New Tourist Spot: শুধুই দিঘা- মান্দারমণি নয়, এবার সেজে উঠবে বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত দারিয়াপুর! তৈরি হবে কপালকুণ্ডলায় ট্যুরিজম সার্কিট
- Published by:Salmali Das
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
New Tourist Spot: বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি-বিজড়িত দারিয়াপুর সেজে উঠবে নতুন সাজে! কপালকুণ্ডলা পাচ্ছে নতুন ট্যুরিজম সার্কিট।
শুধুই দিঘা বা মন্দারমণি নয়, এবার সেজে উঠবে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কপালকুণ্ডলা মন্দির। তৈরি হবে অ্যামিনিটি সেন্টার, সিঁড়ি, রাস্তা, কার পার্কিং এবং পর্যটকদের বসার জায়গা। দারিয়াপুরের কপালকুণ্ডলা মন্দির যেখানে কাপালিক বঙ্কিমচন্দ্রকে আটকে রেখেছিলেন, তা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। পর্যটকরা আকৃষ্ট হয়ে গেলেও হতাশ হয়ে ফিরেছেন বারবার। অবশেষে সেই জরাজীর্ণ কপালকুণ্ডলাকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তুলতে বড় উদ্যোগ নিল পর্যটন দফতর।
advertisement
ইতিমধ্যেই দেশপ্রাণ-২ ব্লকে ‘দি কপালকুণ্ডলা সার্কিট’ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে রাজ্য পর্যটন দফতরের কাছে একটি প্রজেক্ট পাঠান হয়েছে। এই সার্কিট গড়ে তুলতে ধরা হয়েছে ৬৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৫ টাকার প্রস্তাব। প্রকল্পে অ্যামেনিটি সেন্টার, সাবমার্সিবল পাম্প, সিঁড়ি, বসার জায়গা আরও নানা কাজ হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটনের পরিকাঠামো উন্নয়ন করতেই প্রশাসন এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
advertisement
জেলা পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার কপালকুণ্ডলা সার্কিট গড়ে তুলতে আগ্রহী। কপালকুণ্ডলাতে নতুন করে সাজাতে বেশ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হলেই সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত এই কপালকুণ্ডলায় ট্যুরিজম সার্কিট তৈরি কাজ শুরু হবে। নতুন ভাবে সেজে উঠবে দারিয়াপুর।
advertisement
কপালকুণ্ডলা সার্কিটকে কেন্দ্র করে দেশপ্রাণ ব্লকের বাঁকিপুট উপকূলও সাজান হবে নতুন পরিকাঠামোয়। এখানে তৈরি হবে রাস্তাঘাট এবং পর্যটকদের বসার জায়গা। গত কয়েক বছরে বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। কখনও উচ্ছ্বসিত, কখনও শান্ত সমুদ্রের সৌন্দর্য, বিস্তীর্ণ বালুতটে মনোরম পরিবেশ পর্যটকদের বারবার টেনেছে।
advertisement
বাঁকিপুটে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ায় প্রশাসন পরিকাঠামো উন্নয়নে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বাঁকিপুট এলাকাকে ঘিরে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে যেগুলোর আকর্ষণও দিন দিন বাড়ছে। কপালকুণ্ডলা মন্দির, যেখানে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের গল্পবাস্তবতার ছাপ এখনও টিকে আছে। রয়েছে দারিয়াপুরের লাইটহাউস, যার আশপাশে ছড়িয়ে রয়েছে মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
advertisement
এছাড়াও রয়েছে রসুলপুর নদী। এই নদীতে নৌকায় আসার পর কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের নায়ক নবকুমার পথভ্রষ্ট হয়ে দারিয়াপুরের জঙ্গলে এসেছিলেন। সেখানে তিনি কাপালিকের দেখা পেয়েছিলেন। রসুলপুরের মোহনায় তৈরি হয়েছে পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর। সেখানে বেড়াতে এসে মৎস্যজীবীদের নানা কর্মকাণ্ড দেখার সুযোগ রয়েছে। রসুলপুর নদীর তীরে দেশপ্রাণ ব্লকের কপালকুণ্ডলাকে ঘিরে রাজ্য সরকার পর্যটন পরিকাঠামোয় জোর দিতে চাইছে।









