New Born Baby Heath Tips: শীত আসছে, কোলের সন্তানকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই মেনে চলতে হবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি, গরম পোশাকে সঙ্গে মাস্ট ওয়েল মাসাজ

নবজাতকদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই দুর্বল থাকে। তার উপর শীতকালে বাচ্চাদের সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। এই অবস্থায় শীতকালে আপনার সন্তান জন্মালে তার অতিরিক্ত খেয়াল রাখা জরুরি। সঙ্গে নতুন মায়েদেরও শরীরের যত্ন নিতে হবে।

নবজাতক শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌমিক দাস জানিয়েছেন, শীতকালে বাইরে যেতে হলে সঠিক ও উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন করুন।শিশুকে টুপি, মোজা, মিটেনস পরান, এমনকি রাতেও এই পোশাকেই রাখুন। তবে শীত থেকে বাঁচাতে গিয়ে অতিরিক্ত জামা কাপড় পরিয়ে ফেলবেন না।

শীতকালে বাচ্চাদের সর্দি-কাশির মতো নানান স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় সতর্ক না-থাকলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। আবার করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে শিশুর যত্ন নেওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে।

এমন পরস্থিতিতে সদ্য প্রসূতি মা এবং নবজাতক সন্তান বাড়িতে থাকলে তাঁদের যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। শীতকালে মা ও শিশুর যত্ন নেওয়ার কয়েকটি উপায় এখানে জানানো হল।

শীতকালে বাইরে যেতে হলে সঠিক ও উপযুক্ত পোশাক নির্বাচন করুন। শিশুকে টুপি, মোজা, মিটেনস পরান, এমনকি রাতেও এই পোশাকেই রাখুন। তবে শীত থেকে বাঁচাতে গিয়ে অতিরিক্ত জামা কাপড় পরিয়ে ফেলবেন না। এর ফলে হীতে বিপরীত হতে পারে। কক্ষের তাপমাত্রা অনুযায়ী পোশাক পরানো উচিত। আবার এমন কিছু পরিয়ে ফেলবেন না, যা শিশুর হাঁটাচলাকে আটকে দেয় বা যা পরে তারা হাত পা ছুড়ে খেলতে না-পারে। অন্য দিকে মায়েরা এমন পোশাক পরুন, যা শিশুর ত্বকের সঙ্গে ঘষা খেয়ে কোনও ক্ষতি করবে না।

মা ও শিশুর জন্য এই ম্যাসাজ স্বস্তি দায়ক। সরসের তেল, অলিভ তেল বা আমন্ড এবং অলিভ তেল মিশিয়ে মালিশ করা যায়। এটি ত্বকের জন্যও ভালো। স্নানের পর বা ঘুমানোর আগে ঈষদুষ্ণ তেলে ম্যাসাজ করার ফলে তারা স্বস্তি পাবে এবং ভালো ঘুম আসবে।

যে কক্ষে শিশু থাকবে, সেই কক্ষের সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। আবার পর্যাপ্ত আলো ও বায়ু যাতে আসে, সে বিষয়ও লক্ষ্য রাখতে হবে।

সুপ, স্যালাড, সবুজ শাকসবজি, বাজরা, ভুট্টার আটা নতুন মায়েদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। আবার শিশুকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর স্তন্যদুগ্ধ পান করান। কারণ এটি তাদের পুষ্টির আসল উৎস। স্তন্যদুগ্ধ পান শিশুকে নানান সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে। আবার এর ফলে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। অন্য দিকে মায়ের সংস্পর্শ শিশুকে উষ্ণতা প্রদান করে।

শিশু যেহেতু অধিকাংশ সময় মায়ের সংস্পর্শে থাকে, তাই মা-কে নিজের ব্যক্তিগত হাইজিনের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। তা না-হলে মা ও শিশু উভয়েরই সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। শিশুকে ধরার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে। আবার যে-ই বাচ্চার কাছে আসুক না-কেন, তাঁদের মাস্ক পরে থাকার নির্দেশ দিন। এ ছাড়াও শিশুর পোশাক, বিছানা, কক্ষকে নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। বাড়ির প্রতিটি সদস্যকেও এ সময় সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।