

হাতরস গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, টেলিভিশন চ্যানেলে করা বিভিন্ন মন্তব্যের বিরুদ্ধে অন্তত ১৯টিএফআইআর দায়ের হয়েছে৷ অভিযোগ করা হয়েছে, হাতরসের ঘটনাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতেই নাকি এইসমস্ত মন্তব্য করা হয়েছে৷ এমনও অভিযোগ করা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় করা নানা মন্তব্যের মাধ্যমেনির্যাতিতার পরিবারের উপরে চাপ সৃষ্টি করে পরস্পর বিরোধী বয়ান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে৷


একটি এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়েছে. 'হাতরস ঘটনার পিছনে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা এবংসরকারকে বদনাম করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে৷ পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পরেও সরকারের বিরুদ্ধেবয়ান দেওয়ার জন্য বোঝানো হচ্ছে৷ বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভাবমূর্তিখারাপ হয়, এভাবে সংবাদ উপস্থাপনা করা হয়েছে৷ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করারজন্য প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে৷'


এই ১৯টি এফআইআর-এর মধ্যে হাতরস পুলিশের দায়ের করা মূল এফআইআর-টিও রয়েছে৷ যেখানেঅজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে জাতি দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগ আনা হয়েছে৷ একই সঙ্গে দেশদ্রোহিতারমতো গুরুতর ধারাও যোগ করা হয়েছে৷


অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে চাঁদপা পুলিশ স্টেশনে রবিবার মূল এফআইআর-টি দায়ের করা হয়৷ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯টি ধারায় এই এফআইআর-এ অভিযোগ আনা হয়েছে৷ তার মধ্যে ১২৪এ ধারায়দেশদ্রোহিতা, ৫০৫ ধারায় সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করার জন্য কাউকে প্ররোচিত করা, ১৫৩এ ধারায়বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করার মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে৷


এর পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বৈদ্যুতিন মাধ্যমে অশ্লীল ছবি-তথ্য সম্প্রচার করার অভিযোগও এনেছে পুলিশ৷ অভিযোগে বলা হয়েছে, হাতরসের ঘটনা নিয়ে উত্তর প্রদেশ সরকারের বক্তব্য, বিবৃতিকে বিকৃত করে বিভ্রান্তিকর ভাবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে৷ এমন কি বিভিন্ন নামী সংবাদমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন এক পুলিশ অফিসার৷