রাতে ঘুম ভেঙে বারবার প্রস্রাব? পুরুষদের শরীরে কী সংকেত দিচ্ছে? কী বলছেন ডাক্তাররা জেনে নিন

Last Updated:
প্রস্টেটের আকার বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা, যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুরুষকে প্রভাবিত করে, বিশেষত ৫০ বছরের পর। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বারবার প্রস্রাব পেতে থাকা, প্রস্রাব শুরু বা বন্ধ করতে অসুবিধা—যা জীবনের মানকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আস্টার মেডসিটি, কোচির ড. সন্দীপ প্রভাকরণ এই বিষয়ে জানাচ্ছেন প্রয়োজনীয় তথ্য।
1/10
এই অবস্থার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে। যেমন মূত্রথলির পেশিতে অস্বাভাবিক সংকোচন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক কার্যকারিতার পরিবর্তন, স্নায়ুর সমস্যা যেমন স্ট্রোক, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস বা স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি। এছাড়াও ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI), অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল গ্রহণ এবং খুব বেশি পরিমাণে জল বা তরল পান করাও এই সমস্যার কারণ হতে পারে।
রাতে বারবার ঘুম ভেঙে বাথরুমে যাওয়া—এটা হয়তো অনেকেই সাধারণ অসুবিধা বলে মনে করেন। দেরিতে জল খাওয়া বা রাতে চা পানের ফল মনে করে বেশিরভাগ সময়ই বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু যখন এই অভ্যাস রোজকার ঘুম এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটাতে শুরু করে, তখন এটি শরীরে কোনও গোপন সমস্যার সংকেত হতে পারে।
advertisement
2/10
ওভারঅ্যাকটিভ ব্ল্যাডার নিয়ন্ত্রণে ব্ল্যাডার ট্রেনিং একটি কার্যকর পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রস্রাবের অভ্যাস গড়ে তোলা হয় এবং ধীরে ধীরে সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়। এতে মূত্রথলি একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে কাজ করতে শেখে, যার ফলে হঠাৎ প্রস্রাবের চাপ কমে আসে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে, বিশেষত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, এর অন্যতম সাধারণ কারণ হল **বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া (BPH) বা প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া।
advertisement
3/10
আপনি কি ঘন ঘন প্রস্রাব যান! এমন সমস্যা হলে ভুলেও অবহেলা করবেন না, বুঝবেন ১২টা বেজেছে শরীরের...
প্রস্টেটের আকার বৃদ্ধি একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা, যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ পুরুষকে প্রভাবিত করে, বিশেষত ৫০ বছরের পর। এর লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বারবার প্রস্রাব পেতে থাকা, প্রস্রাব শুরু বা বন্ধ করতে অসুবিধা—যা জীবনের মানকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আস্টার মেডসিটি, কোচির ড. সন্দীপ প্রভাকরণ এই বিষয়ে জানাচ্ছেন প্রয়োজনীয় তথ্য।
advertisement
4/10
চিকিৎসা নিতে দেরি করবেন না: এই সব উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ কোনো সমস্যাকে শুরুতেই ধরে ফেললে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব।
রাতে বারবার প্রস্রাব পেতে যাওয়ার কারণ কেন উদ্বেগজনকবয়সের সঙ্গে প্রস্টেটের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়, কিন্তু অনেক পুরুষের ক্ষেত্রে এটি অতিরিক্ত বড় হতে শুরু করে। বড় প্রস্টেট ইউরেথ্রাকে চেপে দেয় এবং স্বাভাবিক প্রস্রাব প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এর ফলে দেখা দেয়—
advertisement
5/10
কিডনির সমস্যাও কারণ: কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরের জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। কিডনি স্টোন, কিডনি ফেলিওর বা কিডনির সংক্রমণের কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
রাতে বারবার ঘুম ভেঙে প্রস্রাবের জন্য উঠতে হওয়া (নকচুরিয়া)প্রস্রাব শুরু করতে অসুবিধা প্রস্রাবের শেষে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ে মনে হওয়া যে মূত্রথলি পুরোপুরি খালি হচ্ছে না
advertisement
6/10
ডায়াবেটিসের লক্ষণ: দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. অমরেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, বারবার প্রস্রাব হওয়া, অতিরিক্ত পিপাসা লাগা এবং দুর্বলতা অনুভব করা ডায়াবেটিসের স্পষ্ট লক্ষণ হতে পারে। উচ্চ রক্তে সুগারের কারণে কিডনি অতিরিক্ত জল ছেঁকে বের করার চেষ্টা করে, যার ফলে বারবার প্রস্রাব হয়। এটি ডায়াবেটিসের প্রাথমিক এবং সাধারণ লক্ষণ।
এই রাতের লক্ষণগুলি অবহেলা করা উচিত নয়। খারাপ ঘুম মেজাজ, শক্তি, হার্টের স্বাস্থ্য এবং সার্বিক ভাল্লাগায় প্রভাব ফেলে। আরও বড় কথা, বারবার নকচুরিয়া মানে প্রস্টেট ব্লাডারে চাপ দিচ্ছে—বা খুব কম ক্ষেত্রে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা অন্য কোনও সমস্যা থাকতে পারে।
advertisement
7/10
কিছু পুরুষ বসে প্রস্রাব করলে বেশি স্বস্তি পান, আবার কেউ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এটি একান্তই ব্যক্তিগত পছন্দ ও অভ্যাসের বিষয়। তবে যাদের প্রস্রাব করার সময় অসুবিধা হয় বা প্রোস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা থাকে, তাঁদের জন্য বসে প্রস্রাব করা বেশি উপকারী।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরিনিচের লক্ষণগুলি দেখা দিলে একজন ইউরোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন—রাতে বারবার প্রস্রাব পেতে যাওয়াপ্রস্রাবের দুর্বল বা থেমে থেমে বের হওয়াহঠাৎ প্রস্রাবের তাগিদ বা ধরে রাখতে না পারামূত্রথলি সম্পূর্ণ খালি না হওয়ার অনুভূতিপ্রস্রাব শুরু করতে সমস্যা
advertisement
8/10
মূত্রথলির দুর্বলতা: চিকিৎসকদের মতে, বারবার প্রস্রাব হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে মূত্রথলির ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। যখন থলির পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে বা ঠিকভাবে কাজ করে না, তখন খুব দ্রুত প্রস্রাবের অনুভূতি হয়। এই সমস্যা বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
সহজ কিছু পরীক্ষা—যেমন ইউরিন টেস্ট, PSA রক্ত পরীক্ষা, আলট্রাসাউন্ড বা ইউরোফ্লোমেট্রি—সমস্যার কারণ দ্রুত শনাক্ত করতে পারে।রাতে বারবার বাথরুমে যেতে হলে তা বয়স বা বেশি জল খাওয়ার অজুহাতে হালকা করে দেখবেন না। আপনার শরীর সংকেত দিচ্ছে যে কোথাও সমস্যা হচ্ছে। সময়মতো ডায়াগনোসিস ও আধুনিক চিকিৎসা জীবনের মান অনেকটাই ভালো করে দিতে পারে—ঘুম ভালো হবে, শক্তি বাড়বে, এবং দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে আসতে সাহায্য করবে।
advertisement
9/10
গ্লোমেরিউলোনেফরাইটিস--এই পরিস্থিতিতে কিডনিতে থাকা গ্লোমেরিউলিতে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। তখন কিডনি দূষিত পদার্থ, ইলেকট্রোলাইট ও তরল ঠিকমতো ছাঁকতে পারে না, যা ধীরে ধীরে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ-এর আকার নেয় এবং শেষপর্যন্ত দেখা দেয় কিডনি ফেলিওর।
আধুনিক চিকিৎসা: মিলছে নিশ্চিত আরামসুখবর হল—এখন BPH অত্যন্ত কার্যকরভাবে চিকিৎসাযোগ্য। ওষুধে প্রস্টেটের পেশি শিথিল করা বা আকার কমানো যায়, তবে অনেকের ক্ষেত্রে মিনিমালি ইনভেসিভ পদ্ধতি দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তি দেয়।এর মধ্যে অন্যতম হল ওয়াটার-ভেপার থেরাপি, যেখানে নিয়ন্ত্রিত বাষ্প ব্যবহার করে অতিরিক্ত প্রস্টেট টিস্যু ছোট করা হয়।এই থার্মাল পদ্ধতিতে বাষ্পের তাপ প্রস্টেটের অতিরিক্ত টিস্যু ধ্বংস করে—ফলে প্রস্টেটের আকার কমে, পার্শ্ববর্তী অঙ্গগুলিও সুরক্ষিত থাকে এবং জটিলতাও কম হয়।
advertisement
10/10
রোগীর অস্ত্রোপচার মাঝপথে থামিয়ে নার্সের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হয়েছিলেন চিকিৎসক, নিজেই স্বীকার করেছিলেন সেই কথা। পাকিস্তানের একজন অ্যানেসথেটিস্ট স্বীকার করেছেন যে তিনি একটি রোগীকে অস্ত্রোপচারের মাঝখানে ফেলে রেখে একটি নার্সের সাথে যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছিলেন।
এটি একটি ডে-কেয়ার প্রোসিডিউর, বড় অপারেশনের প্রয়োজন হয় না, এবং যৌনক্ষমতাও অক্ষুণ্ণ থাকে।এ ছাড়াও লেজার থেরাপি ও অন্যান্য আধুনিক মিনিমালি ইনভেসিভ সার্জারির মাধ্যমে ইউরেথ্রার উপর চাপ কমিয়ে স্বাভাবিক প্রস্রাব প্রবাহ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
advertisement
advertisement
advertisement