সারা বছরের জন্য আচার বানালেও কয়েক দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে? তাহলে শুধু মিশিয়ে নিন সস্তার এই সাদা পাউডার, শিখে রাখুন এই গোপন কৌশল
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
আচার দেওয়ার পর অনেকেই লক্ষ্য করেন যে, বানানোর পর কয়েক দিন যেতে না যেতেই আচারের মধ্যে শুরু হয় ছত্রাকের আক্রমণ। তা নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে আচার উপভোগ করার আনন্দ তো মাটি হয়, সেই সঙ্গে আচার বানানোর পরিশ্রমও যেন জলে চলে যায়। তাই প্রচুর পরিশ্রম করে আচার বানালে তা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। যেটা অনেকেই মেনে চলেন না।
ভারতীয় খানাপিনায় আচারের গুরুত্ব অপরিসীম। সে আমের আচার হোক, লেবুর অথবা লঙ্কার আচার হোক, কিংবা পাঁচমেশালি সবজি দিয়ে তৈরি আচার, খাবারের সঙ্গে এর উপস্থিতি খাবারের স্বাদ যেন কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ডালের পাশাপাশি টক-ঝাল আচার হলে তো কোনও কথাই নেই। আবার রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গেও দিব্যি চলে যায় টক-ঝাল-মিষ্টি স্বাদের আচার। Representative Image
advertisement
advertisement
কিন্তু আচার দেওয়ার পর অনেকেই লক্ষ্য করেন যে, বানানোর পর কয়েক দিন যেতে না যেতেই আচারের মধ্যে শুরু হয় ছত্রাকের আক্রমণ। তা নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। এই পরিস্থিতিতে আচার উপভোগ করার আনন্দ তো মাটি হয়, সেই সঙ্গে আচার বানানোর পরিশ্রমও যেন জলে চলে যায়। তাই প্রচুর পরিশ্রম করে আচার বানালে তা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। যেটা অনেকেই মেনে চলেন না। Representative Image
advertisement
অথচ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আচার সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। আর তা সস্তাও বটে! এর জন্য প্রয়োজন হবে একটি সাদা গুঁড়ো বা সাদা পাউডারের। যার দাম নগণ্য। আর এই সাদা গুঁড়োটি হল ফুড গ্রেড সাইট্রিক অ্যাসিড। এটি পচনের হাত থেকে আচারকে রক্ষা করে। সাইট্রিক অ্যাসিড হল ন্যাচারাল প্রিজারভেটিভ। যা লেবু এবং কমলালেবুর মতো মরশুমি ফলের মধ্যে উপস্থিত থাকে। আর এই সাইট্রিক অ্যাসিড আচারের পিএইচ মাত্রা হ্রাস করে। যাতে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাক এর মধ্যে জন্মাতে না পারে। এটি আচারকে পচে যাওয়ার হাত থেকে তো রক্ষা করেই, সেই সঙ্গে এর স্বাদও অক্ষুণ্ণ রাখে। Representative Image
advertisement
কীভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে? আচার সম্পূর্ণ রূপে তৈরি করা হয়ে গেলে তা সাধারণত বয়ামে ভরে রাখা হয়। কিন্তু বয়ামে ভরে রাখার আগে প্রতি ১ কেজি আচারের মধ্যে যোগ করতে হবে আধ চা-চামচ সাইট্রিক অ্যাসিড। এই উপাদানটি ভাল ভাবে আচারের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ রূপে শুকনো এবং সাফসুতরো কাঁচের বয়ামে ভরে রাখতে হবে আচার। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে সরষের তেল। এবার এয়ারটাইট বয়ামের ঢাকনা আটকে দিতে হবে। এর পাশাপাশি আচার বানানোর সময় হাত এবং বাসনকোসন শুকনো থাকা উচিত। আচার ভরে রাখার আগে বয়ামটিকে রোদে রেখে পুরোপুরি শুকনো করে নিতে হবে। আর সর্ষের তেল গরম করার পর ঠান্ডা করেই তা আচারে ঢালতে হবে। আর আচার বেশ কয়েক দিন রোদে রেখে দিলে এর স্বাদ অনেক বেড়ে যায় আর ময়েশ্চারও দূর হয়ে যায়। Representative Image
advertisement