প্রশাসন কোনও সহযোগিতাও করেনি। এখানেই শেষ নয়, বিপিন আরও গুরুতর অভিযোগ করে জানান যে, শিলঙে একটি বড়সড় চক্র সক্রিয় রয়েছে। যারা পুরুষ পর্যটকদের খুন করে তাদের স্ত্রী অথবা মহিলা সঙ্গীদের বিক্রি করে দেয়। তিনি আরও বলেন যে, গত মাসেই শিলং থেকে এক যুগল নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় পুলিশ কোনও অভিযোগ নিতে চায়নি।
advertisement
এফআইআর নিতে অস্বীকার: শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি এক বিদেশি নাগরিককে সেখানে খুন করা হয়েছিল। তাঁর দেহ এখনও দেশে পাঠানো হয়নি। বিপিনের দাবি, রাজার মৃত্যুর পর যখন তিনি থানায় গিয়েছিলেন, তখন তাঁকে একটি টাইপিং সেন্টারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ নিতেও অস্বীকার করেছিল। পরে যখন বিপিন চাপ দেন, তখন রাত ৮টা নাগাদ একটি এফআইআর গ্রহণ করে পুলিশ।
advertisement
অপহৃত সোনম: বিপিন আরও বলেন যে, রাজাকে খুনের পর থেকেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী সোনমের। বিপিনের সন্দেহ, অপহরণ করা হয়েছে সোনমকে। তাই তিনি দাবি করেন যে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সোনমকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হোক। আর এই ঘটনায় জড়িত বলে যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই সন্দেহভাজনদের এখনও পর্যন্ত কোনওরকম জিজ্ঞাসাবাদ করেনি শিলং পুলিশ।
advertisement
কিন্তু কারা এই সন্দেহভাজন: রাজা-সোনমকে যে ব্যক্তি গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন, তাঁর উপরেই সন্দেহের তির মৃতের ভাই বিপিনের। এছাড়াও সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন স্থানীয় গাইড এবং হোটেলের মালিকও। এখানেই শেষ নয়, সন্দেহের তির রয়েছে সেই চা-বিক্রেতার উপর, যাঁর দোকান থেকে শেষ বার চা পান করেছিলেন ওই নববিবাহিত দম্পতি।
advertisement
শিলং পুলিশ-প্রশাসনের উপর চাপ: বিপিন অভিযোগে আরও জানান যে, স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আসলে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষের চাপ রয়েছে পুলিশ এবং প্রশাসনের উপর। এই ঘটনার তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকার এবং মেঘালয়ের গভর্নরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিপিন। তাঁর আরও দাবি, সঠিক তদন্তের জন্য এই মামলাটি সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়া হোক।