

রাত পোহালেই সাধারণতন্ত্র দিবস। এই দিনে আমরা অনেকেই পতাকা উত্তোলন করি, কুচকাওয়াজে অংশ নিই বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকি। কিন্তু এই দিনের তাৎপর্য অনেকেরই আজও অজানা। আজও বহু মানুষ সাধারণতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসের মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন। কিন্তু এই দুই দিনের বিস্তর ফারাক। Photo-PTI


সাধারণতন্ত্র দিবস ও তার তাৎপর্য৭১ বছর আগে ২৬ জানুয়ারি দিনটিতে ভারতীয় সংবিধান স্বীকৃতি পেয়েছিল এবং বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভারত। তবে, এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল ১৯৩০ সাল থেকেই।Photo-PTI


১৯২৯ সালের শেষ দিন জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) নেতৃত্বে পূর্ণ স্বরাজের শপথ ঘোষণার পর ১৯৩০ সালে ২৬ জানুয়ারি দিনটিকেই স্বাধীনতা দিবস বা পূর্ণ স্বরাজ দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু পরে যখন সত্যিই স্বাধীনতা আসে তখন ১৫ অগস্ট দিনটিতে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। যার ফলে ২৬ জানুয়ারির গুরুত্ব পালটায়।Photo-PTI


দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বি আর আম্বেদকরের (B. R. Ambedkar) নেতৃত্বে একটি কমিটি ভারতের সংবিধান রচনা শুরু করে। প্রায় ২ বছর ১১ মাস পর সেই কাজ শেষ হয়। সংবিধান কার্যকরের জন্য ২৬ জানুয়ারি দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়। ১৯৫০ সালে ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয় এবং সেদিন থেকে একই ভাবে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।Photo-PTI


কী ভাবে সাধারণতন্ত্র দিবস পালিত হয়?সাধারণতন্ত্র দিবস পালনে প্রতি বছরই একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর বুকে চলে কুচকাওয়াজ।Photo-PTI


প্রথমে অমর জওয়ান জ্যোতি গেটে পুস্পস্তবক ও মাল্য দান করে দেশের বীর যোদ্ধাদের স্মরণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর পর রাষ্ট্রপতি পতাকা উত্তোলন করেন। শুরু হয় প্যারেড। ভারতীয় সেনার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে শুরু হয় সমগ্র অনুষ্ঠান।Photo-PTI


প্রতি বছরই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য বিষয়টি উঠে আসে। বিভিন্ন রাজ্যের সংস্কৃতি তুলে ধরে ট্যাবলো সাজিয়ে তোলা হয়। থাকে ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড এবং বিভিন্ন স্টান্ট।Photo-PTI


অনুষ্ঠানে শোভা বাড়াতে প্রতি বছরই দেশ-বিদেশের নানান ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। আমন্ত্রিত থাকেন রাষ্ট্রপ্রধানরাও। Photo-PTI


সাধারণতন্ত্র দিবস ২০২১করোনাভাইরাস (Coronavirus) প্যানডেমিকের জেরে পালটাচ্ছে সাধারণতন্ত্র দিবসের বহু পুরনো প্যারেডের চিত্র। আগামীকাল ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো প্যারেডের আয়োজন হয়েছে রাজপথে। কিন্তু করোনার কথা মাথায় রেখে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কুচকাওয়াজে অনেকটাই পরিবর্তন করা হয়েছে। কমছে প্যারেডের রুট, কমছে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি। পাশাপাশি উপস্থিত থাকছেন না কোনও প্রধান অতিথি।Photo-PTI