Poila Boishakh 2025 Special: মস্তিষ্কের প্রতি কোষে ককটেলের মৌতাত আর মনে নতুন আশা, নাইট ক্লাবে এবার নেশা ছড়াতে চলেছে পয়লা বৈশাখের বিশেষ মেনু, শহর যেন প্রাপ্তবয়স্ক হল
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
This Poila Boishakh, Kolkata welcomes NOISE: অনেকের কাছে ততটা চেনা মনে না হলেও নয়েজ শহরকে নিশিরাতের ডাক দিচ্ছে অনেক দিন ধরেই। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে রুচিসম্মত অন্দরসাজ, বিলাসী আসন সমারোহ, বিদ্যুৎঝরা ডান্স ফ্লোর- শহরের যুবক যুবতীদের মনের বড় কাছের এ হেন নয়েজ। এবার তাদের তরফেই নববর্ষে চিয়ার্স বলার পালা!
অনেকেই অভিযোগ করে থাকেন যে দিল্লি বা মুম্বইয়ের তুলনায় কলকাতার নাইট লাইফ বড় ফিকে! কথাটা কি আদপেই সত্যি? হয়তো এ নিখাদ ব্যক্তিগত অনুভূতি, হয়তো অন্য শহরে রাত জাগার পালা বেশি! তা বলে কলকাতা যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি, এ কথা বুক ঠুকে কেউ বলতে পারবেন না। শহরের নানা জায়গায় রাতপরির রূপকথার মতো আলো ছড়ায় নাইট ক্লাবেরা, হাসি, গান, নাচ, মজায় যাম আর যামিনী উপচে পড়ে! তারই এক নতুন রূপ এবার ধরা দিতে চলেছে পয়লা বৈশাখে।
advertisement
রাত পোহালেই গা থেকে পুরনো জামা খুলে ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নতুন সাজ পরে নেবে সময়। পাল্লা দিয়ে সাজবে শহরও। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ভাঁজ ভাঙবে সাবেকি ঢাকাই শাড়ির আর ধুতির। জুঁইমালার গন্ধে মিশে যাবে নানা সাবেকি বাঙালি ব্যঞ্জনের ধোঁয়া-ওঠা গন্ধ, বাঙালির মন ব্যাকুল হবে। শহরের কোণে কোণে চলবে ভূরিভোজে পয়লা বৈশাখ উদযাপনের পালা।
advertisement
advertisement
advertisement
‘‘এবার পয়লা বৈশাখে কলকাতা স্বাগত জানাচ্ছে নয়েজ-কে, যা সন্ধ্যা নামার পরে শহরবাসীর নতুন গন্তব্য। নিছকই এক নাইটক্লাব নয়, ইলেকট্রিক বিটস, বিলাসবহুল অ্যাম্বিয়েন্স, সাবেকি বাঙালি স্বাদে অনুপ্রাণিত ককটেলে শহরের নৈশজীবনকে এক নতুন রূপ দিচ্ছে নয়েজ। ট্র্যাডিশন আর ট্রেন্ডের যুগলবন্দিতে প্রতি রাতই এখানে এক অনন্য উদযাপন’’, বলছেন কর্ণধার কুণাল গুপ্তা (Kunal Gupta, Owner, NOISE)।
advertisement
নয়েজ এই উপলক্ষ্যে সাজিয়েছে বড় অভিনব ককটেল আর মকটেলের আসর। রাইস ওয়াটার, ভদকার সঙ্গে পুরনো প্যারাডাইস ধরে রাখবে গন্ধরাজের নির্যাস, তাকে আদিম করে তুলবে পেরি পেরির ছোঁয়া। আবার গরমের চিরচেনা লিচি জ্যুস আর গার্ডেন-ফ্রেশ মিন্টের সঙ্গে স্পাইসি হুইস্কির যুগলবন্দিতে মন মাতাবে হিচকি পোটো। লেমন গ্রাসের ছোঁয়ায় ডাবের জল আর হোয়াইট রামের মিশ্রণে দূর দ্বীপের হাতছানি দেবে ঠান্ডা বারি। এই সব ককটেলের মূল্য ৫৯৯ টাকা।
advertisement
মকটেলের জাদুও বড় কম নয়। ডাবের জল, শাঁস, ভ্যানিলা আইসক্রিম আর এল্ডারফ্লাওয়ারের ক্রিমি মিশেলে মন মাতাবে সোনার তরী, মূল্য ৩৯৯ টাকা। তাজা আঙুরের রস, আম, আদা, পুদিনা, গন্ধরাজ আর এল্ডারফ্লাওয়ারের সিরাপে ইন্দ্রিয় আকুল করে তুলবে ‘বাংলা ভাসি’, এরও মূল্য ৩৯৯ টাকা। রয়েছে মালদার আম পান্নাও, ম্যাঙ্গো জ্যুস, চাট মসালা, গন্ধরাজের নির্যাসে রাত সুগন্ধি তা করে তুলবেই, এর মূল্য ২৯৯ টাকা।
advertisement
advertisement
advertisement
