Neem Tree Benefits: আপনার বাড়ির সামনেই পাবেন ভয়ঙ্কর তেতাে অবহেলার এই পাতা! নিয়ম মেনে খেলেই জব্দ সুগার থেকে ক্যানসার

Last Updated:
Neem Tree Benefits: এই গাছ শুধু পরিবেশ শুদ্ধ করে না, বরং ত্বকের সমস্যা, সুগার, কুষ্ঠ, চোখের রোগ এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধেও কার্যকর। পাতা, ছাল, ফল ও তেল—সবই ভেষজ গুণে ভরপুর, যা শরীরকে করে ভিতর থেকে সুস্থ। বিস্তারিত জানুন...
1/9
আজ এমন এক আশ্চর্য গাছের সম্পর্কে জানুন, যাকে আয়ুর্বেদে
আজ এমন এক আশ্চর্য গাছের সম্পর্কে জানুন, যাকে আয়ুর্বেদে "অমৃত" বলে সম্মান দেওয়া হয়। এই গাছ শুধু আমাদের পরিবেশকে শুদ্ধ করে না, বরং শরীরের নানা জটিল রোগ থেকেও মুক্তি দিতে পারে। এর পাতা, ছাল, ফল এবং এমনকি ডালপালাও নানা ওষধি গুণে ভরপুর। আমরা কথা বলছি নিম গাছ সম্পর্কে—যাকে ভারতীয় সংস্কৃতিতে “সংজীবনী” হিসেবে পুজো করা হয়।
advertisement
2/9
বালিয়ার বাসিন্দা প্রবীণ নাগরিক শিবকুমার বলেন, “নিম গাছ বাতাসকে পরিশ্রুত করে, মাটির পুষ্টিও বাড়ায়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে এর বিশেষ স্থান রয়েছে। আগে সময়ে এর শুকনো পাতা জ্বালিয়ে ধোঁয়া দেখানো হত—বিশ্বাস করা হতো এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং মশা-পোকামাকড় নষ্ট হয়।”
বালিয়ার বাসিন্দা প্রবীণ নাগরিক শিবকুমার বলেন, “নিম গাছ বাতাসকে পরিশ্রুত করে, মাটির পুষ্টিও বাড়ায়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে এর বিশেষ স্থান রয়েছে। আগে সময়ে এর শুকনো পাতা জ্বালিয়ে ধোঁয়া দেখানো হত—বিশ্বাস করা হতো এতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং মশা-পোকামাকড় নষ্ট হয়।”
advertisement
3/9
বলিয়া রাজকীয় আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের এমডি ও পিএইচডি চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং জানান, “নিমের পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে। এগুলো ত্বকের সমস্যা, ব্রণ, ফোঁড়া-ফুসকুড়ি, দাদ ও খোসপাঁচড়া নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর।”
বলিয়া রাজকীয় আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের এমডি ও পিএইচডি চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং জানান, “নিমের পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে। এগুলো ত্বকের সমস্যা, ব্রণ, ফোঁড়া-ফুসকুড়ি, দাদ ও খোসপাঁচড়া নিরাময়ে অত্যন্ত কার্যকর।”
advertisement
4/9
তিনি আরও বলেন, “নিমের পাতা ছাড়াও এর ফল অনেক রোগ সারাতে সক্ষম। অর্শ, অন্ত্রের প্যারাসাইট, মূত্রনালীর সমস্যা, নাক থেকে রক্ত পড়া, কাশি, চোখের রোগ, ডায়াবেটিস, ক্ষত ও কুষ্ঠরোগে নিম ফল অত্যন্ত উপকারী।”
তিনি আরও বলেন, “নিমের পাতা ছাড়াও এর ফল অনেক রোগ সারাতে সক্ষম। অর্শ, অন্ত্রের প্যারাসাইট, মূত্রনালীর সমস্যা, নাক থেকে রক্ত পড়া, কাশি, চোখের রোগ, ডায়াবেটিস, ক্ষত ও কুষ্ঠরোগে নিম ফল অত্যন্ত উপকারী।”
advertisement
5/9
প্রাচীনকাল থেকে নিম ছাল ব্যবহার করে আসছে মানুষ। ছাল পাথরে ঘষে নিয়ে পুরনো ক্ষতের ওপর লাগালে উপকার হয়। এছাড়াও ম্যালেরিয়া, পেটের রোগ, অন্ত্রের আলসার, ত্বকের সমস্যা, ব্যথা ও জ্বরের চিকিৎসায়ও এটি সহায়ক।
প্রাচীনকাল থেকে নিম ছাল ব্যবহার করে আসছে মানুষ। ছাল পাথরে ঘষে নিয়ে পুরনো ক্ষতের ওপর লাগালে উপকার হয়। এছাড়াও ম্যালেরিয়া, পেটের রোগ, অন্ত্রের আলসার, ত্বকের সমস্যা, ব্যথা ও জ্বরের চিকিৎসায়ও এটি সহায়ক।
advertisement
6/9
নিম পাতা, ছাল বা ফল খাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে—চিবিয়ে খাওয়া যায়, কাড়াহ (চায়ের মতো তৈরি করা) করে পান করা যায় বা রস হিসেবে নেওয়া যায়। নিমের ডাল দিয়ে দাতন করাও একটি প্রচলিত রীতি। নিম তেল ত্বক ও চুলের যত্নে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এর একটি ফল খেলে উপকার আরও বেশি হয়।
নিম পাতা, ছাল বা ফল খাওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে—চিবিয়ে খাওয়া যায়, কাড়াহ (চায়ের মতো তৈরি করা) করে পান করা যায় বা রস হিসেবে নেওয়া যায়। নিমের ডাল দিয়ে দাতন করাও একটি প্রচলিত রীতি। নিম তেল ত্বক ও চুলের যত্নে খুবই কার্যকর। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এর একটি ফল খেলে উপকার আরও বেশি হয়।
advertisement
7/9
নিমের সবচেয়ে বড় গুণ হল—এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩–৪টি তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়। এছাড়া, ৫–৭টি পাতা জলে ফুটিয়ে তা ছেঁকে হালকা গরম অবস্থায় পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ত্বকের সমস্যাও কমে।
নিমের সবচেয়ে বড় গুণ হল—এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ৩–৪টি তাজা নিমপাতা চিবিয়ে খেলে শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়। এছাড়া, ৫–৭টি পাতা জলে ফুটিয়ে তা ছেঁকে হালকা গরম অবস্থায় পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ত্বকের সমস্যাও কমে।
advertisement
8/9
তবে অতিরিক্ত সেবনে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, যাদের লিভার বা কিডনির সমস্যা রয়েছে অথবা যাঁরা অন্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত, তাঁদের উচিত কোনও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। কারণ বয়স, শরীরের প্রকৃতি ও অসুস্থতার অবস্থার ভিত্তিতে উপযুক্ত মাত্রা ঠিক করতে পারেন কেবল একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকই।
তবে অতিরিক্ত সেবনে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলা, স্তন্যদানকারী মা, যাদের লিভার বা কিডনির সমস্যা রয়েছে অথবা যাঁরা অন্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত, তাঁদের উচিত কোনও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। কারণ বয়স, শরীরের প্রকৃতি ও অসুস্থতার অবস্থার ভিত্তিতে উপযুক্ত মাত্রা ঠিক করতে পারেন কেবল একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকই।
advertisement
9/9
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।
advertisement
advertisement
advertisement