Why This Child Habit Best: দশ গোল দেবে বুদ্ধিতে! মস্তিষ্ক হবে তীক্ষ্ণ! হাড়-পেশী হবে মজবুত! এই 'একটি' ছোট্ট অভ্যাসেই শিশু হবে স্মার্ট, বুদ্ধিদীপ্ত...

প্রত্যেক বাবা-মা চান তাঁর সন্তান ঝকঝকে, স্মার্ট এবং একইসঙ্গে আত্মবিশ্বাসী হোক। তাই মস্তিষ্কের শক্তি বিকাশে অবদান রাখে এমন বিষয়গুলির দিকে নজর রেখেই প্রতিটি শিশুকে বড় করে তুলতে চান অভিভাবকরা। হেলথ ড্রিংক থেকে খাওয়া দাওয়া সবেতেই এই বিষয়গুলির দিকে নজর দেন মা-বাবা।

শিশুর মস্তিষ্ক জটিল। বিভিন্ন কার্যকরী কোষ এবং সার্কিট দিয়ে গঠিত মানব মস্তিস্ক। মস্তিষ্ক পরিপক্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটিকে একটি শক্তিশালী পুষ্টির ভিত্তি দিয়ে তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

এমন বেশ কিছু অভ্যাস আছে, যা শিশুদের মন ও মস্তিস্ককে তীক্ষ্ণ করে তুলতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে খালি পায়ে হাঁটা অন্যতম। শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য এই অভ্যাস অত্যন্ত উপকারী। ছবি : প্রতীকী

পায়ে ২৬টি হাড় এবং ৩৫টি জয়েন্ট রয়েছে যা লিগামেন্টের মাধ্যমে যুক্ত থাকে। ছোট বাচ্চারা যখন হাঁটা শুরু করে তখন তাদের পা চ্যাপ্টা হয়। শিশুদের পা সাধারণত চর্বিযুক্ত এবং খুব নমনীয় থাকে এই সময়।

শিশু মনোবিজ্ঞানী আচার ভেঙ্কটারমনের মতে, বাচ্চাদের খালি পায়ে হাঁটতে দেওয়া উচিত, যদি না তাদের পায়ের বিকাশে কোনও সমস্যা দেখা দেয়। এতে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধি পায়, যা অনাক্রম্যতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ছবি : প্রতীকী

শিশুরা খালি পায়ে হাঁটলে তাদের পায়ের পেশী শক্তিশালী হয়। খালি পায়ে হাঁটাও শরীরের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখে। জন্মের সময় শিশুদের পা ভঙ্গুর থাকে এবং পেশী বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে হাড় ও জয়েন্ট শক্ত হয়ে যায়। খালি পায়ে হাঁটা শিশুদের পেশী বৃদ্ধির সুযোগ করে দেয়।

এ ছাড়া মাটির সরাসরি সংস্পর্শে এসে মস্তিষ্ক সংযোগের মাধ্যমে নার্ভকে বুঝতে সাহায্য করে কী ভাবে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। পায়ে জুতো বা চপ্পল পরলে শিশুদের মস্তিষ্কের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তথ্য পাঠানো কঠিন হয়ে পরে। ছবি : প্রতীকী

প্রত্যেক শিশুর পায়ের তলদেশে প্রায় ২০০,০০০ স্নায়ু শেষ রয়েছে। দাঁড়ানো এবং হাঁটার আগে, শিশুর পায়ের আঙ্গুলগুলি সোফা, কার্পেট বা বিছানার মতো নরম তলদেশের সঙ্গে সংস্পর্শ হয়। শিশু হাঁটতে শিখলে তাদের খালি পায়ে রাখা তাদের সংবেদনশীল মোটর বিকাশ চালিয়ে যেতে সাহায্য করে। ছবি : প্রতীকী