One Plant Army: পুরুষত্বহীনতা দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী, সারায় আরও হাজার রোগ, সপ্তপর্ণীর নাম শুনেছেন?

সপ্তপর্ণীকে আয়ুর্বেদে সেই ওষুধগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যার একইসঙ্গে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এটি একটি চিরসবুজ গাছ। তবে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাসে এই গাছে ছোট ছোট সবুজ ও সাদা ফুল ফোটে।

মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড এলাকায় এই ঔষধি গাছ দেখতে পাওয়া যায়, তবে, এগুলি বর্তমানে সংখ্যায় খুব কমই দেখা যায়। মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই গাছটি পাওয়া যায়।

এই গাছটি বেশিরভাগ হিমালয় অঞ্চলে এবং ভারতের পার্শ্ববর্তী দেশের কিছু অঞ্চলে জন্মায়। এই গাছের বাকল সাধারণত ধূসর রঙের হয়। এগুলি ঐতিহ্যগত ভাবে দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, সাপের কামড়ের চিকিৎসা, দাঁতের ব্যথা এবং আমাশয় সহ হাজার হাজার রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই গাছের পাতা বেরিবেরি (ভিটামিন বি১-এর অভাবজনিত রোগ) চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।

এই গাছটি নানা চিকিৎসায় খুবই কার্যকরী। এটি এমন একটি উদ্ভিদ যা আয়ুর্বেদিক সিদ্ধ ও ইউনানি চিকিৎসা-সহ আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। দুর্বলতা দূর করা থেকে শুরু করে ক্ষত নিরাময় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে জন্ডিস পর্যন্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় সপ্তপর্ণী একটি কার্যকর ওষুধ হিসেবে পরিচিত।

যদিও এই উদ্ভিদের বেশিরভাগ অংশেই ঔষধি গুণ রয়েছে, তবুও এর বাকল বহু শতাব্দী ধরে ম্যালেরিয়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সপ্তপর্ণী এই রোগের চিকিৎসায় কার্যকরী ওষুধ।

আয়ুষ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. ব্রজেশ কুলপারিয়া জানান, সপ্তপর্ণী এমন একটি ঔষধি গাছ, যাতে সাতটি পাতার গুচ্ছ রয়েছে, যার কারণে এই গাছটির নাম সপ্তপর্ণী রাখা হয়েছে। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সর্দি, কাশি এবং জ্বরে ব্যবহৃত হয়। ২০১৯ সালে, যখন সমগ্র দেশ কোভিড ১৯-এর কবলে অস্থির, তখন আয়ুষ রোগীদের জন্য একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিতরণ শুরু করে, যার অন্যতম উপাদান ছিল সপ্তপর্ণী।