'বয়স' অনুযায়ী দিনে কতটা 'ঘুমানো' উচিত...? 'সঠিক' হিসেব জানতে মিলিয়ে নিন স্লিপ চার্ট

বর্তমান ব্যস্ত জীবন মানুষের শান্তি কেড়ে নিয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পরিশ্রম করার পরও মানুষ মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন, যা তাঁদের রাতের ঘুমের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।

মানসিক চাপ দূরে রাখতে অনেকেই সারারাত টিভি বা মোবাইলে সিনেমা দেখেন। আবার জীবনের নানা পার্থিব দুশ্চিন্তায় ঘুম হারিয়ে ফেলেন অনেকে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর।

ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, আপনি যদি সুস্থ জীবনযাপন করতে চান তাহলে রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

শুধু তাই নয়, উন্নত স্বাস্থ্য এবং সর্বাঙ্গীন সুস্থ বৃদ্ধির জন্য, প্রতিটি বয়সের মানুষের ঘুমের প্রয়োজনও বয়স ভেদে পরিবর্তিত হয়। এমন পরিস্থিতিতে দেখে নেওয়া যাক কোন বয়সে কতটা ঘুম দরকার।

কোন বয়সে কত ঘুম প্রয়োজন?
স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে , একটি ৪ থেকে ১২ মাস বয়সি শিশুর কমপক্ষে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। যেখানে ১ থেকে ২ বছরের শিশুর জন্য ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

যখন শিশুটি প্রি-নার্সারিতে যেতে শুরু করে অর্থাৎ ৩ থেকে ৫ বছর বয়সে পৌঁছয়, তখন তার জন্য ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

একইভাবে ৬ থেকে ১২ বছরের একটি শিশুর প্রয়োজন ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুম। শিশুরা যখন কিশোর বয়সে পৌঁছায়, তাদের ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।

১৮ বছর বয়সের পরে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কমপক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

আবার বয়স্ক অর্থাৎ, ৬০ বছরের বেশি বয়সিদেরও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারিতা:
- কম ঘুমের ফলে স্থূলতার সমস্যা অর্থাৎ ওজন বৃদ্ধি হতে পারে।
-পর্যাপ্ত ঘুম হলে আপনার স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী থাকে এবং আপনি সহজে কিছু ভুলে যান না।

-এটা করলে অ্যাথলেটিক ও শারীরিক কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
-রাতে সাত ঘণ্টা ঘুমালে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

-পর্যাপ্ত ঘুম না হলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হতে পারে।
- ঘুম না হলে বিষণ্নতা এবং উদ্বেগের মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।