Tourism: ছুটির বিকালে ঘুরে আসুন সাগরদিঘী! সূর্যাস্তের আলো মুগ্ধ করবে আপনাকে, দেখুন ছবিতে

*সাগরদিঘী, তন্ময় মণ্ডল: পুজোর ছুটিতে একবেলার জন্য আমি ঘুরে আসুন সাগরদিঘী, দেখতে পাবেন পশ্চিমবঙ্গের বড় মেগাওয়াটের কর্মকাণ্ড। মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারির পাশাপাশি এখন সাগরদিঘী চত্বর ধীরে ধীরে পর্যটকদের আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে।

*পশ্চিমবঙ্গের তথা মুর্শিদাবাদের গর্ব সাগরদিঘী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। মুর্শিদাবাদ জেলার মণিগ্রাম গ্রামে অবস্থিত এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সাগরদিঘী শহরের প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে, SMGR সাগরদিঘি–মণিগ্রাম–গণকড়–রঘুনাথগঞ্জ সড়কের ধারে।

*এটি WBPDCL-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এখানে হাজার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়, যা পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ভূমিকা রাখে।

*শুধু শক্তি নয়, এটি স্থানীয় অর্থনীতি, কর্মসংস্থান ও উন্নয়নেরও প্রতীক। তবে পর্যটকরা চাইলে একবেলার জন্য হাজির হতে পারেন। বিকেলের সৌন্দর্য দেখার মতো, অনেকে ঘুরতে আসেন সূর্যাস্তের আলোয় পিডিসিএল অপূর্ব রূপ উপভোগ করার জন্য।

*জানা গিয়েছে, সাগরদিঘী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম পর্যায়ে দুটি ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ইউনিট স্থাপন করা হয়। প্রথম ইউনিটটি ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০০৮ সালের নভেম্বের মাসে উদ্ধোধন করা হয় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাত ধরে।

*রাজ্য সরকার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে ২২৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন রাজ্যের সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কাজ চলেছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ৪টি ইউনিট থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার সেখানে একটি পঞ্চম ইউনিট গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

*পঞ্চম ইউনিটটি নির্মাণে ঋণ প্রদান করে পাওয়ার ফিনান্স কপোর্রেশন। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ভেল বয়লার, টার্বাইন, জেনারেটর সরবরাহের জন্য ৩,৫০০ কোটি টাকার বরাত পায়।