Saree Draping Artist: এক সময় শাড়ি ছিল না-পসন্দ! আজ সেই শাড়ি পরিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করেন তারকা ড্রেপিং শিল্পী ডলি!
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Celebrity Draping Artist Dolly Jain: এত দিনে তাঁকে সকলেই চিনে গিয়েছেন। শুধু দীপিকা, সোনম কিংবা আলিয়া নন, ডলির হাতের ছোঁয়ায় সুন্দর হয়ে উঠেছেন নয়নতারা, ক্যাটরিনা কাইফ, অনুষ্কা শর্মা-সহ প্রথম সারির অভিনেত্রীরা। এমনকী আম্বানি পরিবারের মহিলাদের শাড়ি পরানোর জন্যও ডাক পান ডলি।
দীপিকা পাড়ুকোনের রিসেপশনের শাড়ি-সাজের কথা মনে আছে তো! আইভরি-গোল্ড চিকনকারি শাড়িতে যেন স্বর্গীয় রূপ ধরা পড়েছিল রণবীর ঘরণীর! আর সোনম কাপুরের সেই মেহেন্দি লুক! আইভরি লেহেঙ্গায় ফুটে উঠেছিল চিকনকারি কাজ। এর পর আলিয়া ভাটের বিয়ের সেই ছিমছাম সাজও নজর কেড়েছে ভক্তদের। প্যাস্টেল শেডের লেহেঙ্গা শাড়িতে কী অপূর্বই না দেখাচ্ছিল কাপুর পরিবারের নববধূকে! আর বলিউডের এই সব তারকা অভিনেত্রীর বিশেষ দিনের সাজ আরও সুন্দর হয়ে উঠেছিল তাঁর হাতের ছোঁয়ায়। তিনি হলেন ডলি জৈন।
advertisement
এত দিনে তাঁকে সকলেই চিনে গিয়েছেন। শুধু দীপিকা, সোনম কিংবা আলিয়া নন, ডলির হাতের ছোঁয়ায় সুন্দর হয়ে উঠেছেন নয়নতারা, ক্যাটরিনা কাইফ, অনুষ্কা শর্মা-সহ প্রথম সারির অভিনেত্রীরা। এমনকী আম্বানি পরিবারের মহিলাদের শাড়ি পরানোর জন্যও ডাক পান ডলি। নীতা আম্বানি তো বটেই, তাঁর পুত্রবধূ শ্লোকা আম্বানিও ডলির ভক্ত। এমনকী আম্বানি পরিবারের হবু বধূ রাধিকা মার্চেন্টকেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শাড়ি পরিয়েছেন ডলি। শুধুমাত্র শাড়ি পরিয়েই হয়ে উঠেছেন দেশের এক নম্বর ড্রেপিং আর্টিস্ট।
advertisement
advertisement
advertisement
এই শাড়ি পরানোর পেশায় প্রচুর রোজগার করেন ডলি। শুধু শাড়ি পরানো কিংবা ওড়না সেট করার জন্য ৩৫ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চার্জ করেন তিনি। এটা দেখে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন, যেহেতু এই পেশায় ডলির কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, তাই তিনি এগিয়ে যেতে পারছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও শাড়ি পরার বিষয়ে হামেশাই বিভিন্ন টিপস শেয়ার করেন এই শিল্পী।
advertisement
কিন্তু এই অদ্ভুত পেশা কেন আর কীভাবে বেছে নিলেন ডলি।? এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যে শাড়ি আজ তাঁকে রুজি-রুটি দিয়েছে, সেই শাড়িই এক সময়ে না-পসন্দ ছিল তাঁর! ডলির কথায়, “আমার এমন একটা বাড়িতে বিয়ে হয়েছিল, যেখানেই শুধুই শাড়ি পরতে হত। আর আমি শাড়ি পরতে একদম পছন্দ করতাম না। বিয়ের পরে প্রতিদিন শাড়ি পরতে আমার প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লেগে যেত। আমি অপেক্ষা করে থাকতাম, কবে আমার শাশুড়ি মা আমায় শাড়ি ছেড়ে কুর্তি পরার অনুমতি দেবেন!” এভাবেই শাড়ি পরানোর পেশায় আসা। অবশ্য শাশুড়িকে রাজি করাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিল ডলিকে। তিনি রাজি হতেই কাজ শুরু করেন ডলি। আর এখন শাড়িই তাঁর ভালবাসা!