পাকা চুল ঢাকতে বা চটজলদি নিজের লুক পরিবর্তন করতে আমরা তুলে নিই হেয়ারকালারের প্যাকেট ৷ এই দুই সমস্যায় সমাধান করে কৃত্রিম রাসায়নিক রং ৷ কিন্তু এর ফলে চুলের ক্ষতিও হয় ৷ তাই কালার্ড হেয়ারের জন্য বিশেষ পরিচর্যা প্রয়োজন ৷ নয়তো চুল খুব রুক্ষ হয়ে যায় ৷ কালার করার ফলে চুলের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায় ৷ তাই চুলের দৈর্ঘ্য যা-ই হোক না কেন, কালার করলে নিয়মিত তাকে হাইড্রেট করুন ৷ শুধু শ্যাম্পু-কন্ডিশনিং রুটিনে হবে না ৷ পাশাপাশি চুলে নিয়মিত তেল দিন ৷ চুলের ধরন বুঝে হেয়ারমাস্ক ব্যবহার করুন ৷ চুলের রং ধরে রাখতে ব্যবহার করুন বিশেষ শ্যাম্পু ৷ কালার্ড হেয়ারের জন্য যে শ্যাম্পু পাওয়া যায়, বেছে নিন সেটাই ৷ দেখবেন সেই শ্যাম্পু যেন সালফেটমুক্ত হয় ৷ নয়তো সালফেটে যে লবণাক্ত অংশ থাকে তার জেরে চুল আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে পড়ে ৷ মুখের জন্য মাস্ক ব্যবহার করলেও চুলের জন্য এই যত্নের কথা আমরা মনে রাখি না ৷ চুলে রং করলে কিন্তু হেয়ারমাস্ক ব্যবহার করতেই হবে ৷ শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে হেয়ারমাস্ক লাগান ৷ এতে চুলের আর্দ্রতা ফিরে আসবে ৷ বাড়িতেই তৈরি করুন চুলের জন্য প্রোটিন মাস্ক ৷ একটা বাটিতে একটা ডিমের সঙ্গে মেশান এক চামচ মেয়োনিজ ৷ যত ক্ষণ মিশ্রণটা মসৃণ না হয়, তত ক্ষণ ফেটাতে থাকুন ৷ তার পর এই মিশ্রণ চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে লাগান ৷ কুড়ি থেকে তিরিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু লাগিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন ৷ ভিনিগারের সঙ্গে জল মিশিয়ে পাতলা করে নিন ৷ তার পর শ্যাম্পু হয়ে গেলে ভাল করে মাথা ধুয়ে নিন ৷ সব শেষে ওই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন ৷ এতে চুল পরিষ্কার থাকবে ৷ ভিনিগার আপনার চুলের রঙও ধরে রাখবে ৷ শ্যাম্পুর মতো কালার্ড হেয়ারের জন্য কন্ডিশনারও বেছে নিতে হবে ৷ ভাল ব্র্যান্ডের আল্ট্রা নারিশিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন ৷ বাইরে থেকে কিনতে না চাইলে অ্যাভোকাডো, কলা, টকদই, মধু, মেয়োনিজ, নারলেকের দুধ, ভিটামিন ই অয়েল ও অ্যালোভেরা জেল ভাল করে মিশিয়ে বাড়িতেই তৈরি করুন আল্ট্রা নারিশিং কন্ডিশনার ৷ আপনার রঙিন চুলের যত্নআত্তির জন্য ৷ আল্ট্রা নারিশিং কন্ডিশনারের পর চুলে লাগিয়ে রাখুন লিভ ইন কন্ডিশনার ৷ এর ফলে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে আপনার চুল রক্ষা পাবে ৷ রুক্ষ হয়ে গিয়ে চুল জটপ্রবণও হবে না ৷ কালার্ড হেয়ারকে ভাল রাখতে স্ট্রেটনিং, কার্লিং-এর মতো প্রক্রিয়া থেকে যত দূরে থাকবেন, ততই শ্রেয় ৷