ওষুধ হিসাবে বিভিন্ন ব্যবহারগত পদ্ধতির মধ্যে তেজপাতা পোড়ানো হল অন্যতম। প্রাচীন ভারতীয় অ্যারোমা থেরাপি পদ্ধতি আজ সারা বিশ্বেই সমাদৃত। এই থেরাপি অনুসারে, বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধ আমাদের মন এবং শরীরের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। আমরা অনেকেই হয় তো লক্ষ্য করেছি যে, আমরা যখনই কোনও যোগাসন প্রতিষ্ঠান, মেডিটেশন হাউজ, মন্দির বা সুসজ্জিত হোটেলে যাই তখন এক নির্দিষ্ট সুগন্ধ আমাদের মনকে মোহিত করে, শান্ত করে। Representative Image
এই ধরনের সুগন্ধি ব্যবহারের অন্যতম উদ্দেশ্য হল মন থেকে বিরক্তিকর ধ্যান-ধারণা, বিভ্রান্তি, নানা উত্তেজনাপূর্ণ চিন্তা সরিয়ে মনকে প্রশান্তি দান করা। একই ভাবে আমাদের প্রাত্যহিক ঘরকন্নার কাজে ব্যবহৃত এমন কিছু ভেষজ রয়েছে যাদের ধোঁয়া আমাদের ঘরকে কেবল শুদ্ধই করে না, বরং ধূঁপের ধোয়ার মতো একই উদ্দেশ্য সাধন করে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কাজে আসে তেজপাতা। রোজ ঘরে ধূপের মতো তেজপাতা পোড়ালে কী লাভ হতে পারে? অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় যে, আমাদের শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে তেজপাতার ধোঁয়া বিশেষ কার্যকরী। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও ভেষজ পাতার গন্ধ এমনিতেই পোকামাকড় বা কীটপতঙ্গকে দূরে রাখে, ফলে ঘরের ভিতর পরিচ্ছন্ন থাকবে। Representative Image
এর জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি তেজপাতা নিয়ে বাড়ির ভেতরেই কোনও কোণে জ্বালিয়ে রাখতে হবে। ক্রমে ক্রমে এই ধোঁয়া সারা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়বে। এতে আমাদের মানসিক ক্লান্তি দূর হবে। ভেরিকোজ ভেনিস এবং জয়েন্টের ব্যথার মতো সমস্যা দূর হবে। পোড়ানো তেজপাতার ধোঁয়া ভাইরাল ইনফেকশনের মতো বিভিন্ন রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে। Representative Image