সুস্থ হৃদযন্ত্র (Heart Health) এবং দীর্ঘ জীবন সমার্থক ৷ জানেন কি, দৈনন্দিন জীবনের চিরচেনা পানীয় চা-এরও (Usefulness of Tea) অবদান আছে হৃদযন্ত্রের সুস্থতার পিছনে ৷ সবরকম চা কিন্তু সমানভাবে হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল বা মন্দ নয় ৷ আসুন, জেনে নিই কোন চায়ের সঙ্গে আমাদের হৃদয়ের সম্পর্ক (World Heart Day) কেমন ৷ কালো চায়ে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট প্রচুর পরিমাণে আছে ৷ শরীরের পাশাপাশি হৃদযন্ত্রকেও ডিটক্স করে কালো চা ৷ অন্যদিকে কালো চায়ে অত্যন্ত বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন আছে ৷ যাঁদের উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা এবং দ্রুত হৃদস্পন্দনের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ক্যাফেইন ক্ষতিকারক ৷ তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয় কালো চা ৷ কয়েক দশক আগেও বাঙালি বাড়িতে দুধ চায়ের প্রচলন ছিল অনেক বেশি ৷ সর ফেলা ঘন দুধের চা খেতে ভাল লাগলেও শরীরের জন্য তথা হৃদযন্ত্রের সুস্থতার ক্ষেত্রে আদৌ উপকারী নয় ৷ উলুং হল সেমি অক্সিডাইজড টি ৷ এর প্রভাবে উচ্চরক্তচাপ ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় ৷ কিন্তু যাঁরা হৃদযন্ত্রের জন্য ব্লাড থিনার জাতীয় ওষুধ খান, তাঁদের উলুং টি খেতে নিষেধ করা হয় ৷ তবে চা মাত্রই কিন্তু হৃদযন্ত্রের প্রতি ক্ষতিকর নয় ৷ গ্রিন টি যেমন বেশ উপকারী হৃদযন্ত্রের জন্য ৷ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি সবুজ চা খারাপ কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লাইসেরাইডসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ৷ এই চায়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হৃদযন্ত্রের ধমনির সুস্থতার খেয়াল রাখে ৷ এখন হালফ্যাশনের চা পানে নতুন করে উঠে এসেছে ক্যামোমাইল টি ৷ ডেইজি গোত্রের গুল্মজাতীয় ক্যামোমাইল ফুলের পাপড়ি শুকিয়ে তৈরি করা হয় এই চা ৷ স্বাদে ও গন্ধে হাল্কা ও অতুলনীয় ৷ দেহে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই চা ৷ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হলে সুস্থতা বাড়ে হৃদযন্ত্রেরও ৷ সে দিক দিয়ে হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই চা উপকারী ৷