আখ বা তাল থেকে অপ্রক্রিয়াজাত যে মিষ্টিখণ্ড বার হয়, সেটাই মিছরি৷ বহু বছ ধরেই নানা সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হিসেবে কার্যকর এই উপাদান৷ বিশেষ করে গরমে সুস্থ থাকতে মিছরি জুড়িহীন৷ মিছরি মানে গরমকালের দুপুরের প্রাণ জুড়িয়ে তোলা পানা৷ (Benefits of rock sugar or mishri)
2/ 9
গ্রীষ্মে সুস্বাদু পানা হিসেবে মিছরি অতুলনীয়৷ গরমের নানা কুপ্রভাব থেকে শরীরকে রক্ষা করে৷ মাখন ও মিছরির মিশ্রণ মালিশ করলে কমে যায় হাত ও পা জ্বালা করার সমস্যাও৷
3/ 9
মিছরি ভিজিয়ে পানা তৈরি করে রাখুন৷ বাইরে চড়া রোদ থেকে ঘরে কেউ এলে তাঁকে দিন৷ নিমেষে ক্লান্তি জুড়োবে৷ শরীরে শর্করার পরিমাণও বাড়বে৷ বাচ্চারা দুপুরে স্কুল থেকে ফিরলে সফ্ট ড্রিঙ্কের বদলে মিছরির পানা দিন৷
4/ 9
একটুকরো মিছরি খান আদার সঙ্গে৷ এর ফলে শ্লেষ্মা কমবে৷ সর্দিকাশির সমস্যাও প্রতিহত হবে৷
5/ 9
মিছরি, গোলমরিচ, শুকনো আদা ও সামান্য ঘি মিশিয়ে তৈরি করুন মিশ্রণ৷ গরমে মাইগ্রেনের সমস্যা দূর করতে রাতে ঘুমনোর আগে এই মিশ্রণ খান এক চিমটে৷ পরের দিন সকালে মাথাব্যথা সমস্যা কমবে অনেকটাই৷
6/ 9
গলার সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে এক খণ্ড মিছরি মুখে রাখুন৷ প্রথমেই চিবিয়ে খেয়ে ফেলবেন না৷ দেখুন, ধীরে ধীরে যাতে এর নির্যাস আপনার গলা দিয়ে প্রবেশ করে৷ এতে আপনার কণ্ঠের কর্কশ ভাব দূর হবে৷
7/ 9
এছাড়া এলাচ ও মিছরি গুঁড়ো করুন ২:১ অনুপাতে৷ এই মিশ্রণ দিনভর ৩ থেকে ৪ বার চিবোতে থাকুন৷ যতক্ষণ না অবধি সর্দিকাশি ও গলার কর্কশতা দূর হয়, তত ক্ষণ৷
8/ 9
এক চামচ আমলকি পাউডার, হলুদগুঁড়ো, মিছরি, এক চিমটে গোলমরিচ মিশিয়ে নিন৷ এক পেয়ালা উষ্ণ দুধে এই মিশ্রণ মিশিয়ে পান করলে সর্দিকাশি ও নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দূর হয়৷
9/ 9
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে মিছরি বহুদিন ধরেই ওষধি হিসেবে সমাদৃত৷ রক্তাল্পতা রোগে হিমোগ্লোবিন কমে যায় দ্রুত৷ আয়ুর্বেদ মতে, এই সমস্যায় প্রতিদিন উষ্ণ দুধে জাফরান ও মিছরি মিশিয়ে পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