ইউসিএল স্মোকিং টুলকিট স্টাডি বলছে, বছরভর আদতে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল দোকানপাট যা হাতের কাছে তামাক সরবরাহের পথেও কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছিল। তা ছাড়া করোনা আতঙ্কে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও মানুষ না কি এক ধাক্কায় কমিয়ে ফেলেছে ধূমপানের পরিমাণ। ফ্রান্স, ব্রিটেনের ধূমপানকারীর সংখ্যা তাই এক লাফে অনেকটা কমে এসেছে বলেই জানিয়েছে সমীক্ষাকারী সংস্থা।photo source collected
সমীক্ষাকারীরা জানিয়েছেন অতিমারীর আবহে ব্রিটেনে ১০ লক্ষ মানুষ ধূমপান ছেড়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ধূমপান বিরোধী প্রচারের চেয়েও বেশি কাজ দিয়েছে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি। এমনিতেই চলতি বছরের মার্চ মাস থেকেই সাধারণ জনজীবন থেমে ছিল লকডাউনের জন্য। সামাজিক মেলামেশা অনেক কম হয়েছে, ঘরের বাইরে মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে এবং মানুষ বেশি স্বাস্থ্য সচেতন হয়েছে।photo source collected
তবে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে গেলেও ধূমপান বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচার বন্ধ করা হবে না বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তেমনই এক সংস্থার উদ্যোগ 'স্টপটোবর'। অক্টোবর মাসের ২৮ দিন সবাইকে ধূমপান না করার জন্য উৎসাহ দিয়ে থাকেন তাঁরা। ফ্রান্সের একটি সংস্থাও নভেম্বর মাসে ওই একই উদ্যোগ নিয়ে থাকে। গত বছর ২ লক্ষ মানুষ যাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।photo source collected