জননেতা করেছিল কংগ্রেস, বিজেপি দিল মুখ্যমন্ত্রীর আসন, অসমের 'কালো ঘোড়া' হিমন্ত বিশ্বশর্মা

বয়স ৫২। রাজনীতি তাঁর নিশ্বাসে প্রশ্বাসে। সংগঠন আর মানুষের জন্য কাজ, এই দুয়ের জোরেই তাঁর গগণচুম্বী খ্যাতি। সেই সর্বজনমান্যতার জোরেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক তাঁর রাজনৈতিক উত্থানের চিত্রনাট্যটি।

ছাত্রাবস্থা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে নাছোড় সম্পর্ক তাঁর। গোটা আশির দশক অল অসম স্টুডেন্ট ইউনিয়নের দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সেরেছেন। আইন নিয়ে পড়েছেন গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়েই। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল-f North Eastern Council : A Structural and Functional Analysis

নব্বই দশকের মাঝামাঝি মূল ধারার রাজনীতিতে প্রবেশ করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। প্রথম নির্বাচনে লড়াইয় জালুকবাড়ি থেকে ১৯৯৬ সালে হিমন্ত বিশ্বশর্মা হেরে যান। ২০০১ সাল থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বারবার তিনবার। হ্যাট্রিক করেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

২০০২ সালে কৃষিমন্ত্রকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৬ সাল থেকে টানা দুবার সামলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ২০১১ সালে এরই সঙ্গে তাঁকে শিক্ষা ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়।

২০১৪ সালে তরুণ গগৈয়ের মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়ে আসেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। পরের বছর বিজেপিতে যাত্রা শুরু তার। ২০১৫ সালে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে জয়ী হন। ২০২১ ধরলে হিমন্ত বিশ্বশর্মা জালুকবাড়ি আসন থেকেই লড়াই করেছেন মোট পাঁচ বার।

রবিবার গুয়াহাটিতে বিজেপির পরিষদীয় বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সর্বানন্দ সোনওয়ালের পরিবর্তে তাঁর নামই উঠে এসছে। হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দিল্লির নেতাদের সম্পর্কও ঘনিষ্ঠ সাংগঠনিক ভাবেও তিনি অত্যন্ত পারঙ্গম, ফলে পাল্লা ভারি ছিল তাঁর দিকেই।