World Sleep Day 2021: ঘুম কতটা প্রয়োজনীয়? সারা দিনে কতক্ষণ ঘুমোনো জরুরি? জেনে নিন বিশদে

Last Updated:
সাধারণ ভাবে দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর কথা বলা হয়। অনেকেই এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন
1/6
আজ বিশ্ব ঘুম দিবস। প্রতি বছর এই দিনটিতে ঘুম ও তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা সচেতনতামূলক প্রচার চলে। একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য কতটা ঘুম প্রয়োজনীয়? যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে কী কী সমস্যা হতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!
আজ বিশ্ব ঘুম দিবস। প্রতি বছর এই দিনটিতে ঘুম ও তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা সচেতনতামূলক প্রচার চলে। একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়। কিন্তু সুস্থ থাকার জন্য কতটা ঘুম প্রয়োজনীয়? যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে কী কী সমস্যা হতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক বিশদে!
advertisement
2/6
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ঘুমোনোর সময় সম্পর্কে। সাধারণ ভাবে দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর কথা বলা হয়। অনেকেই এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের বক্তব্য, বয়স, শারীরিক অবস্থা, কাজকর্ম, ওজন-সহ একাধিক বিষয়ের উপরে নির্ভর করে ঘুমোনোর সময় পরিবর্তিত হয়। এই বিষয়ে একটি সময়সূচি দিয়েছে স্লিপ ফাউন্ডেশন (Sleep Foundation)। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের সময় ৭-৯ ঘণ্টা। ৬৫ বছরের উর্ধ্বে ঘুমের সময় ৭-৮ ঘণ্টা। তরুণ-তরুণীদের জন্য ঘুমের সময় ৯-১১ ঘণ্টা। সাত বছরের নিচে ঘুমের সময় ১০-১৩ ঘণ্টা। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমের সময় প্রায় ১৭ ঘণ্টা।
প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক ঘুমোনোর সময় সম্পর্কে। সাধারণ ভাবে দিনে ৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর কথা বলা হয়। অনেকেই এই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের বক্তব্য, বয়স, শারীরিক অবস্থা, কাজকর্ম, ওজন-সহ একাধিক বিষয়ের উপরে নির্ভর করে ঘুমোনোর সময় পরিবর্তিত হয়। এই বিষয়ে একটি সময়সূচি দিয়েছে স্লিপ ফাউন্ডেশন (Sleep Foundation)। এক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ঘুমের সময় ৭-৯ ঘণ্টা। ৬৫ বছরের উর্ধ্বে ঘুমের সময় ৭-৮ ঘণ্টা। তরুণ-তরুণীদের জন্য ঘুমের সময় ৯-১১ ঘণ্টা। সাত বছরের নিচে ঘুমের সময় ১০-১৩ ঘণ্টা। এছাড়া শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুমের সময় প্রায় ১৭ ঘণ্টা।
advertisement
3/6
কিন্তু কী ভাবে নির্ণয় করা যাবে ঘুমোনোর সময়? স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, ঘুমের সময় নির্ণয় করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমেই দেখতে হবে যেটুকু সময় ঘুম হচ্ছে, তাতে কি একদম সঠিক ও সতেজ ভাবে সমস্ত কাজ করা যাচ্ছে? শরীরে কি অন্য কোনও সমস্যা দেখা যাচ্ছে? কোনও কারণে ক্লান্তি অনুভব হচ্ছে কি না, দেখতে হবে সেটাও। সারাদিন কী ধরনের কাজ করতে হয়, অর্থাৎ কেউ অফিসে বসে লেখালিখির কাজ করছেন, কেউ মাঠে খেলছেন, কেউ আবার খনি থেকে কয়লা তুলছেন, এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাজের মাঝে বার বার ঘুম পাচ্ছে কি না, সেই বিষয়টিরও খেয়াল রাখতে হবে। এই সমস্ত লক্ষণ ভালো করলে খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, একজনের ঠিক কতটা ঘুম দরকার।
কিন্তু কী ভাবে নির্ণয় করা যাবে ঘুমোনোর সময়? স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, ঘুমের সময় নির্ণয় করার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমেই দেখতে হবে যেটুকু সময় ঘুম হচ্ছে, তাতে কি একদম সঠিক ও সতেজ ভাবে সমস্ত কাজ করা যাচ্ছে? শরীরে কি অন্য কোনও সমস্যা দেখা যাচ্ছে? কোনও কারণে ক্লান্তি অনুভব হচ্ছে কি না, দেখতে হবে সেটাও। সারাদিন কী ধরনের কাজ করতে হয়, অর্থাৎ কেউ অফিসে বসে লেখালিখির কাজ করছেন, কেউ মাঠে খেলছেন, কেউ আবার খনি থেকে কয়লা তুলছেন, এক্ষেত্রে শারীরিক পরিশ্রমও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কাজের মাঝে বার বার ঘুম পাচ্ছে কি না, সেই বিষয়টিরও খেয়াল রাখতে হবে। এই সমস্ত লক্ষণ ভালো করলে খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, একজনের ঠিক কতটা ঘুম দরকার।
