Sattu:মাছের থেকেও বেশি 'প্রোটিন' ছাতুতে, কমায় ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল-ওজন, কিন্তু কারা ছাতু খেলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন? পড়ুন

ছাতু নিঃসন্দেহে 'সুপারফুড'। সস্তায় ভরপেট পুষ্টি। যেখানে ১০০ গ্রাম মাছে ১৬-২০ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়, সেখানে ১০০ গ্রাম ছাতুতে ২০-২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পাশাপাশি, ১০০ গ্রাম ছাতুতে কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ৬০-৬৫ গ্রাম।

ছাতুর গুণ বলে শেষ করা যায় না। পেশির গঠনে, ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে, চুল পড়া কমাতে এক্সপার্ট ছাতু। ছাতুতে যে আয়রন থাকে, তা মহিলাদের জন্য খুব জরুরি। ছাতুতে থাকে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

ওজন কমাতে অনেকেই ছাতু খান। কারণ, ছাতুতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম, অথচ ভরপুর প্রোটিন আছে এবং অনেক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। বিশেষ করে এই গরমে ছাতুর শরবতের চাহিদা বেড়ে যায়।

১০০ গ্রাম ছাতুতে থাকে ২০.৬ শতাংশ প্রোটিন, ৭.২ শতাংশ ফ্যাট, ১.৩৫ শতাংশ ফাইবার, ৬৫.২ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২.৭ শতাংশ ভুষি, ২.৯৫ শতাংশ ময়শ্চার ও ৪০৬ ক্যালোরি এনার্জি। কিন্তু এত গুণ থাকা সত্তবেও সবার ছাতু খাওয়া উচিত নয়। কারা ছাতু ভুলেও খাবেন না?

ছাতু কোলেস্টেরল কমায়: ছাতুতে থাকে প্রচুর ফাইবার, কাজেই নিয়মিত ছাতু খেলে কোলেস্টেরল কমে। কমায় রক্তচাপ-ও, হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।

ছাতু রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়: ছাতুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই ডায়াবেটিকরা নিয়মিত ছাতু খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। ছাতু শক্তির জোগান দেয় আবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও থাকে নিয়ন্ত্রণে।

ছাতু হজমের জন্য ভাল: ছাতুতে থাকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক-এর মতো খনিজ। এতে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা ইনসটেস্টাইনের জন্য খুব ভাল। ছাতু কোলোন পরিষ্কার রাখে, অ্যাসিডিটির সমস্যা মেটায়, হজমশক্তি উন্নত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ছাতু ওজন কমায়-- খালিপেটে রোজ ছাতু খেলে ওজন কমে। ছাতু মেটাবলিজম-এর হার বাড়ায়, ফলে ওজন কমে ঝটপট।

ত্বক ও চুল ভাল রাখে: ছাতুতে থাকে নানা ভিটামিন ও খনিজ, ফলে এথি ত্বক ও চুলের জন্য খুব ভাল। নিয়মিত ছাতুর শরবত খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে, চুল পড়া কমে। তা ছাড়া চুলের পুষ্টিও হয়।

কারা ছাতু খাবেন না? ছাতুর অনেক গুণ রয়েছে ঠিক-ই! কিন্তু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। প্রথমত বেশি ছাতু খেলে পেটে গ্যাস হয়। কাজেই যাঁদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে, তাঁরা হয় ছাতু খাবেন না, বা পরিমিত পরিমাণে খান। যাঁদের গলব্লাডারে গলস্টোন আছে, তাঁরাও ছাতু খাবেন না। যাঁদের ছোলায় অ্যালার্জি আছে, ছোলা হজম করতে অসুবিধা হয়, তাঁরাও ছাতু খাবেন না।

একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষ রোজ ৩০-৪০ গ্রাম ছাতু খেতে পারেন। যদি পেট ভার লাগে,তবে রোজ এক চামচ করে ছাতু খাওয়া শুরু করে দেখুন। হজম করতে পারলে ধীরে-ধীরে পরিমাণ বাড়ান।