Sikkim Tourism: সিকিম ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ! উদ্বোধন হতে চলেছে ৩ পর্যটন গ্রামের, দিনক্ষণ ঘোষণা করল 'ACT'
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Ricktik Bhattacharjee
Last Updated:
এই বছর উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ইন্দো–নেপাল সাংস্কৃতিক উৎসব, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। আয়োজকদের মতে, “চেরি ব্লসম কেবল একটি ফুল নয়, এটি কৃষি ও সংস্কৃতির সংযোগও ঘটায়।”
দক্ষিণ সিকিমের টেমি চা বাগান আবারও সাজছে রঙিন চেরি ফুলে। আগামী ৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ‘টেমি চেরি ব্লসম’ উৎসব। বৃহস্পতিবার আয়োজকদের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে এই মরশুমের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘোষণা করা হয়। প্রতি বছরই চা বাগানের গায়ে গোলাপি-সাদা ফুলের মেলা দেখতে ভিড় জমান হাজার হাজার দেশি–বিদেশি পর্যটক। এবছর উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে একাধিক নতুন আকর্ষণ, যা সিকিমের পর্যটন মানচিত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। (ছবি ও তথ্য: ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
advertisement
এই বছর উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ইন্দো–নেপাল সাংস্কৃতিক উৎসব, যা দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় ও বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। আয়োজকদের মতে, “চেরি ব্লসম কেবল একটি ফুল নয়, এটি কৃষি ও সংস্কৃতির সংযোগও ঘটায়।” স্থানীয়ভাবে 'পায়ু গাছ' নামে পরিচিত এই চেরি ফুল ধান কাটার মরশুমের সূচক হিসেবে ধরা হয়। এই ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সিকিমের পাহাড়ে ভিড় বাড়বে বলে অনুমান।
advertisement
Association for Conservation & Tourism (ACT)–এর উদ্যোগে এবছর উৎসবকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরার বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত পেরিয়ে পর্যটন উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। ভুটানের ফুয়েন্টশোলিংয়ের কাছে পাচু হারভেস্ট ফেস্টিভ্যাল এবং নেপালের ধানকুটা হারভেস্ট ফেস্টিভ্যাল–এর সাফল্যের পর এবার সিকিমেও উৎসবের ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে।
advertisement
চেরি ব্লসম উৎসবের সময়ই সিকিমে উদ্বোধন হতে চলেছে তিনটি নতুন গ্রামীণ পর্যটন গ্রাম — গ্যাংচুং, বেন ও চালামথাং। এর মধ্যে দুটি গ্রাম উপজাতি সম্প্রদায়ের, যা পর্যটকদের কাছে নতুন সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা এনে দেবে। পাশাপাশি, ৯৫০০ ফুট উচ্চতার তেন্ডু হিল ট্রেক চালু করা হচ্ছে এই উৎসবের অংশ হিসেবেই। সিকিমে প্রথমবারের মতো অ্যাস্ট্রোটুরিজম (রাতের আকাশ দেখা পর্যটন)–এর সূচনাও হবে এই উৎসব থেকেই।
advertisement
স্থানীয় বিধায়ক বেদুসিং পন্থ এই উদ্যোগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। গ্রামীণ পর্যটন ও হোমস্টে প্রকল্পের দায়িত্বে আছেন অমৃত শর্মা, অ্যাস্ট্রোটুরিজম পরিচালনা করবেন প্রশান্ত লামিছানে, আর সংবাদ সমন্বয়ের দায়িত্বে রয়েছেন তনিষ্ঠা রক্ষিত। সব মিলিয়ে, নভেম্বরের এই উৎসবকে ঘিরে আবারও সাজছে পাহাড় — যেখানে প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও পর্যটন মিলবে এক সুতোয়। (ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য)
