Shefali Jariwala Glutathione Injection: এই বিশেষ ইঞ্জেকশনের কারণেই কি 'শেষ' হয়েছেন শেফালি জরিওয়ালা! জানুন এই ক্ষতিকর দিক...

Last Updated:
Shefali Jariwala Glutathione Injection: শেফালি জরিওয়ালার আকস্মিক মৃত্যু গ্লুটাথিয়োন ইনজেকশনের ঝুঁকি নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নেওয়া এই ইনজেকশন হৃদরোগ, রক্তচাপ পতনসহ মারাত্মক বিপদের কারণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা, বিস্তারিত জানুন...
1/9
অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জরিওয়ালার অকাল মৃত্যুর ঘটনায় গ্লুটাথিয়োন ইনজেকশন সংক্রান্ত সচেতনতা ও উদ্বেগ এক লাফে বেড়ে গেছে। ৪২ বছর বয়সে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা একটি গ্লুটাথিয়োন ও ভিটামিন C ইনজেকশন নেওয়ার পরে রক্তচাপ অত্যধিক কমে যাওয়ার কারণে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অভিনেত্রী ও মডেল শেফালি জরিওয়ালার অকাল মৃত্যুর ঘটনায় গ্লুটাথিয়োন ইনজেকশন সংক্রান্ত সচেতনতা ও উদ্বেগ এক লাফে বেড়ে গেছে। ৪২ বছর বয়সে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা একটি গ্লুটাথিয়োন ও ভিটামিন C ইনজেকশন নেওয়ার পরে রক্তচাপ অত্যধিক কমে যাওয়ার কারণে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
2/9
চিকিৎসকরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, বিভিন্ন ক্লিনিক-বহির্ভূত জায়গায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত IV ইনজেকশন এবং অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে যেসব ইনজেকশন গ্লুটাথিয়োন দিয়ে ত্বক ফর্সা করার জন্য দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার হলে বিপজ্জনক হতে পারে।
চিকিৎসকরা এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন যে, বিভিন্ন ক্লিনিক-বহির্ভূত জায়গায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত IV ইনজেকশন এবং অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। বিশেষ করে যেসব ইনজেকশন গ্লুটাথিয়োন দিয়ে ত্বক ফর্সা করার জন্য দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহার হলে বিপজ্জনক হতে পারে।
advertisement
3/9
যশোদা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের কসমেটোলজি ও ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ সারিতা সাংকে (Dr. Sarita Sanke) জানান, গ্লুটাথিয়োনের ত্বক ফর্সা করার ক্ষমতা মূলত মেলানিন উৎপাদন কমানোর মাধ্যমে কাজ করে। এটি বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়— যেমন ওরাল সাপ্লিমেন্ট, টপিক্যাল ক্রিম, ও ইনজেকশনের মাধ্যমে।
যশোদা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের কসমেটোলজি ও ডার্মাটোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ সারিতা সাংকে (Dr. Sarita Sanke) জানান, গ্লুটাথিয়োনের ত্বক ফর্সা করার ক্ষমতা মূলত মেলানিন উৎপাদন কমানোর মাধ্যমে কাজ করে। এটি বিভিন্ন রূপে পাওয়া যায়— যেমন ওরাল সাপ্লিমেন্ট, টপিক্যাল ক্রিম, ও ইনজেকশনের মাধ্যমে।
advertisement
4/9
তিনি জানান, সাবলিঙ্গুয়াল বা ইফারভেসেন্ট ট্যাবলেট রূপে ওরাল গ্লুটাথিয়োন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সহজলভ্য। এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং সামান্য সময়ের ব্যবহারে ত্বক ফর্সা করার প্রভাব দেখা যায়। টপিক্যাল ক্রিমও কিছুটা কাজে দেয়, তবে তার কার্যকারিতা একেক জনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়।
