

অভিভাবক হওয়া এবং বাচ্চা মানুষ করা জীবনের অন্যতম কঠিন কাজ বা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, এটা অনেকেই স্বীকার করে থাকেন। বাচ্চাদের বুঝে তাদের সঙ্গে তাদের মতো ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময়ে বেশি আদর বা ভালোবাসা বাচ্চার মধ্যে খারাপ অভ্যাস গড়ে তোলে, অনেক সময়ে আবার তাদের বাবা-মায়ের উপরে নির্ভরশীল করে তোলে। এতে বাচ্চা বড় হলেও একা চলতে শেখার সাহস পায় না বা সে ভাবে সমাজের সব কিছুর সঙ্গে সাহস নিয়ে লড়তে শেখে না। তাই বাচ্চাকে নির্ভীক ও সাহসী করে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। কী ভাবে? জেনে নেওয়া যাক।


আত্মবিশ্বাসী (Confident) করে তোলা - অনেক বাচ্চারই আত্মবিশ্বাস কম থাকে। যে কোনও কাজে তারা ভয় পায়। ফলে কোনও কাজই ঠিক মতো শিখে উঠতে পারে না। এমন হলে বাচ্চার বিকাশে ক্ষতি হতে পারে। তাই বাচ্চাকে সব সময়ে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার দিকে বাবা-মায়ের নজর দেওয়া দরকার।


ভয় না পাওয়া - ছোট থেকে যখন বাচ্চারা বড় হয়, তখন কোনটা দেখে ভয় পেতে পারে, কোনটা দেখে ভালো লাগতে পারে, তার বেশির ভাগটাই শিখিয়ে দেয় বাবা-মায়েরা। বা বাবা-মায়েদের দেখেই বাচ্চারা শেখে। ফলে অনেক সময়ে এমন কিছু বিষয় থাকে যাতে তাদের ভয় থেকেই যায়। কিন্তু বাচ্চাকে সব সময় ভয় না পেয়ে চলার পরামর্শ দেওয়াই ভালো। এতে জীবনে এগিয়ে চলতে সুবিধা হবে।


বাচ্চারা কিছুতে ভয় পেলে তা উপেক্ষা করা যাবে না - বাচ্চারা ভয় পেতে পারে যে কোনও জিনিসেই। সেই ভয়কে অবজ্ঞা করা বা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। এতে ভয় আরও বাড়তে পারে। কারণ সে ভয় নিয়ে আর কখনও কারও সামনে কিছু বলতে না-ও পারে।


ব্যর্থতা জীবনে আসতেই পারে - বাচ্চাকে যদি বোঝানো হয় ব্যর্থতা মানেই সব শেষ, তার পর আর কোনও রাস্তা নেই, তা হলে তারা আরও বেশি মুষড়ে পড়বে। তারা যে কোনও বিষয় নিয়ে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করতে পারে। তাই ব্যর্থতা আসতেই পারে, কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া জরুরি- এমনই বোঝানো উচিৎ বাচ্চাদের।


নিজের ভয় বাচ্চাদের মধ্যেও ঢোকানো - নিজের ভয় নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলা যেতেই পারে, কিন্তু সেই নিয়ে তাদের ভয় দেখানো উচিৎ হবে না। ভয় নিয়ে কথা বললে ভয় কাটিয়ে ওঠার রাস্তাতাও বলে দিতে হবে।


নতুন জিনিস করতে আগ্রহী করে তোলা - যে কোনও নতুন জিনিস শিখতেই প্রথমে ভয় পেতে পারে বাচ্চারা। কিন্তু তাদের সেই জিনিসের প্রতি আগ্রহী করে তুললে তারা অনেক বেশি সাহসী হবে এবং অনেক নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবে।


সামান্য জিনিসেও স্বীকৃতি দেওয়া - বাচ্চারা কোনও ছোট কাজ করলেও তাদের যদি তার জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়, বাহবা দেওয়া হয়, তা হলে তারা খুশি হয়ে যায়। এবং আরও কাজ করতে উৎসাহিত হয়।