Uric Acid & Kidney:ইউরিক অ্যাসিড ‘ছোবল’ দেবে এই খাবারগুলি খেলেই! অকেজো হবে কিডনি! গাঁটের ব্যথার ‘মরণকামড়ে’ চোখে আসবে জল! জানুন লক্ষণও

যখন রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ অত্যধিক বাড়তে শুরু করে, তখন কিডনি তা সঠিকভাবে ফিল্টার করতে পারে না। এমন অবস্থায় শরীরের জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড ক্রিস্টাল জমতে শুরু করে। এর ফলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনেক সমস্যাও দেখা দেয়।

এই অবস্থায় ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণগুলো সময়মতো শনাক্ত করে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করা হয়। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডও গাউট এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে, এখানে জেনে নিন উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে শরীরে কী কী উপসর্গ দেখা দেয় এবং কীভাবে এই ইউরিক অ্যাসিড কমানো যায়।

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে হাত ও পায়ের জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়৷ ফুলে যায় অস্থিসন্ধি বা গাঁট৷ কিডনিতে ব্যথা শুরু হয়৷ প্রস্রাব করার সময় ব্যথা হতে পারে, প্রস্রাবের গন্ধ বার হতে থাকে। শরীরে দুর্বল বোধ করে৷ এছাড়া যন্ত্রণা, ক্লান্ত লাগা,পা ফুলে যাওয়া, কিডনিতে স্টোন হওয়া-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়৷ বলছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল৷

ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অনেক কারণ থাকতে পারে। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে শুরু করে। পর্যাপ্ত জল না খেলে ডিহাইড্রেশন হয় এবং এর কারণে কিডনি ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করতে অসুবিধার সম্মুখীন হয়। অতিরিক্ত স্থূলতা, ডায়াবেটিস এবং কিছু ওষুধ খাওয়ার কারণেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। অ্যালকোহল সেবনও ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির একটি কারণ। এতে গাউটের সমস্যা বাড়ে।

রেড মিট খাওয়া সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন৷ কারণ রেড মিট খেলে শরীরে এক ধাক্কায় বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড৷

অ্যালকোহল, বিয়ার বা অন্যান্য নেশাদ্রব্য রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে৷

চিনিযুক্ত পানীয়, ক্যান্ডি এবং ডেজার্ট, স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার ডায়েটে না রাখাই বাঞ্ছনীয়৷

ইউরিক অ্যাসিডের ধাত থাকলে সামুদ্রিক খাবারও খাওয়া যাবে না৷ রক্তে লাগামছাড়া ভাবে বাড়বে ইউরিক অ্যাসিড৷