Weekend Trip: হাজারদুয়ারির সঙ্গে মিল এই বাড়িতেই হয়েছিল গুপি-বাঘার শ্যুটিং, ছোট্ট ট্রিপে চলুন হেতমপুর রাজবাড়ি!
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
Weekend Trip: বীরভূম এলে হাতে কয়েক ঘণ্টা সময় নিয়ে ঘুরে আসুন গা ছমছমে পরিবেশে এই রাজবাড়ি থেকে। আজও বিস্ময়! ব্রিটিশদের থেকে আত্মগোপন করতে এই রাজবাড়িতে ছিলেন নজরুল
পুরী দিঘা এবং মন্দারমনি এই সমস্ত কিছু দেখে বাঙালি যখন মন ভরে যায় তখন ছুটে আসেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের টানে বোলপুর শান্তিনিকেতন অথবা বীরভূমের তারাপীঠ। তবে এই সব কিছুই অনেকবার দেখা হয়ে গেছে এবার ভাবছেন হয়ত একটু নতুনত্ব কিছু হলে ভাল হত। তাহলে এই রাজবাড়ি হতে পারে আপনার ভ্রমণের সেরা ডেস্টিনেশন। এখানে গেলে যেনো এক টুকরো হাজারদুয়ারির দর্শন করতে পারবেন। হেতমপুর রাজবাড়ি বীরভূম জেলার সিউড়ী মহকুমার একটি বৃহৎ গ্রাম। এটি দুবরাজপুরের নিকটে অবস্থিত।
advertisement
তবে আপনি যদি বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি চলে আসেন তাহলে এখান থেকে খুব কাছে হবে হেতমপুর রাজবাড়ি। এই হেতমপুর রাজবাড়ি অনেকের কাছে রঞ্জন প্রসাদ নামেও পরিচিত। খোলা মাঠের ওপর হলুদ লালের একটি অতিকায় প্রাসাদ কতজানি উত্থান পত্তন, জল, ঝড় মহামারীর সাক্ষী স্বরূপ আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। বড় ছোট পিলারের মজবুত ভীত, ইন্দো ইউরোপীয় স্থাপত্যের সম্ভার এবং তার সঙ্গে ইউরোপিয়ান স্টাইলের গেট অবাক করতে বাধ্য আপনাকে।
advertisement
আজ থেকে ঠিক কয়েকশো বছর আগে পর্যন্ত এই রাজবাড়ি গমগম করত রাজাদের শাসনে। তবে সেই সব আজকে অতীত। লাল মাটির বীরভূম জেলার দুবরাজপুরে আজ শুধু পড়ে রয়েছে জরাজীর্ণ এক বিশাল অট্টালিকা। বীরভূমে যে কয়েকটি জমিদারবাড়ি নাম নেওয়া হয় তাহলে সবার আগে আসবে এই হেতমপুর জমিদারবাড়ি অথবা রাজবাড়ি। আদতে এটি জমিদারবাড়ি হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে রাজবাড়ি হিসাবেই পরিচিত।
advertisement
এই রাজবাড়িটি মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারির সঙ্গে বেশ মিল রয়েছে। শুধু তাই নয়, জানা যায় একসময় ছিল ৯৯৯ টি দরজা এই হেতমপুর রাজবাড়িতে। হাজারদুয়ারির সম্মানার্থে ১টি দরজা কম রাখা হয়েছিল এই রাজ বাড়িতে। অনেকেই এই হেতমপুরকে এক টুকরো হাজারদুয়ারি বলে থাকেন। এখানকার রাজবাড়িটিতে ৯৯৯টি দরজা থাকার জন্য এটি 'হেতমপুর হাজারদুয়ারি' নামে খ্যাত। চারিধারে জঙ্গলে ঘেরা গাছ গাছালি এবং পাখিদের কোলাহল তার সঙ্গে গা ছমছমে এক পরিবেশ আপনার মন মুগ্ধ করতে বাধ্য।
advertisement
এলাকার বয়স্ক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায় প্রসঙ্গত আনুমানিক প্রায় ১৯০৫ সালে রাম রঞ্জন চক্রবর্তী নির্মাণ করেছিলেন 'রঞ্জন প্রাসাদ' যেটা আজকে সকলের কাছে হেতমপুর রাজবাড়ি নামে পরিচিত। তাই অনেকে এই রাজবাড়িটিকে রঞ্জন ভবন বলে থাকেন। বাড়িটির পশ্চিম দিকে রয়েছে D.A.V স্কুল, পূর্ব দিকে রয়েছে B.ED কলেজ। জানা যায় এই রাজ বাড়িতে সত্যজিৎ রায়ের গুপী গায়েন বাঘা বায়েন এর শুটিং হয়েছিল একসময়। তাই এবার আপনি যদি নতুনত্ব কোনও জায়গা খুঁজছেন তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই রাজবাড়ি থেকে।
