রসুনেরও পাঁপড় হয় জানতেন? শীতের দুপুরে ডাল-ভাতের সঙ্গে মন ভরিয়ে দেবে মুখরোচক এই উপাদান
- Published by:Rachana Majumder
- Written by:Trending Desk
Last Updated:
পাঁপড়ের দুনিয়ায় আরও একটি অভিনব পদ হল এই রসুনের পাঁপড়। হ্যাঁ, একদম ঠিক, কোনও ভুল নেই এতে। সেই রসুন যা রান্নায় দেওয়া হয়, তা দিয়েই এই মুখরোচক পাঁপড় তৈরি করা হয়ে থাকে। যাঁরা রসুন খেতে ভালোবাসেন, তাঁদের এই পাঁপড় অবশ্যই ভাল লাগবে।
ডাল, ভাত আর সঙ্গে পাঁপড় ভাজা! শুনতে অতি সাধারণ মনে হলেও এই কম্বিনেশন মিলের কোনও তুলনা হয় না। বিশেষ করে শীতের দিনে তো বটেই, যখন জল ঘেঁটে রান্না করাটাই একটা হ্যাপা! শীতের দুপুরে চাপিয়ে দেওয়া যায় উনুনে খিচুড়িও, বলাই বাহুল্য, পাঁপড় ভাজা ছাড়া খিচুড়ির কথাও ভাবাই যায় না। হালকা, পাতলা, মুচমুচে, কিন্তু খেতে দারুণ। অনেক সময় অনেক সাধারণ খাবারের স্বাদও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয় পাঁপড়। পাঁপড় তৈরি হয় ডাল, চাল ও সাবু ইত্যাদি দিয়ে। মজার কথা হল পাঁপড় তেলে ভেজেও খাওয়া যায়, আবার সেঁকেও খাওয়া যায়। যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ তাঁদের জন্য সেঁকা পাঁপড়ই ভাল। অর্থাৎ স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে পাঁপড় খাব না বললে চলবে না।
advertisement
ট্যাপিওকা পার্ল বা সাবুর পাঁপড় ভারতে খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং নবরাত্রিতে উপবাসের সময় এই পাঁপড় খাওয়া হয়। এই পাঁপড় তৈরি হয় সাবুদানা, সৈন্ধব নুন ও গোল মরিচ দিয়ে। এই গোল মরিচ যুক্ত পাঁপড় সেলোফেন পেপারে মুড়ে থেঁতলে নিয়ে সূর্যের আলোয় শুকোতে দেওয়া হয়। এটি তেলে ভেজে বা এয়ার ফ্রাই করে খাওয়াই ভাল।
advertisement
দক্ষিণ ভারতে চালের পাঁপড় খুব জনপ্রিয়। চালের গুঁড়ো আর নুন দিয়ে এই পাঁপড় তৈরি হয়। সম্বর ভাত, ডাল ভাত বা রসম ভাতের সঙ্গে এই চালের পাঁপড় খেতে খুব ভাল লাগে। রাগি পাঁপড়কে নাচনি পাঁপড়ও বলা হয়। এই জাতীয় পাঁপড় মূলত মহারাষ্ট্রে পাওয়া যায়। রাগি শস্য এবং নুন দিয়ে এই পাঁপড় তৈরি হয়। সন্ধেবেলার হালকা জলখাবারের সঙ্গে এই পাঁপড় খাওয়ার রেওয়াজ আছে। তার সঙ্গে দেওয়া হয় আচার, সবজি ও লেবুর রস।
advertisement
কেরলের পাঁপড়কে পাপ্পর বা পাপ্পরমও বলা হয়ে থাকে। ভাতের সঙ্গে এই পাঁপড় দক্ষিণ ভারতে খাওয়া হয়। এটি খাবার ময়দা দিয়ে তৈরি হয়। এই পাঁপড় রোদে শুকিয়ে তৈরি হয় এবং এর আকার গোল হয়।শুনতে ভারি অদ্ভুত লাগলেও গোলমরিচের পাঁপড়ও কিন্তু পাওয়া যায়। গোল মরিচের পাঁপড় সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় পঞ্জাব অঞ্চলে। এই পাঁপড় অড়হর ডাল আর গোল মরিচ মিশিয়ে করা হয়ে থাকে। ভাত আর ডালের সঙ্গে এই পাঁপড় দারুণ খেতে লাগে।
advertisement
পাঁপড়ের দুনিয়ায় আরও একটি অভিনব পদ হল এই রসুনের পাঁপড়। হ্যাঁ, একদম ঠিক, কোনও ভুল নেই এতে। সেই রসুন যা রান্নায় দেওয়া হয়, তা দিয়েই এই মুখরোচক পাঁপড় তৈরি করা হয়ে থাকে। যাঁরা রসুন খেতে ভালোবাসেন, তাঁদের এই পাঁপড় অবশ্যই ভাল লাগবে। ছাতু, নুন আর সেঁকা রসুন দিয়ে এই পাঁপড় তৈরি হয়। মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাত অঞ্চলে এই পাঁপড় খাওয়ার রেওয়াজ আছে।
advertisement
আলুর পাঁপড়ের কোনও পরিচয় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ এই পাঁপড় এতটাই সুস্বাদু যে সবাই সেটা খেতে ভালোবাসেন এই বাংলায়। আলু সেদ্ধ করে চটকে নিয়ে এই পাঁপড় তৈরি হয়। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে এই পাঁপড় স্ন্যাক্স হিসাবে খুব জনপ্রিয়। ভাত ও চাটনির সঙ্গে এই পাঁপড় খেতে খুব ভাল লাগে। হিংয়ের কচুরির কথা অনেক শোনা গেলেও হিংয়ের পাঁপড়ের কথা কিন্তু অনেকেই জানেন না। ডাল আর ভাতের সঙ্গে এই পাঁপড় খেতে দুর্দান্ত লাগে। তবে এই পাঁপড় বিখ্যাত তার সুন্দর গন্ধের জন্য। বোঝাই যাচ্ছে যে সেই সুন্দর গন্ধ আসে হিং থেকে।
advertisement