Pain: আচমকাই পায়ে বিদ্যুতের মতো শক লেগে ব্যথা শুরু হয়েছে? এই পরিস্থিতি কিন্তু মারাত্মক হতে পারে! জানুন

কোনও কারণ ছাড়াই হঠাৎ পায়ে ব্যথা, শরীর ঝিনঝিন করা, অবশ লাগা কিংবা বৈদ্যুতিক শকের মতো অনুভূতিও হচ্ছে? এই উপসর্গ কিন্তু ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে হতেই পারে। এ ছাড়া দৃষ্টি ঘোলাটে লাগতে পারে, একটি জিনিস দুটি দেখা, চুল সাদাটে হওয়া বা পড়ে যাওয়া, নখের স্বাভাবিক রং হারানো এবং ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির কারণে স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে। ফলে হাঁটতে-চলতে এবং ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়। রক্তশূন্যতা বা স্নায়বিক সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। রক্তশূন্যতায় রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে, অল্প শ্রমেই ক্লান্ত ও হাঁপিয়ে ওঠে, বুক ধড়ফড় করে। পাকস্থলীর সমস্যায় ভুগতে পারেন, হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য।

কেবল শাকসবজি, ফলমূলই নয়, প্রাণিজ উৎস থেকেও ভিটামিন পাওয়া যায়। প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায় এমন একটি ভিটামিন হলো ভিটামিন বি-১২। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকিও বাড়ে। অনেকে প্রায়ই বা মাসের পর মাস গ্যাসের ওষুধ খান। এতেও ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি হতে পারে।

নিরামিষাশী ব্যক্তির ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির ঝুঁকি বেশি। জন্মনিয়ন্ত্রণ করার ওষুধ সেবনকারী নারীরাও আছেন এই ঝুঁকিতে। মদ্যপানেও ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতির ঝুঁকি বাড়ে। পাকস্থলী ও অন্ত্রের কিছু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ভিটামিন বি-১২-এর ঘাটতি হয়।

ফ্যাকাসে ত্বকও ভিটামিন বি ১২ ঘাটতির লক্ষণ। ত্বকের রং হলদেটে ফ্য়াকাশে, জন্ডিস হলে যেমন হয়, তেমন দেখতে লাগলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান। ঝাপসা দৃষ্টিশক্তিও বি১২ ভিটামিনের অভাবের আরও একটি লক্ষণ। এই ভিটামিনের ঘাটতি প্রভাব ফেলে বিভিন্ন স্নায়ুতে। তার মধ্যে রয়েছে অপটিক নার্ভও।

চিকেন, মাছ, ট্রাউট, স্যামন, টুনা, ডিম, লো-ফ্যাট দুধ, দই, চিজ, ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকে।