Heart Attack at Young Age: অল্পবয়সিদের মধ্যে কেন বাড়ছে হৃদরোগ? প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

হৃদরোগ হানা দিতে পারে যখন তখন৷ বয়স চল্লিশ কি পঞ্চাশের কোঠাতে থাকলেও আচমকাই নিজের কাজ থেকে অবসর নিতে পারে হৃদযন্ত্র৷ সিদ্ধার্থ শুক্লর পরে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের অকালপ্রয়াণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে হৃদরোগ চিকিৎসার কোনও সুযোগই দিচ্ছে না৷(Reasons behind heart attack at young age) ( ছবি : ফেসবুক)

একাধিক কারণে হৃদরোগ হতে পারে অল্প বয়সে৷ সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ধূমপান৷ গবেষণা বলছে, ধূমপানের অভ্যাস থাকলে অধূমপায়ীদের তুলনায় হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায় অন্তত ৮ গুণ৷

ফ্যামিলিয়াল হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়ার শিকার হলে অল্প বয়স থেকে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে৷ হৃদরোগের বড় কারণ খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া৷

তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এখন অত্যধিক হারে মধুমেহ ও উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ এই দুই রোগই বংশানুক্রমিক অনেক ক্ষেত্রে৷ তাছাড়া অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনও জড়িয়ে আছে এই দুই অসুখের সঙ্গে৷ দীর্ঘ দিন ধরে মধুমেহ ও উচ্চরক্তচাপ থাকলে তার ফলস্বরূপ হৃদরোগ দেখা দিতে পারে৷

মানসিক স্থিতি সব সময়েই জড়িয়ে থাকে স্বাস্থ্যের সঙ্গে৷ তাই ঘন ঘন ডিপ্রেশনের শিকার হলে তার পরিণতি মসৃণ হয় না৷ ডিপ্রেশন থেকেই শরীরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেশি হয়৷ শরীরে বেড়ে যায় ইনফ্লেম্যাটরি কেমিক্যাল৷ তাই অল্প বয়স থেকেই চেষ্টা করতে হবে যাতে ডিপ্রেশন থেকে দূরে থাকা যায়৷

স্ট্রেস ও মানসিক উদ্বেগও শরীরের ক্ষতি করে প্রভূত৷ এই দুই কারণের জন্যেও হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ তাই হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে হলে স্ট্রেস ও মানসিক উদ্বেগ ভুলে যেতে হবে৷

শরীরের সার্বিক সুস্থতার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে পর্যাপ্ত ঘুম৷ ঘুম ঠিকমতো না হলে অনেক অসুখই বাসা বাঁধে শরীরে৷ হৃদযন্ত্র ভাল রাখতেও পর্যাপ্ত ঘুম দরকার৷ হৃদরোগ থেকে সুস্থ থাকতে নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন৷

অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া, জীবনযাপনও জড়িয়ে থাকে হৃদরোগের সঙ্গে৷ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে উদ্বেগহীন সুস্থ জীবনযাপনের পাশাপাশি নজর দিতে হবে তেলমশলাহীন খাওয়াদাওয়ার দিকেও৷

প্রয়োজনের তুলনায় শারীরিক পরিশ্রম কম হলেও হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়তে পারে অকালে৷ তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন৷

হৃদযন্ত্রে সমস্যার উপসর্গ বেশিরভাগ সময়েই অলক্ষিত থেকে যায়৷ চিহ্নিত করা যায় না৷ ফলে অন্য রোগের উপসর্গ ভেবে চিকিৎসা করা হয়৷ তাই বছরে অন্ত এক বার হৃদযন্ত্রের চেক আপ প্রয়োজন বয়স ৩৫ বছর পার হলেই৷