advertisement
4/6
অনেকেই কম ঘুমোনো নিয়ে রীতিমতো গর্ব করে থাকেন। অনেকে বলেন, এটি দীর্ঘ দিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ঘুমোলেই হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত মানুষ একটি ভুল ধারণার মধ্যে আটকে রয়েছে। এই বিষয়ে ঘুম-বিশেষজ্ঞ সিন্থিয়া লাজাম্বে (Cynthia LaJambe) জানান, যাঁরা ভাবছেন অল্প সময় ঘুমোলেও কোনও অসুবিধা নেই, তাঁরা অজান্তেই নিজেদের ক্ষতি করছেন। দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাস নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। সহজে বোঝা যায় না। কারণ ধীরে ধীরে শরীরের একাধিক সমস্যা সামনে আসতে থাকে।
অনেকেই কম ঘুমোনো নিয়ে রীতিমতো গর্ব করে থাকেন। অনেকে বলেন, এটি দীর্ঘ দিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ঘুমোলেই হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্ত মানুষ একটি ভুল ধারণার মধ্যে আটকে রয়েছে। এই বিষয়ে ঘুম-বিশেষজ্ঞ সিন্থিয়া লাজাম্বে (Cynthia LaJambe) জানান, যাঁরা ভাবছেন অল্প সময় ঘুমোলেও কোনও অসুবিধা নেই, তাঁরা অজান্তেই নিজেদের ক্ষতি করছেন। দীর্ঘ দিনের এই অভ্যাস নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। সহজে বোঝা যায় না। কারণ ধীরে ধীরে শরীরের একাধিক সমস্যা সামনে আসতে থাকে।
advertisement
5/6
সব চেয়ে বড় বিষয় হল, শরীর ও মস্তিষ্ক দু'টিকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। এটি মানসিক শান্তি ও সুস্থতা বজায় রাখার পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। যথাযথ ঘুম না হলে অস্বস্তি, বিরক্তিভাব এমনকি ঘন ঘন রাগ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ অনিদ্রা মানুষের আচরণগত দিককেও প্রভাবিত করে।
সব চেয়ে বড় বিষয় হল, শরীর ও মস্তিষ্ক দু'টিকে সতেজ রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। এটি মানসিক শান্তি ও সুস্থতা বজায় রাখার পাশাপাশি শারীরিক ক্রিয়া-প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। যথাযথ ঘুম না হলে অস্বস্তি, বিরক্তিভাব এমনকি ঘন ঘন রাগ করার প্রবণতা বেড়ে যায়। অর্থাৎ অনিদ্রা মানুষের আচরণগত দিককেও প্রভাবিত করে।
advertisement
6/6
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় অর্থাৎ কেউ যদি দীর্ঘ দিন অনিদ্রায় ভুগতে থাকে, তাহলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেবে। ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়তে পারে। হৃদরোগের প্রবণতা বাড়ে। একাধিক স্নায়ুরোগের শিকার হতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। দীর্ঘ দিন নিদ্রাহীনতায় মানসিক উদ্বেগ এমনকি অবসাদ পর্যন্ত হতে পারে। এর জেরে চুল ও ত্বকের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ত্বকে নানা ধরনের ডার্ক সার্কেল, ত্বক কুঁচকে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা দেখা যায়। তাই নিয়ম মতো পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় অর্থাৎ কেউ যদি দীর্ঘ দিন অনিদ্রায় ভুগতে থাকে, তাহলে একাধিক শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেবে। ঘুমের অভাবে ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়তে পারে। হৃদরোগের প্রবণতা বাড়ে। একাধিক স্নায়ুরোগের শিকার হতে পারেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। দীর্ঘ দিন নিদ্রাহীনতায় মানসিক উদ্বেগ এমনকি অবসাদ পর্যন্ত হতে পারে। এর জেরে চুল ও ত্বকের উপরেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ত্বকে নানা ধরনের ডার্ক সার্কেল, ত্বক কুঁচকে যাওয়া-সহ একাধিক সমস্যা দেখা যায়। তাই নিয়ম মতো পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।
advertisement
advertisement
advertisement