Traditional Durga Puja: প্রাণের বাজি রেখে লড়েছিল দুই লাঠিয়াল, তার পর শুরু হয় দুর্গা পুজো
- Reported by:Nilanjan Banerjee
- hyperlocal
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
দুর্গা মন্দির-সহ সমস্ত মন্দির সাজান হত বেলজিয়াম গ্লাসের বিশাল বিশাল সেজের ঝাড়বাতিতে। পুজোর সময় বসত পুতুল নাচের আসর, হত যাত্রাপালা
advertisement
advertisement
মল্ল রাজাদের দাক্ষিণ্যেই দামোদরের উপনদী বোদাই এর তীরে বিশাল এলাকার জমিদারি লাভ করেন তিনি। বাঁকুড়ার হদল ও নারায়াণপুর গ্রামের মাঝে বিশাল জমিদারবাড়ির প্রাসাদ তৈরি হয়। আরও পরে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ওই এলাকার মোট সাতটি নীলকুঠী ইজারা নিয়ে নেয় মণ্ডলরা। কথিত আছে, সে সময় বোদাই নদীতে নীল বোঝাই করা বজরা ভাসিয়ে দূর দুরান্তে তা রফতানি করত মণ্ডলরা। ছবি ও তথ্য নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
জল দস্যুদের সঙ্গে নিজেদের জীবন বাজিয়ে রেখে লড়াই করেছিলেন দামু ও কামু। জল দস্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরলে বজরায় থাকা যাবতীয় সম্পত্তি দুর্গার নামে দেবত্তর করে দেওয়ার মানত করেন তিনি। পরে তিনি সুস্থ ভাবে ফিরে এলে ওই বজরায় থাকা সমস্ত ধন সম্পদ দিয়ে বিশাল দুর্গা দালান, রাস মঞ্চ, রথ মন্দির, নাট মন্দির, নহবত খানা তৈরি করেন।
advertisement
advertisement
মণ্ডল বাড়ির এক সদস্য জানান, দুর্গা মন্দির-সহ সমস্ত মন্দির সাজান হত বেলজিয়াম গ্লাসের বিশাল বিশাল সেজের ঝাড়বাতিতে। পুজোর সময় বসত পুতুল নাচের আসর, হত যাত্রাপালা। দুর্গা পুজার প্রতিটি নির্ঘণ্ট ঘোষিত হত তোপ ধ্বনির দ্বারা। দূর দূরান্তের মানুষ ও প্রজারা হাজির হতেন জমিদারবাড়িতে। আজ আর সেই নীল কুঠিও নেই, নেই জমিদারিও। তবু বিশাল দেবত্তর এস্টেট-এর আয়ে দুর্গা পুজোয় আয়োজনের ত্রুটি রাখেন না মণ্ডল বাড়ির বর্তমান প্রজন্ম।









