Nalen Gur Making: শীতে নলেন গুড়েই ভরসা? বড়সড় ক্ষতি হতে পারে! খাওয়ার আগে জানুন কীভাবে তৈরি হচ্ছে

শীতকালে মানুষের খেজুর গুড়ের সঙ্গে নলেন গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। কারণ, এই মাসগুলো বাঙালির পিঠে পার্বণের মাস। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন এত নলেন গুড়, খেজুর গুড়, বাজারে কোথা থেকে আসছে?

যদিও গুড়ের ঘ্রাণ দিয়েই সবাই গুড় চিনে নেন। সেটি নলেন গুড় কিংবা খেজুরের সাধারণ গুড় হতে পারে। এই সব ভাবনা যে ভুল, সেটা খাবারের রং এবং গন্ধের দোকানে গেলেই পরিষ্কার হয়ে যায়।

কলকাতায় লালবাজারের পেছনে খাবারের রং এবং গন্ধের বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেখানকার এক বিক্রেতা সৌমেন্দু চট্টোপাধ্যায় জানান, এই নলেন গুড়ের গন্ধ দিয়ে, নলেন গুড়ের মিষ্টি, কেক জাতীয় খাবার তৈরি হয়।

তিনি এও জানান, যেভাবে গাছ ধ্বংস হয়েছে, বাগান ধ্বংস করে বসতি গড়ে উঠেছে, তাতে খেজুর গাছের সংখ্যা আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। এছাড়াও যে সমস্ত শিউলিরা খেজুরের রস সংগ্রহ করতেন, তাঁদেরও সংখ্যা কমেছে।

তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পেশায় আসছে না। কিন্তু খেজুর গুড় বা নলেন গুড়ের চাহিদা এখনও কমেনি। যার ফলে এক প্রকারের অসাধু ব্যবসায়ীরা চিনির রসকে আগুনে জ্বাল দিয়ে ক্যারামেল রং নিয়ে চলে আসছে।

তার সঙ্গে এই নলেন গুড়ের গন্ধ এবং কিছুটা নলেন গুড় মিশিয়ে দিচ্ছে। তৈরি হয়ে যাচ্ছে নলেন গুড়। যার ফলে সাধারণ ক্রেতারা ঠকছেন।

এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, কৃত্রিম গন্ধ মানে সেটা মানুষের শরীরে খারাপ ক্রিয়া করতে পারে। কত কেজির সঙ্গে কতটা গন্ধ মেশাতে হবে, সেটার নির্দিষ্ট মাপ, প্রস্তুতকারকেরা জানেন না।

যার ফলে বেশি পরিমাণে এই গন্ধ শরীরে গেলে মানুষের নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সব থেকে বড় কথা, এই গুড় খেলে, মানুষের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও অন্য রোগ দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও চিনি যখন উনুনে জ্বাল দেওয়া হয়, সেটা পুড়ে ক্যারামেল রং হয়। তা মানুষের শরীরে বেশি পরিমাণে গেলে, কিছুটা হলেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।