Rice Storage Tips: চালের মধ্যে সাদা পোকার উৎপাত হচ্ছে? ছোট্ট ছোট্ট এবং সহজ কিছু পন্থা অবলম্বন করলেই এই সমস্যা থেকে অচিরেই মিলবে মুক্তি
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
আর পোকামাকড়ের উৎপাতের জেরে মজুত করে রাখা চাল একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। বলা ভাল, সেই চাল আর খাওয়ার মতো থাকে না।
বেশিরভাগ মানুষের প্রধান খাদ্য হল ভাত। প্রত্যেক দিন পাতে সাদা জুঁইফুলের মতো ভাত না থাকলে যেন ক্ষুধা মেটে না। আর ভাত করার জন্য বাড়িতে চাল মজুত করে রাখা হয় অধিকাংশ বাড়িতেই। আর দীর্ঘ সময় ধরে বাড়ির ভাঁড়ারে চাল মজুত করে রাখা হলে তাতে পোকা ধরে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। আর পোকামাকড়ের উৎপাতের জেরে মজুত করে রাখা চাল একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। বলা ভাল, সেই চাল আর খাওয়ার মতো থাকে না। অনেক দিন ধরে মজুত করে রাখা চালের ভিতর ছোট্ট ছোট্ট কালো পোকা দেখা যায়। (Representative Image)
advertisement
শুধু তা-ই নয়, কিছু কিছু সময় সাদা শুঁয়োপোকার মতো ছোট্ট ছোট্ট পোকাও দেখা দিতে পারে। আসলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে চালের মধ্যে ছত্রাক দেখা দেয়। আর দুর্গন্ধও ছড়াতে থাকে। এই পোকার উৎপাতের জন্য অনেক সময় শক্ত হয়ে যায় চাল। যা রান্নার জন্য একেবারেই উপযুক্ত থাকে না। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আগে থেকেই গ্রহণ করা আবশ্যক।
কারণ মজুত রাখা চালের মধ্যে একবার পোকামাকড় ছড়িয়ে পড়লে তা দূর করা খুব মুশকিল হয়ে যায়। (Representative Image)
কারণ মজুত রাখা চালের মধ্যে একবার পোকামাকড় ছড়িয়ে পড়লে তা দূর করা খুব মুশকিল হয়ে যায়। (Representative Image)
advertisement
কিন্তু কিছু ছোট্ট ছোট্ট সাধারণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলে চালকে পোকামাকড়ের উপদ্রবের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। সেই সঙ্গে দীর্ঘ সময়ের জন্য সহজেই চাল মজুত রাখা যাবে। আজকের প্রতিবেদনে এই সংক্রান্ত কিছু টিপসের ব্যাপারেই আলোচনা করে নেওয়া যাক। বহু সময় ধরে মজুত রাখা চালের মধ্যে সাদা পোকার উপদ্রব খুবই সাধারণ বিষয়। যদিও ছোট্ট ছোট্ট কিছু উপায় অবলম্বন করে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রথমেই সবথেকে সহজ যে উপায়, সেটা হল - চালের পাত্রে চালের সঙ্গে সঙ্গে নিমপাতা, লবঙ্গ, তেজপাতা অথবা শুকনো লঙ্কা রেখে দেওয়া। (Representative Image)
advertisement
এতে পোকামাকড়ের উৎপাতের হাত থেকে বাঁচানো যেতে পারে মজুত রাখা চালকে। এখানেই শেষ নয়, চালের ময়েশ্চার বা আর্দ্রতা দূর করার জন্য বেশ কিছুদিন অন্তর সূর্যালোকে বা রোদে রেখে চাল শুকিয়ে নিতে হবে। এতে পোকামাকড় হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। চাল কেনার সময় আরও একটা বিষয় মনে রাখা আবশ্যক যে, নতুন চালের তুলনায় পুরনো চাল কেনা ভাল। কারণ নতুন চালে বেশি পরিমাণে আর্দ্রতা থাকে। যা পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ।
(Representative Image)
(Representative Image)
advertisement
এর পাশাপাশি, দোকান থেকে চাল কেনার সময় চালের গুণমানের উপরেও নজর দিতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানে মজুত রাখা চাল না কেনাই ভাল। আর চাল সব সময় ঠান্ডা জায়গায় মজুত করা উচিত, বিশেষ করে যেখানে সরাসরি সূর্যালোক পৌঁছতে পারে না। যেখানে চাল মজুত করা হচ্ছে, সেখানে অল্প পরিমাণে হিং রেখে দিতে হবে। এর গন্ধে চালের কাছ ঘেঁষতে পারবে না পোকামাকড়। চালের বস্তা বা ড্রামে নিম পাতা রাখা যেতে পারে। কারণ এর মধ্যে কীটনাশকারী উপাদান রয়েছে। এর পাশাপাশি রসুনের কোয়াও চালের বস্তায় রাখলে উপকার পাওয়া যাবে। ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে দূরে পালাবে পোকামাকড়। (Representative Image)
advertisement