White Hair Control: অল্প বয়সেই মাথা ভর্তি সাদা চুল? ‘এটা’ কমান! বন্ধ হবে চুল পাকা! আর সাদা হবে না বাকি কালো চুল!

আজকাল সর্বত্রই আপনি এমন তরুণ এবং শিশুদের দেখতে পাবেন যাদের চুল খুব অল্প বয়সেই পেকে গিয়েছে। কয়েক দশক আগেও বয়স্কদের চুল পাকা হত, কিন্তু বর্তমান সময়ে এই সমস্যাটি অল্প বয়সেই মানুষকে আক্রান্ত করছে। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই এটি ঘটছে এবং এই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। আজ আমরা একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জানব তরুণ এবং শিশুদের চুল পাকা হওয়ার কারণ কী এবং কীভাবে এই সমস্যা এড়ানো যায়।

কানপুরের জিএসভিএম মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ যুগল রাজপুত বলেন যে আজকের যুগে শিশু এবং যুবকদের চুল দ্রুত সাদা হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যাটিকে অকালপক্বতা বলা হয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল মানুষের শরীরে পুষ্টির অভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা। এ ছাড়াও, আরও অনেক কারণে অল্প বয়সে চুল পাকতে পারে। সঠিক সময়ে চুল সাদা হওয়ার কারণ খুঁজে বের করা এবং বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে সঠিক চিকিৎসা নেওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ডাঃ যুগল রাজপুতের মতে, পুষ্টির অভাব এবং দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা ছাড়াও, জিনগত ব্যাধি এবং সিন্ড্রোমও চুল পেকে যাওয়ার কারণ হতে পারে। কখনও কখনও থাইরয়েড রোগের কারণে ছোট বাচ্চা এবং যুবকদের মধ্যে পাকা চুলের সমস্যা দেখা দেয়। কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাদা চুলের সমস্যা দেখা দেয়। যারা ভাল ডায়েট গ্রহণ করেন না তাদেরও পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, পুষ্টির অভাবের কারণে ছোট বাচ্চা এবং যুবকদের চুল সাদা হয়ে যায়। বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন মানুষের চুল পেকে যেতে পারে, তাই প্রথমেই ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে পরীক্ষা করা প্রয়োজন।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত চাপ এবং উত্তেজনা চুল ধূসর হতে পারে। যদি আপনি চাপ এবং উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাহলে উত্তেজনার কারণে চুল পাকার প্রবণতা কমতে পারে। তবে, সবার ক্ষেত্রেই এটি ঘটে না। একবার চুল সাদা হয়ে গেলে, আগের মতো কালো করা সম্ভব নয়, তবে ওষুধগুলি অবশিষ্ট চুল সাদা হওয়া থেকে রোধ করতে পারে। চুলের সমস্যা এড়াতে সকলেরই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা উচিত।

অকালে চুল পেকে যাওয়া রোধ করতে, প্রত্যেকেরই পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত এবং প্রতিদিন ব্যায়াম করা উচিত। শীতকালে রোদ পোহানো উচিত যাতে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় এবং শরীরে সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।

সপ্তাহে একবার মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করা উচিত। এতে মাইক্রোসার্কুলেশন উন্নত হয় এবং চুলের গোড়ায় রক্ত সরবরাহ অক্ষত থাকে। চুল ধোয়ার পর, তোয়ালে দিয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিন এবং সপ্তাহে দুই-তিনবার শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।

যাঁরা চুল পেকে যাওয়ার পরপরই রঙ করা শুরু করেন বা তাপ-ভিত্তিক কোনও চিকিৎসা গ্রহণ করেন তাদের এটি করা উচিত নয়। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।