Pregnancy Tips: শুধু পিরিয়ডস মিস হওয়াই লক্ষণ নয়, স্তনের আকারে বদল সব এইগুলি কী হচ্ছে, আপনি প্রেগন্যান্ট নন তো
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
Pregnancy Tips: সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল গর্ভধারণ করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করা৷ কনসিভ করার সবচেয়ে বড় সংকেত হিসেবে মনে করা হয় পিরিয়ড মিস করা।
: প্রেগন্যান্সির সময় প্রতিটি মহিলার জন্য খুব বিশেষ। যখন থেকেই নিজের গর্ভবস্থার বিষয়ে কনফার্ম হন তখন থেকে সময়ে সময়ে এটি সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা করা ভাবী মা ও সন্তান দুজনের জন্যেই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল গর্ভধারণ করেছেন কিনা তা নিশ্চিত করা৷ কনসিভ করার সবচেয়ে বড় সংকেত হিসেবে মনে করা হয় পিরিয়ড মিস করা।
advertisement
অনেক সময়েই এমনও দেখা যায় যে মহিলারা পিরিয়ড মিস না করেও গর্ভবতী বা প্রেগন্যান্ট হয়ে যান। এর কারণ হল গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কিছু সিম্পটম হয় যেখানে মহিলারা তাঁদের শরীরের দেওয়া সংকেতগুলি বুঝতেই পারেন না৷
advertisement
এই মুহূর্তে বিভিন্ন ওষুধের দোকান থেকে এমন অনেক ডিভাইস পাবেন যার মাধ্যমে গর্ভধারণ হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা যায়।তবে এগুলি দিয়ে অন্তত ১ মাস পরে প্রেগন্যান্সি নিশ্চিত করা যায়৷
advertisement
কিন্তু ১ সপ্তাহের মধ্যে কীভাবে প্রেগন্যান্সি বুঝবেন৷ এমন পরিস্থিতিতে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে, সেদিকে সজাগ নজর রাখতে হবে। গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলি, কনৌজের সরকারি মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ অমৃতা সাহার থেকে জেনে নেওয়া যাক৷
advertisement
বডি টেম্পারেচার বৃদ্ধি: ডঃ অমৃতা সাহার মতে, গর্ভাবস্থায় নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিবর্তন ঘটা শুরু হয়। এই পরিবর্তনগুলি হল প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক লক্ষণ, যা সম্পর্কে সকলের সচেতন হওয়া উচিত। এর প্রথম লক্ষণ হল শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। আসলে, বডি টেম্পারেচর বৃদ্ধির আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে কখনও কখনও এটি প্রেগন্যান্সিরও লক্ষণ হয় এটি।
advertisement
স্তনের পরিবর্তন: গর্ভাবস্থা ৯ মাসের একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই সময়কালে, মহিলাদের শরীরে আসতে থাকা বদলগুলিতে মনোযোগ দিতে হবে। কারণ, অনেক মহিলাই শুরু হওয়ার লক্ষণ বুঝতে সক্ষম হন না। স্তনের পরিবর্তনও এর মধ্যে একটি। ডক্টরের মতানুসারে স্তনে ব্যথা, ফুলে যাওয়া এবং ভারী হওয়া গর্ভাবস্থার লক্ষণ হতে পারে। বহু মহিলা প্রেগন্যান্সির প্রথম-দ্বিতীয় সপ্তাহেই এই বদল শরীরে ফুটে উঠতে দেখতে পারেন৷
advertisement
যোনি স্রাব: যোনি বা ভ্যাজাইনা থেকে স্রাব বা ফ্লুইড বার হতে পারে৷ যা অবশ্য সংক্রমণের কারণেও অনেক সময় হয়৷ আবার অনেক ক্ষেত্রেই এটি প্রেগন্যান্সির লক্ষণ। অনেক মহিলা গর্ভাবস্থার ফার্স্ট ট্রাইমেস্টারে যোনি স্রাবের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। প্রেগন্যান্সির সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের একাধিক পরিবর্তনও হয়৷ এই কারণেই এই স্রাব হতে পারে। এর পাশাপাশি পেটে হালকা ব্যথাও হতে পারে।
advertisement
ক্লান্তি এবং বমি বমি ভাব: গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে, এমনকি আপনার পিরিয়ড মিস না হলেও শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন৷ এইরকম ফিলিং হলে একবার প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা করতে পারেন। কারণ অনেক সময় এই ধরণের ক্লান্তি ও দুর্বলতা গর্ভধারণেরও ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও, গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে সকালে বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া। এটাকে মর্নিং সিকনেসও বলা হয়৷ এবং প্রেগন্যান্সির প্রথম তিন মাসে এই ধরণের লক্ষণ দেখা যাওয়া খুব স্বাভাবিক৷
advertisement
যোনিপথে রক্তপাত: যদি আপনি আপনার পিরিয়ডের তারিখ ছাড়া অন্য সময়ে যোনিপথ বা ভ্যাজাইনা থেকে হালকা রক্তপাত বা অন্তর্বাসে হালকা রক্তের চিহ্ন দেখতে পান তাহলে আপনার গর্ভাবস্থা একবার পরীক্ষা করা উচিত। যোনিপথে রক্তপাত, দাগ পড়া এবং ক্র্যাম্প অনুভব করাও গর্ভাবস্থার সংকেত হতে পারে।
advertisement
মেজাজের পরিবর্তন: প্রেগন্যান্সির সময়ে শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মেজাজের পরিবর্তন হয়। একে চেনা ভাষায় মুড সুইং বলে৷ হঠাৎ কান্না, কখনও রেগে যাওয়া, কখনও খুশি হওয়া আবার কখনো কোনও কিছু নিয়ে উত্তেজিত হওয়া স্বাভাবিক। এসব উপেক্ষা না করে অবশ্যই একবার গর্ভধারণের কথা ভাবা উচিত। এছাড়াও, ঘন ঘন মাথা ঘোরাও প্রেগন্যান্সির একটি সংকেত হতে পারে।
advertisement
রুচির পরিবর্তন: প্রেগন্যান্সির পর নারীর শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে তাঁর খাদ্যের রুচিরও পরিবর্তন হয়। অতএব, যদি একজন মহিলার নিজের প্রিয় খাবারে হঠাৎই অনিহা অনুভব করেন তাহলে স্বাদে পরিবর্তনের সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গগুলি বুঝতে পারেন তাহলে এটি আপনার গর্ভাবস্থার কারণ হতে পারে। এই সময়ে স্বাদের পাশাপাশি ঘ্রাণ বা গন্ধের অনুভূতির বদলও হতে পারে৷