Indian Railways News: প্রত্যেক দিন ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে টিকিট পরীক্ষা করত সে, এরপর একদিন টিকিট চাইতেই হল খেল খতম…! তাজ্জব তদন্তকারীরাও
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railways News : সন্দেহও হত না যাত্রীদের, তাকে সাধারণ টিকিট পরীক্ষক বলেই মনে করতেন তাঁরাও। কিন্তু তারপর যা হল... সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যাত্রীরা। আসলে ওই ব্যক্তি একাধিক শহরে একের পর এক রেলস্টেশনে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু এবার ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের খেলা শেষ!
প্রায় প্রতিদিনই সে পৌঁছে যেত রেলস্টেশনে। পরনে থাকত কালো কোট। হাতে থাকত কলমও। আর যাত্রীদের দেখলেই টিকিট চাইত সে। আর এই প্রশ্নে কোনও যাত্রী ঘাবড়ে গেলেই শুরু হত আসল খেলা। টিকিট না থাকলে কিংবা টিকিটে ভুল থাকলেই যাত্রীর মুখের সামনে তুলে ধরত একটি কিউআর কোড। বলত, জরিমানা দিতে হবে। আর এখানেই সেটা দিতে হবে। সন্দেহও হত না যাত্রীদের, তাকে সাধারণ টিকিট পরীক্ষক বলেই মনে করতেন তাঁরাও। কিন্তু তারপর যা হল... সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি যাত্রীরা। আসলে ওই ব্যক্তি একাধিক শহরে একের পর এক রেলস্টেশনে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু এবার ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকের খেলা শেষ!
advertisement
সম্প্রতি ওই ভুয়ো টিকিট পরীক্ষককে গ্রেফতার করেছে আহমেদাবাদ রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (আরপিএফ)। ওই ব্যক্তি ট্রেনে টিকিট পরীক্ষা করার নামে একটি কিউআর কোড দিত। যা স্ক্যান করিয়ে যাত্রীদের থেকে টাকা নিত সে। তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তের নাম শিবশঙ্কর জয়সওয়াল। উত্তরপ্রদেশের বারাণসী জেলার বাসিন্দা সে। এই তথ্য পাওয়ার পরেই আরপিএফ-এর একটি দল খুবই সন্তর্পণে তদন্ত শুরু করেছিল। এরপর আহমেদাবাদ রেলস্টেশন থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়েছে। গ্রেফতারির সময় শিবশঙ্করের কাছে কোনও বৈধ রেলওয়ে আইডি অথবা পরিচয় পত্র পাওয়া যায়নি। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সময় নিজের অপরাধ কবুল করেছে অভিযুক্ত।
advertisement
টিকিট না থাকলেই খেল শুরু হত ভুয়ো টিটিই-র: তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে যে, সাধারণত কম শিক্ষিত, শ্রমিক শ্রেণী এবং গ্রামাঞ্চলের যাত্রীদেরই নিশানা করত শিবশঙ্কর। নিজেকে টিটিই বলে পরিচয় দিয়ে টিকিট চাইত সে। কোনও যাত্রীর কাছে যদি ওয়েটিং টিকিট থাকে, তাহলে তাঁকে অভিযুক্ত বলত যে, একটু বেশি টাকা দিলেই বার্থ কনফার্ম করিয়ে দেওয়া হবে। (Representative/File Image)
advertisement
বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা যাত্রীদের উদ্দেশ্যে শিবশঙ্কর বলত যে, তাঁদের কাছ থেকে জরিমানা নেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে কিউআর কোড দেখিয়ে জরিমানা পরিশোধ করার নির্দেশ দিত সে। এদিকে ওই কিউআর কোডটি তারই ই-ওয়ালেটের সঙ্গে লিঙ্ক করা ছিল। এতে সরাসরি যাত্রীদের পাঠানো টাকা অভিযুক্তের অ্যাকাউন্টে চলে যেত। (Representative/File Image)
advertisement
একাধিক রাজ্যে ছিল শিবশঙ্করের বিচরণ: শুধুমাত্র আহমেদাবাদেই এই কাণ্ড ঘটায়নি অভিযুক্ত। দেশের বিভিন্ন শহরের ভিন্ন ভিন্ন রেলস্টেশনে ছিল তার অবাধ বিচরণ। এই তালিকায় রয়েছে দিল্লি, কানপুর, ভোপাল এবং নাগপুর। প্রত্যেকটি জায়গাতেই সে কিছু দিনের জন্য ঠাঁই নিত। তারপর রেলকর্মী সেজে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করত। তারপরে সেই শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেত। (Representative/File Image)