Jharkhand Assembly Election Results 2024: পাঁচ মন্ত্রে ফের ঝাড়খণ্ডের তখতে হেমন্ত! জেল থেকে ফিরে কী কী মাস্টারস্ট্রোক দিলেন সোরেন?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
ঝাড়খণ্ডে দাঁত ফোটাতে পারল না বিরোধী বিজেপি জোট। সব ঠিক থাকলে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে হেমন্ত সোরেনের জেএমএমের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার। ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫১টিতেই এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট।
'এভাবেও ফিরে আসা যায়', এটাই যেন সত্যি করে তুললেন হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডে দাঁত ফোটাতে পারল না বিরোধী বিজেপি জোট। সব ঠিক থাকলে ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে হেমন্ত সোরেনের জেএমএমের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার। ঝাড়খণ্ডের ৮১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫১টিতেই এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট। হেমন্ত সোরেন জিতছেন নিজেও। মহারাষ্ট্রে যেখানে গেরুয়া ঝড় উঠেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে ঝাড়খণ্ডের মানুষ কেন পুরনো সরকারের উপরেই আস্থা রাখল? এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু বিষয়ে তুলে ধরেছেন। প্রতীকী ছবি
advertisement
দুর্বল বিরোধী জোট- এই বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডে ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় স্তরে কোনও শক্তিশালী মুখ ছিল না। দলের মুখ্যমন্ত্রী মুখের দাবিদার হিসাবে উঠে এসেছিলেন দুইজন। বাবু লাল মারান্ডি এবং চম্পাই সোরেন। এরা দুইজনই দল বদলে বিজেপিতে এসেছিলেন। ফলে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেননি তারা। অন্যদিকে, চম্পাই সোরেন বা বাবুলাল মারান্ডির দ্বিগুণ জনপ্রিয়তা হেমন্ত সোরেনের। দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেও রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষই মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের উপরেই আস্থা রেখেছেন। প্রতীকী ছবি
advertisement
মহিলা ভোট ব্যাঙ্ক-এই বছরের জুলাই মাসে, জেলমুক্তির পর মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই তখন নিজের ভাবমূর্তি শোধরাতে মহিলাদের ভোট ব্যাঙ্কের উপরেই জোর দিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। পশ্চিমবাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আদলে রাজ্যের মহিলাদের জন্য 'মাইয়া সম্মান যোজনা' শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের প্রত্যেক মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে জমা পড়ত। ভোটের আগেই হেমন্ত সোরেন সেই অঙ্ক বাড়িয়ে ২৫০০ টাকা করে দেন। বিধানসভা ভোটে এই প্রকল্প 'বিশেষ ফ্যাক্টর' হয়ে উঠেছে। প্রতীকী ছবি
advertisement
আদিবাসীদের ক্ষোভ-ঝাড়খণ্ডের আদিবাসীদের মন জয় করতে চেষ্টার কোনও কসুর করেনি বিজেপি। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশে আদিবাসীরা জমি হারাচ্ছে বলেই নির্বাচনী প্রচারে গলা ফাটিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের মতো শীর্ষ নেতারা। কিন্তু, ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় একতরফাভাবে হেমন্ত সোরেনই জয়ী হচ্ছেন। নির্বাচনী সভায় একাধিকবার সংরক্ষণের মতো ইস্যুতে বিজেপিকে কোণঠাসা করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। আদিবাসীদের সংরক্ষণ নিয়ে বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করলেও রাজ্যপাল তাতে অনুমোদন দেননি। সেই ইস্যুকেই বারবার তুলে ধরেছিলেন হেমন্ত সোরেন। প্রতীকী ছবি
advertisement
হাতছাড়া কুড়মি ভোট-ঝাড়খণ্ডে কুড়মি ভোট পেতেও চেষ্টা চালিয়েছিল পদ্ম শিবির। কুড়মি ভোটের জন্য এজেএসইউ -এর সঙ্গে জোট বেঁধেছিল বিজেপি। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ডের কোলিয়ারি অঞ্চলে নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায় এই কুড়মিরাই। কিন্তু সুদেশ মাহাতোর দল মাত্র ২-৩টি আসনেই এগিয়ে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ভোটের বড় অংশই যাচ্ছে হেমন্ত সোরেনের ঝুলিতে। প্রতীকী ছবি
advertisement
ব্যর্থ পদ্ম শিবিরের তাবড় নেতারা-মহারাষ্ট্রে গেরুয়া ঝড় উঠলেও ঠিক বিপরীত ছবি দেখা গেল ঝাড়খণ্ডে। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির বড় নেতারা কেউই প্রভাব ফেলতে পারেননি। বোকারোয় পিছিয়ে রয়েছেন বিরাঞ্চি নারায়ণ। দেওঘরে নারায়ণ দাসও পিছিয়ে রয়েছে। গোড্ডার অমিত মণ্ডলও অনেক পিছিয়ে। জগন্নাথপুরের মধু কোডার স্ত্রীকেও পিছিয়ে থাকতে দেখা যায়। সব জায়গাতেই বিজেপিকে ব্যাকফুটে দেখা গিয়েছে। ফলে হেমন্ত সোরেনের ক্ষমতায় আসার পথ আরও মসৃণ হয়েছে। প্রতীকী ছবি