ডায়াবেটিসে আক্রান্ত টিনএজারদের খাওয়ার দিকে দিতে হবে 'বিশেষ' নজর, বাদ দিতে হবে 'কিছু' জিনিস! কী করা দরকার, বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক

Last Updated:
পরিশোধিত শর্করার পরিবর্তে শস্য, ফল এবং শাকসবজি দরকার। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, চর্বিহীন মাংস, মটরশুটি এবং দুগ্ধজাত খাবার, অন্য দিকে বাদাম, বীজ এবং জলপাই তেল থেকে প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা জরুরি।
1/9
প্রতিটি পরিবারেই খুঁজলে অন্তত এমন এক জন পাওয়া যাবে, যাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক নয়। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যার কোনও স্থায়ী প্রতিকার নেই। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। আর নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে হয় মুশকিল।
প্রতিটি পরিবারেই খুঁজলে অন্তত এমন এক জন পাওয়া যাবে, যাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক নয়। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যার কোনও স্থায়ী প্রতিকার নেই। এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। আর নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে হয় মুশকিল।
advertisement
2/9
ব্লাডসুগার শরীরে বাসা বাঁধে কেননা প্যানক্রিয়াসে ইনসুলিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়, কিন্তু প্যানক্রিয়াসে ইনসুলিনের সমতা বজায় রাখতেই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত করতে হয় ৷ প্রতীকী ছবি ৷
ব্লাডসুগার শরীরে বাসা বাঁধে কেননা প্যানক্রিয়াসে ইনসুলিন উৎপাদনের প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়, কিন্তু প্যানক্রিয়াসে ইনসুলিনের সমতা বজায় রাখতেই শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রিত করতে হয় ৷ প্রতীকী ছবি ৷
advertisement
3/9
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত টিনএজারদের জন্য খাবার নিয়ে সজাগ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কী কী করা উচিত, জানাচ্ছেন কলকাতার ফর্টিস আনন্দপুরের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডা. রচনা মজুমদার।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত টিনএজারদের জন্য খাবার নিয়ে সজাগ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কী কী করা উচিত, জানাচ্ছেন কলকাতার ফর্টিস আনন্দপুরের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডা. রচনা মজুমদার।
advertisement
4/9
 টাইপ ১ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন তৈরি করে না, অন্য দিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না। উভয় ক্ষেত্রেই খাদ্য সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে। অতএব, একজন টিনএজার কী, কখন এবং কতটা খায় তা ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্টে বড় প্রভাব ফেলে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন তৈরি করে না, অন্য দিকে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসে শরীর ইনসুলিন কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না। উভয় ক্ষেত্রেই খাদ্য সরাসরি রক্তে শর্করার মাত্রাকে প্রভাবিত করে। অতএব, একজন টিনএজার কী, কখন এবং কতটা খায় তা ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্টে বড় প্রভাব ফেলে।
advertisement
5/9
ডায়াবেটিস আক্রান্ত টিনএজারদের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সঠিক ভারসাম্য থাকা উচিত। কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ নিয়ে একটু সতর্কতা প্রয়োজন কারণ রক্তে শর্করার উপর তাদের প্রভাবই তাৎক্ষণিক।
ডায়াবেটিস আক্রান্ত টিনএজারদের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের সঠিক ভারসাম্য থাকা উচিত। কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ নিয়ে একটু সতর্কতা প্রয়োজন কারণ রক্তে শর্করার উপর তাদের প্রভাবই তাৎক্ষণিক।
advertisement
6/9
পরিশোধিত শর্করার পরিবর্তে শস্য, ফল এবং শাকসবজি দরকার। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, চর্বিহীন মাংস, মটরশুটি এবং দুগ্ধজাত খাবার, অন্য দিকে বাদাম, বীজ এবং জলপাই তেল থেকে প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা জরুরি।
পরিশোধিত শর্করার পরিবর্তে শস্য, ফল এবং শাকসবজি দরকার। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, চর্বিহীন মাংস, মটরশুটি এবং দুগ্ধজাত খাবার, অন্য দিকে বাদাম, বীজ এবং জলপাই তেল থেকে প্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করা জরুরি।
advertisement
7/9
ঠিক সময়ে খাবার খান এবং প্রাতরাশ এড়িয়ে চলা যাবে না। চিনিযুক্ত খাবার, সোডা এবং প্রসেসড খাবার কম করতে হবে। মিষ্টিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে জল বা কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয় বেছে নিতে হবে।  আগে থেকে ডায়েট প্ল্যান করা এবং গুরুত্ব বুঝে কম-বেশি খাওয়া। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বুঝতে খাবারের লেবেলগুলো পড়তে হবে।
ঠিক সময়ে খাবার খান এবং প্রাতরাশ এড়িয়ে চলা যাবে না। চিনিযুক্ত খাবার, সোডা এবং প্রসেসড খাবার কম করতে হবে। মিষ্টিযুক্ত পানীয়ের পরিবর্তে জল বা কম ক্যালোরিযুক্ত পানীয় বেছে নিতে হবে।  আগে থেকে ডায়েট প্ল্যান করা এবং গুরুত্ব বুঝে কম-বেশি খাওয়া। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বুঝতে খাবারের লেবেলগুলো পড়তে হবে।
advertisement
8/9
ডায়াবেটিস ক্লান্তি, মেজাজ পরিবর্তন এবং দুর্বলতারকারণ হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি বাড়ায়।
ডায়াবেটিস ক্লান্তি, মেজাজ পরিবর্তন এবং দুর্বলতারকারণ হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি বাড়ায়।
advertisement
9/9
ফলে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত, সুষম ডায়েট অনুসরণ করা উচিত, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা উচিত, নির্ধারিত ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করা উচিত এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করানো উচিত।
ফলে নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করা উচিত, সুষম ডায়েট অনুসরণ করা উচিত, শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা উচিত, নির্ধারিত ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করা উচিত এবং প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করানো উচিত।
advertisement
advertisement
advertisement