তিনি জানান, সাবলিঙ্গুয়াল বা ইফারভেসেন্ট ট্যাবলেট রূপে ওরাল গ্লুটাথিয়োন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সহজলভ্য। এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম এবং সামান্য সময়ের ব্যবহারে ত্বক ফর্সা করার প্রভাব দেখা যায়। টপিক্যাল ক্রিমও কিছুটা কাজে দেয়, তবে তার কার্যকারিতা একেক জনের ক্ষেত্রে একেকরকম হয়।
advertisement
5/9
ডাঃ সাংকে বলেন, “IV গ্লুটাথিয়োন ইনজেকশন দ্রুত কাজ করলেও এর ঝুঁকি মারাত্মক। এতে অ্যানাফাইল্যাকটিক শক, লিভার টক্সিসিটি ইত্যাদি ঘটতে পারে।” এছাড়াও সঠিক ডোজ নির্ধারণের কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের অভাবে এর ব্যবহার বিপদজনক।
ডাঃ সাংকে বলেন, “IV গ্লুটাথিয়োন ইনজেকশন দ্রুত কাজ করলেও এর ঝুঁকি মারাত্মক। এতে অ্যানাফাইল্যাকটিক শক, লিভার টক্সিসিটি ইত্যাদি ঘটতে পারে।” এছাড়াও সঠিক ডোজ নির্ধারণের কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন না থাকায় ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যের অভাবে এর ব্যবহার বিপদজনক।
advertisement
6/9
নিরাপদ ব্যবহারের পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি জানান— ওরাল ডোজ: প্রথম তিন মাস: প্রতিদিন ১০০০-২০০০ মি.গ্রা., তারপর মেইনটেন্যান্স ডোজ: প্রতিদিন ৫০০ মি.গ্রা., ২০০০ মি.গ্রা.র বেশি নয় এবং দীর্ঘদিন টানা ব্যবহার না করাই ভালো।
নিরাপদ ব্যবহারের পরামর্শ দিতে গিয়ে তিনি জানান— ওরাল ডোজ: প্রথম তিন মাস: প্রতিদিন ১০০০-২০০০ মি.গ্রা., তারপর মেইনটেন্যান্স ডোজ: প্রতিদিন ৫০০ মি.গ্রা., ২০০০ মি.গ্রা.র বেশি নয় এবং দীর্ঘদিন টানা ব্যবহার না করাই ভালো।
advertisement
7/9
IV ডোজ (শুধুমাত্র চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে): প্রথম ৪-৬ সপ্তাহ: প্রতি সপ্তাহে ১২০০–১৮০০ মি.গ্রা. তারপর প্রতি সপ্তাহে ৬০০–১২০০ মি.গ্রা., সাথে সাথেই অন্য ওষুধ গ্রহণকারী বা অন্য শারীরিক সমস্যার রোগীদের গ্লুটাথিয়োন নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
IV ডোজ (শুধুমাত্র চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে): প্রথম ৪-৬ সপ্তাহ: প্রতি সপ্তাহে ১২০০–১৮০০ মি.গ্রা. তারপর প্রতি সপ্তাহে ৬০০–১২০০ মি.গ্রা., সাথে সাথেই অন্য ওষুধ গ্রহণকারী বা অন্য শারীরিক সমস্যার রোগীদের গ্লুটাথিয়োন নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
advertisement
8/9
শেফালি জরিওয়ালার এই দুর্ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যতই ট্রেন্ড হোক না কেন, চিকিৎসকবিহীন ত্বক চিকিৎসা জীবনের জন্য ভয়ানক হতে পারে। দ্রুত ফল পেতে গিয়ে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে ফেললে বিপদ বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, “সতর্কতাই সর্বোত্তম সুরক্ষা।”
শেফালি জরিওয়ালার এই দুর্ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যতই ট্রেন্ড হোক না কেন, চিকিৎসকবিহীন ত্বক চিকিৎসা জীবনের জন্য ভয়ানক হতে পারে। দ্রুত ফল পেতে গিয়ে শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে ফেললে বিপদ বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, “সতর্কতাই সর্বোত্তম সুরক্ষা।”
advertisement
9/9
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
advertisement
advertisement
advertisement