Couple Missing in Meghalaya: পাচার করে দিয়েছে? কোথায়...মেঘালয় কাণ্ডে ভয়ঙ্কর অভিযোগ! এতদিন পরে মুখ খুললেন মেয়েটার ভাই
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
গত ২৩ মে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ইনদওরের দম্পতি রাজা এবং সোনম রঘুবংশী৷ ১১ দিন পরে ওয়াইসে দং ঝরনার কাছে একটা গভীর খাত থেকে উদ্ধার হয় রাজার পচাগলা দেহ৷ পাশে বড় একটা কাটারি এবং মেয়েদের সাদা শার্ট৷ একটা স্ক্রিন ভাঙা মোবাইলও পাওয়ার গিয়েছে সেখান থেকে৷ কিন্তু, নিখোঁজ হওয়ার পরে ১৪ দিন কেটে গেলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি মেয়েটির৷
মেঘালয়: অসমের গুয়াহাটি যাবে, কামাখ্যা মন্দিরও দর্শন করতে পারে৷ এসব জানা ছিল৷ কিন্তু, ইনদওরের সদ্য বিবাহিত দম্পতি রাজা এবং সোনম যে কী করে শিলং চলে গেলেন তা বুঝেই উঠতে পারছেন না সোনম রঘুবংশীর পরিবার৷ এখানেই শেষ নয়, শুধু শিলংয়ে গেলেও নয় কথা ছিল, তারা ট্রেক করতে গেল ডাবল ডেকার লিভিং রুট ব্রিজের কঠিন পাহাড়ি জঙ্গলের রাস্তায়, তা ভেবেই পাচ্ছেন না সোনমের বাবা এবং ভাই৷
advertisement
গত ২৩ মে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ইনদওরের দম্পতি রাজা এবং সোনম রঘুবংশী৷ ১১ দিন পরে ওয়াইসে দং ঝরনার কাছে একটা গভীর খাত থেকে উদ্ধার হয় রাজার পচাগলা দেহ৷ পাশে বড় একটা কাটারি এবং মেয়েদের সাদা শার্ট৷ একটা স্ক্রিন ভাঙা মোবাইলও পাওয়ার গিয়েছে সেখান থেকে৷ কিন্তু, নিখোঁজ হওয়ার পরে ১৪ দিন কেটে গেলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি মেয়েটির৷
advertisement
বাড়ির মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার এতদিন পরে অবশেষে মুখ খুলল তাঁর পরিবার৷ শিলং পুলিশের তল্লাশি অভিযানে ক্রমাগত দেখা গিয়েছে সোনমের ভাই গোবিন্দ রঘুবংশীকে৷ কিন্তু, প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখা যায়নি৷ শুক্রবার গোবিন্দ বলেন, ‘‘আমার ভিতর থেকে একটা অনুভূতি হচ্ছে যে, আমার বোন সোনম বেঁচে আছে।’’ গোবিন্দ বলেন যে, ‘‘পুলিশ বর্তমানে মৃতদেহের খোঁজ করছে৷ কিন্তু আমার অনুরোধ হল আমার বোনকে খুঁজে বের করা হোক৷ তাঁকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যাবে।’’ ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
গোবিন্দ বলেন, ‘‘রাজার মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গেছে, সেখানে এসডিআরএফ এবং এনডিআরএফ তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। এমনকি সোনমের মোবাইলও নিখোঁজ। তার কাছে দুটি মোবাইল ছিল, দুটির কোনও তথ্য কারও কাছে নেই।’’ পুলিশ জানিয়েছে যে, শিলংয়ের ডাবল ডেকার রুটে রাজা এবং সোনমের শেষ লোকেশন খুঁজে পাওয়া গেছে।
advertisement
সোনম তাঁর ভাই গোবিন্দের সাথে শেষ কথা বলেছিল ২০ মে। তারপর থেকে মধ্যে আর যোগাযোগ হয়নি। গোবিন্দ বলেন যে, ‘‘সোনম এবং রাজা আসামের গুয়াহাটি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু কেউ জানে না ওরা কীভাবে শিলং পৌঁছে গেল৷ কেউ জানেন না কখন ওরা এই প্ল্যান করল। আমরা কখনও শিলং যাইনি, হ্যাঁ, আমরা একবার কামাখ্যা দেবীর দর্শনে গিয়েছিলাম। আমরা এমনকি জানতামও না যে এই দুজন কীভাবে শিলং পৌঁছেছে।’’
advertisement
অন্যদিকে, রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশীর দাবি, সোনমকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, পুলিশ যেখানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেখানে সোনমকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ জানে সোনম কোথায়? সোনমকে অপহরণ করা হয়েছে। সেখানকার লোকেরা জানিয়েছে যে মেয়েদের অপহরণ করে বিক্রি করা হয়।’’ রাজা রঘুবংশীর বড় ভাই মানব পাচারের গুরুতর অভিযোগ করেছেন। তাঁর ইঙ্গিত, যেখানে সোনম-রাজার স্কুটি পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই বাংলাদেশ বর্ডার৷
advertisement
পুরো ব্যাপারটা কী?ইনদওরের দম্পতি রাজা এবং সোনম ২২ মে মধুচন্দ্রিমার জন্য শিলং গিয়েছিলেন। ২৪ মে সোনম তার শাশুড়ির সাথে শেষবারের মতো কথা বলেছিলেন। তারপর তাদের দুজনের ফোনই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ১০ দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর পাহাড়ে রাজার মৃতদেহ পাওয়া যায়, তার হাতে 'রাজা' ট্যাটু দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়, কিন্তু সোনম এখনও নিখোঁজ। রাজার গয়না এবং মানিব্যাগও নিখোঁজ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তে খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করেছে। পুরো মামলার তদন্তের জন্য একটি SIT গঠন করা হয়েছে। সোনমের খোঁজ এখনও চলছে।