একটি নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে নষ্ট হতে থাকে ফুসফুস! কোন ভিটামিন জানেন? জেনে সতর্ক হোন
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
অতিরিক্ত বায়ু দূষণে ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে শ্বাসযন্ত্র। ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে শুধু পরিষ্কার বাতাস ও ব্যায়ামই নয়, সঠিক পুষ্টিরও প্রয়োজন।
advertisement
advertisement
একটি নির্দিষ্ট ভিটামিনের অভাবে নষ্ট হতে থাকে ফুসফুস! কোন ভিটামিন জানেন? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (NCBI)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেকেই মনে করেন, ভিটামিন ডি শুধু হাড়ের শক্তি বাড়ায়। কিন্তু শুধু হাড় মজবুত করা নয়, ফুসফুসের জন্যও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি।
advertisement
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় এবং ফুসফুসকে অধিক সংবেদনশীল করে তোলে। ফলে হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা ভিটামিন ডি-এর অভাবে ভোগেন, তাঁদের শ্বাসযন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি ফুসফুসে প্রদাহ কমাতে এবং কোষ মেরামতে সাহায্য করে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শরীর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে ভালভাবে লড়াই করতে পারে। এটি অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও নিয়ন্ত্রণ করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে এবং অক্সিজেন শোষণের প্রক্রিয়াও আরও কার্যকর হয়।
advertisement
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি ফুসফুসের ক্ষতি করে, তবে ফুসফুসের জন্য ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই-ও গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা দূষণ ও ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করে। ভিটামিন ই সেল মেমব্রেন রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমায়। এই সমস্ত ভিটামিনের ঘাটতি ফুসফুসকে দুর্বল করে দেয়, শ্বাসের সমস্যা হয়।
advertisement
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর করা যায়? ভিটামিন ডি পাওয়ার সবচেয়ে ভাল উৎস হল রোদ। প্রতিদিন সকালে ২০-৩০ মিনিট রোদে থাকা শরীরের জন্য উপকারী। এছাড়াও, ডিম, মাশরুম, ফোর্টিফাইড দুধ, স্যামন মাছের মতো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার মাধ্যমে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর করা যায়। পাশাপাশি, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্টও নেওয়া যেতে পারে।
advertisement
ভিটামিন-ডি একটি স্নেহপদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন। অনেকসময়-ই একে বলে ‘সাইশাইন ভিটামিন’। তৈলাক্ত মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে। পাশাপাশি, মানুষের ত্বক রোদের সংস্পর্শে এলে শরীরে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। সামুদ্রিক মাছ, দুগ্ধজাত খাদ্য ও ডিমে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়।বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে ভিটামিন ডি শরীরের প্রদাহ কমায়, যার ফলে টেলোমেরেস রক্ষা করে। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং সংক্রমণের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।
advertisement
অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি যাতে শরীরের ক্ষতি না করতে পারে তার জন্য বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় এই ভিটামিনের সঙ্গে ভিটামিন-কে খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভিটামিন-ডি যেখানে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি করে সেখানে ভিটামিন-কে হাড়ে ক্যালসিয়াম সঞ্চয়ের হার বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে যায়। কমে হৃদরোগের ঝুঁকিও।গবেষক জোয়ান ম্যানসন বলেন, ভিটামিন ডি কোনও অলৌকিক সমাধান নয়। কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের উপর এর কোন প্রভাব নেই।