Cholestertol-Blood Sugar Control Tips: ছোট দানাই ধমনী নিংড়ে বের করে 'বিষ' কোলেস্টেরল! রোজ খেলে নিয়ন্ত্রণে সুগার! শুধু জানুন কখন, কীভাবে খাবেন

*ভারতকে আয়ুর্বেদের জনক বলা হয়। একসময় ভারতীয়রা সবচেয়ে দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্যেও শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক ওষুধের ওপর নির্ভর করত। এখনও ভারতের বহু অংশে আয়ুর্বেদের ব্যবহার রয়েছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকার ভারতীয় আয়ুর্বেদকে পুনর্জন্ম দিতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে। সংগৃহীত ছবি।

*আজ আমরা এমন একটি ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করব যা আয়ুর্বেদ অনুসারে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এটি খেলে কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সংগৃহীত ছবি।

*আমাদের রান্নাঘরে উপলব্ধ এই ওষুধে নানা রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান রয়েছে। আমরা বলছি রান্নাঘরে উপস্থিত ধনের কথা, যা খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব উপকারী। সংগৃহীত ছবি।

*সাধারণত আমরা ধনেপাতা, বীজ বা গুঁড়ো আকারে ব্যবহার করি। ধনে গুঁড়ো ভারতীয় রান্নার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে, শুধু গুঁড়ো নয়, এর দানাও সমান উপকারী। ছোট বাদামি রঙের দেখতে ধনে বীজ খাবারের স্বাদ বাড়াতে ফোড়ন হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সংগৃহীত ছবি।

*প্রতিটি ভারতীয় রান্নাঘরে এ হেন ধনে বীজের উপস্থিতি। ধনে বীজ শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, অনেক মারাত্মক রোগ সারাতেও সহায়ক। ধনে পাতা এবং বীজ উভয়ই মশলা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. পিন্টু ভারতী জানিয়েছেন যে ধনে বীজ মসলা হিসাবে ব্যবহার হওয়ার পাশাপাশি ঔষধি গুণেও পরিপূর্ণ। সংগৃহীত ছবি।

*আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক জানান, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, কপার, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম কার্বোহাইড্রেটের মতো উপাদান ধনে বীজে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এর পাতায় পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সহ অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক। ধনে বীজ অনেক রোগের চিকিৎসায় সহায়ক। সংগৃহীত ছবি।

*ধনে বীজ পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে: ধনে বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে ভরপুর। বদহজমের মতো সমস্যায় এটি খুবই উপকারী। ধনে বীজ পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। ধনে বীজ নিয়মিত খেলে ত্বকের অ্যালার্জি দূর হয়। এতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী পাওয়া যায়। সংগৃহীত ছবি।

*ধনে বীজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে: ইউরিন ইনফেকশনের কারণে মূত্রথলিতে জ্বালা-পোড়া হলে ধনে বীজ জলে চিনি মিশিয়ে পান করলে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। ধনে বীজের জল শীতলভাব প্রদান করে এবং মূত্রনালিতে জ্বালাপোড়া দূর করে। সংগৃহীত ছবি।

*ধনে বীজে প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে, যা আর্থ্রাইটিস রোগ নির্ণয়ে সহায়ক। এর সেবন ফোলাজনিত সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। রোজ ধনে বীজ খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। সংগৃহীত ছবি।