Body Inside Suitcase: সুন্দরীর দেহ সুটকেসে, তোলপাড় করে ফেলল, তারপর সুটকেসই ধরিয়ে দিল, কী হয়েছিল নারকীয় ঘটনায়

সুটকেসে সুন্দরীর মৃতদেহ ঘিরে উত্তাল৷ এখন যেন খুন করা এবং সুটকেসে দেহ ভরে ফেললে আর ধরা পড়বে না দুষ্কৃতী এই ভাবনা নিয়ে কাজ করে থাকে৷ অথচ কংগ্রেস কর্মী হিমানি নারওয়ালের খুনের ঘটনায় এই সুটকেসই ধরিয়ে দিল হত্যাকারীকে এমনটাই জানা যাচ্ছে পুলিশ সূত্র থেকে৷

হিমানির খুনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হিমানীর খুনি পুলিশকে জানায়, সে হিমানীকে তার বাড়িতে খুন করে লাশ একটি স্যুটকেসে ভরে নিয়ে যায়। খুনি নিজেকে হিমানির প্রেমিক বলে দাবি করেছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে আরও জানায়, হিমানি তাঁর কাছে থেকে নিয়মিত টাকা দাবি করত, যার কারণে সে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিল। যে স্যুটকেসে হিমানির মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই সুটকেসের মাধ্যমে অভিযুক্ত প্রেমিকের কাছে পৌঁছতে পারে পুলিশ।

হিমানি নারওয়াল হত্যা মামলায় গঠিত SIT প্রধান ডিএসপি রজনীশ কুমার বলেছেন যে পুলিশ হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ক্লু পেয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইল ফোনও। বিশেষ করে যে সুটকেসে মৃতদেহ পাওয়া গেছে তা পরিবারের। পুলিশ নানা দিক থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। শীঘ্রই প্রকাশ করবে।

শনিবার রোহতকে একটি সুটকেসে তরুণীর দেহ পাওয়া যাওয়ার একদিন পরে, হরিয়ানা পুলিশ রবিবার হত্যা মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) গঠন করে। হরিয়ানা পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, 'আমরা একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি এবং আরও তদন্ত চলছে।'

নারওয়ালের পরিবার রবিবার তাঁর মৃতদেহ দাহ করতে অস্বীকার করেছিল, এই বলে যে তার হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা তার লাশ দাহ করবে না। নারওয়াল (২০) রোহতকের বিজয় নগরে থাকতেন। কংগ্রেসের হরিয়ানা ইউনিটের নেতারা নারওয়ালকে একজন সক্রিয় এবং নিবেদিত কর্মী হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায়ও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, নরওয়াল আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন এবং গত এক দশক ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

নারওয়ালের মা সবিতা রবিবার রোহতকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযোগ করেছিলেন যে অল্প সময়ের মধ্যে তার রাজনৈতিক উত্থানের কারণে কিছু কংগ্রেস নেতা নারওয়ালকে ঈর্ষান্বিত করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে যতীনও।

সবিতা বলেছিলেন, 'তাঁর (নারওয়ালের) উন্নতিতে ঈর্ষান্বিত পার্টির কেউ হতে পারে বা অন্য কেউ হতে পারে।' মৃতের মা বলেছিলেন, "আমি শেষবার নারওয়ালের সাথে কথা বলেছিলাম ২৭ ফেব্রুয়ারি। তিনি একটি পার্টি প্রোগ্রামে ব্যস্ত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু পরে তার ফোন বন্ধ হতে শুরু করে।

সবিতা বলেছেন, 'আমার মেয়ের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা শেষকৃত্য করব না।' রবিবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং হুডা বলেছিলেন যে তিনি হিমানি নারওয়াল হত্যা মামলার বিষয়ে রোহতকের পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছেন।