Problem in Urination: টয়লেট করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল, তাই এইভাবে খুঁচিয়ে দিয়েছিলেন নিজেই, তারপর পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতালে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ

Last Updated:
Problem in Urination: মূত্রনালীর ভেতরে সেফটিপিন, তাজ্জব চিকিৎসকেরা, যা করলেন তারা...
1/6
:  এক ব্যক্তির ঠিক মত প্রস্রাব হচ্ছিল না বেশ কিছু দিন ধরে। সঙ্গে ছিল খুব ব্যথা। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় চিকিৎসকদের। সামান্য একটা এক্স রে। তাতেই ভয়ঙ্কর সত্য সামনে আসে। Photo- Representative
:  এক ব্যক্তির ঠিক মত প্রস্রাব হচ্ছিল না বেশ কিছু দিন ধরে। সঙ্গে ছিল খুব ব্যথা। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আনা হলে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় চিকিৎসকদের। সামান্য একটা এক্স রে। তাতেই ভয়ঙ্কর সত্য সামনে আসে। Photo- Representative
advertisement
2/6
তবে প্রত্যন্ত গ্রামের সামান্য এক পরিবারে এমন সমস্যা সমাধান সহজসাধ্য ছিল না। তবে এর মাঝেই অসাধ্য সাধন করলেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। হল অস্ত্রোপচার। যদিও আপাতত বিপদমুক্ত ওই ব্যক্তি। মূত্রনালীতে আটকে যায় সেফটিপিন, আর তাতেই যেন মৃত্যুর যন্ত্রণা। বিরল অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করলেন রোগীকে। তবে এমন ভয়াবহতা আগে দেখেনি চিকিৎসকেরা। বিশেষ উন্নত প্রযুক্তি না থাকলেও অস্ত্রোপচার করে বের করা হল সেফটি পিন। Photo- Representative
তবে প্রত্যন্ত গ্রামের সামান্য এক পরিবারে এমন সমস্যা সমাধান সহজসাধ্য ছিল না। তবে এর মাঝেই অসাধ্য সাধন করলেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। হল অস্ত্রোপচার। যদিও আপাতত বিপদমুক্ত ওই ব্যক্তি। মূত্রনালীতে আটকে যায় সেফটিপিন, আর তাতেই যেন মৃত্যুর যন্ত্রণা। বিরল অস্ত্রোপচার করে সুস্থ করলেন রোগীকে। তবে এমন ভয়াবহতা আগে দেখেনি চিকিৎসকেরা। বিশেষ উন্নত প্রযুক্তি না থাকলেও অস্ত্রোপচার করে বের করা হল সেফটি পিন। Photo- Representative
advertisement
3/6
প্রস্রাবের সমস্যা ছিল কয়েকদিন। সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে নিজেই উপায় বের করেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামের এক ব্যক্তি। সেফটিপিন দিয়ে প্রস্রাবের জায়গায় খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি। মূত্রনালি বা ইউরেথ্রার একেবারে ভিতরে পৌঁছে যায় সেফটিপিন। Photo- Representative
প্রস্রাবের সমস্যা ছিল কয়েকদিন। সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে নিজেই উপায় বের করেছিলেন প্রত্যন্ত গ্রামের এক ব্যক্তি। সেফটিপিন দিয়ে প্রস্রাবের জায়গায় খোঁচা দিয়েছিলেন তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে। আর তাতেই বিপত্তি। মূত্রনালি বা ইউরেথ্রার একেবারে ভিতরে পৌঁছে যায় সেফটিপিন। Photo- Representative
advertisement
4/6
অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ এলাকার ওই বাসিন্দার। প্রথমে স্থানীয় দেপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক ডঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় প্রথমে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। হাতে এক্স-রে রিপোর্ট পেয়েই চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের। জানা যায়, মূত্রথলিতে আটকে সেফটিপিন, যা মূত্রনালীর অত্যন্ত গভীরে চলে গিয়েছে। Photo- Representative
অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ এলাকার ওই বাসিন্দার। প্রথমে স্থানীয় দেপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক ডঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় প্রথমে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। হাতে এক্স-রে রিপোর্ট পেয়েই চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের। জানা যায়, মূত্রথলিতে আটকে সেফটিপিন, যা মূত্রনালীর অত্যন্ত গভীরে চলে গিয়েছে। Photo- Representative
advertisement
5/6
চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, পুরুষের মূত্রনালি ১৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হয়। সামনের দিক এবং ভিতরের দিক এই দুটো অংশে ভাগ করা যায়। এক্ষেত্রে একেবারে শেষের দিকে চলে যায় সেফটিপিন। ‘মূত্রনালির অত্যন্ত গভীরে মেমব্রেনাস ইউরেথ্রা রয়েছে যার পরিসর মাত্র ১.২৫ সেমি। ওই জায়গায় আটকে ছিল সেফটিপিন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই।’ মেদিনীপুর মেডিক্যালে ইউরেথ্রোস্কোপির সুযোগ নেই, তাই করা হয় ওপেন সার্জারি। বুধবার রাতে ওই অস্ত্রোপচার করেন ডঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সার্জারি বিভাগের টিম। নিরাপদে বের করা হয় সেফটিপিন। Photo- Representative
চিকিৎসক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, পুরুষের মূত্রনালি ১৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হয়। সামনের দিক এবং ভিতরের দিক এই দুটো অংশে ভাগ করা যায়। এক্ষেত্রে একেবারে শেষের দিকে চলে যায় সেফটিপিন। ‘মূত্রনালির অত্যন্ত গভীরে মেমব্রেনাস ইউরেথ্রা রয়েছে যার পরিসর মাত্র ১.২৫ সেমি। ওই জায়গায় আটকে ছিল সেফটিপিন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পর আমরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিই।’ মেদিনীপুর মেডিক্যালে ইউরেথ্রোস্কোপির সুযোগ নেই, তাই করা হয় ওপেন সার্জারি। বুধবার রাতে ওই অস্ত্রোপচার করেন ডঃ সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সার্জারি বিভাগের টিম। নিরাপদে বের করা হয় সেফটিপিন। Photo- Representative
advertisement
6/6
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি। আগামী সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে এমন ঘটনা বিরল বলতে না চাইলেও অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। মূত্রনালির অত গভীরে বাইরের কোনও বস্তু ঢুকে যাওয়া অস্বাভাবিক বলেই জানান চিকিৎসক। কী ভাবে ওই জায়গায় সেফটিপিন ঢুকল,চিকিৎসক এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। Photo- Representative  Input- Ranjan Chanda
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তি। আগামী সোমবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে এমন ঘটনা বিরল বলতে না চাইলেও অস্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। মূত্রনালির অত গভীরে বাইরের কোনও বস্তু ঢুকে যাওয়া অস্বাভাবিক বলেই জানান চিকিৎসক। কী ভাবে ওই জায়গায় সেফটিপিন ঢুকল,চিকিৎসক এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। Photo- Representative  Input- Ranjan Chanda
advertisement
advertisement
advertisement