Monsoon Gardening Tips: বর্ষায় বাড়িতে এই ৬ ঔষধি গাছ লাগান; বাগানের শোভা তো বাড়বেই, সেই সঙ্গে ছোটখাটো রোগের চিকিৎসাও হবে ঘরেই

Last Updated:
Monsoon Gardening Tips: বাড়িতে যদি একফালি খালি জায়গা থাকে, তাহলে সেই জায়গায় কিংবা নিজের বাগানে রোপণ করতে পারেন এই ৬টি ঔষধি গাছ। এটি বাগানের সৌন্দর্য তো বাড়াবেই, সেই সঙ্গে এই গাছগুলির জন্য শরীরও থাকবে ভাল।
1/7
ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে প্রবেশ করে গিয়েছে বর্ষার মরশুম। জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। আর গাছ রোপণ করার জন্য এই ঋতুর থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে! তাই বাড়িতে যদি একফালি খালি জায়গা থাকে, তাহলে সেই জায়গায় কিংবা নিজের বাগানে রোপণ করতে পারেন এই ৬টি ঔষধি গাছ। এটি বাগানের সৌন্দর্য তো বাড়াবেই, সেই সঙ্গে এই গাছগুলির জন্য শরীরও থাকবে ভাল। আজকের প্রতিবেদনে এই উপকারী ঔষধি গাছগুলির বিষয়েই আলোচনা করে নেওয়া যাক।
ইতিমধ্যেই দেশ জুড়ে প্রবেশ করে গিয়েছে বর্ষার মরশুম। জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত। আর গাছ রোপণ করার জন্য এই ঋতুর থেকে ভাল আর কী-ই বা হতে পারে! তাই বাড়িতে যদি একফালি খালি জায়গা থাকে, তাহলে সেই জায়গায় কিংবা নিজের বাগানে রোপণ করতে পারেন এই ৬টি ঔষধি গাছ। এটি বাগানের সৌন্দর্য তো বাড়াবেই, সেই সঙ্গে এই গাছগুলির জন্য শরীরও থাকবে ভাল। আজকের প্রতিবেদনে এই উপকারী ঔষধি গাছগুলির বিষয়েই আলোচনা করে নেওয়া যাক।
advertisement
2/7
তুলসী গাছ: আয়ুর্বেদশাস্ত্রে তুলসীকে ভেষজের রানি বলে ডাকা হয়। এই গাছের সবুজ পাতা, ফুল এবং শিকড় সব অংশই ভীষণ উপকারী। প্রথমে কোকোপিটে বীজ অঙ্কুরিত করতে হবে। তার ১৫-২০ দিন পরে চারা বেরোলে সেটিকে একটি টবে রোপণ করতে হবে। গাছটি ২-৩ মাসের মধ্যেই বড় হয়ে যাবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মহেশ শর্মা জানান, সর্দি, কাশি এবং জ্বর উপশম করে তুলসী। এর মধ্যে ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদান রয়েছে। সেই সঙ্গে এটি মানসিক চাপও কমায়। এছাড়া তুলসী পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
তুলসী গাছ: আয়ুর্বেদশাস্ত্রে তুলসীকে ভেষজের রানি বলে ডাকা হয়। এই গাছের সবুজ পাতা, ফুল এবং শিকড় সব অংশই ভীষণ উপকারী। প্রথমে কোকোপিটে বীজ অঙ্কুরিত করতে হবে। তার ১৫-২০ দিন পরে চারা বেরোলে সেটিকে একটি টবে রোপণ করতে হবে। গাছটি ২-৩ মাসের মধ্যেই বড় হয়ে যাবে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক মহেশ শর্মা জানান, সর্দি, কাশি এবং জ্বর উপশম করে তুলসী। এর মধ্যে ক্যানসার প্রতিরোধকারী উপাদান রয়েছে। সেই সঙ্গে এটি মানসিক চাপও কমায়। এছাড়া তুলসী পাতার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে।
advertisement
3/7
পুদিনা পাতা: বাগানে পুদিনা গাছ থাকলে একটি শীতল সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। এই গাছ বীজ অথবা ডাল থেকে হতে পারে। পুদিনা গাছ লাগানোর জন্য দো-আঁশ মাটি ব্যবহার করতে হবে। এই গাছ হওয়ার ৪০-৫০ দিনের মধ্যে এর পাতা সংগ্রহ করা যেতে পারে। উদ্যান বিশেষজ্ঞ রমেশ কুমার বলেন যে, পুদিনা গাছ ছায়াময় কোনও জায়গায় রোপণ করা উচিত। এই গাছের পাতা হজমশক্তি উন্নত করে। সেই সঙ্গে এটি বমি-বমি ভাব এবং গ্যাস থেকেও মুক্তি দেয়। এছাড়া মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এবং মশা তাড়াতেও কার্যকর এটি।
পুদিনা পাতা: বাগানে পুদিনা গাছ থাকলে একটি শীতল সুবাস ছড়িয়ে পড়ে। এই গাছ বীজ অথবা ডাল থেকে হতে পারে। পুদিনা গাছ লাগানোর জন্য দো-আঁশ মাটি ব্যবহার করতে হবে। এই গাছ হওয়ার ৪০-৫০ দিনের মধ্যে এর পাতা সংগ্রহ করা যেতে পারে। উদ্যান বিশেষজ্ঞ রমেশ কুমার বলেন যে, পুদিনা গাছ ছায়াময় কোনও জায়গায় রোপণ করা উচিত। এই গাছের পাতা হজমশক্তি উন্নত করে। সেই সঙ্গে এটি বমি-বমি ভাব এবং গ্যাস থেকেও মুক্তি দেয়। এছাড়া মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে এবং মশা তাড়াতেও কার্যকর এটি।
advertisement
4/7
ধনে পাতা: ছোট্ট এই গাছের পাতা সূক্ষ্ম-সবুজ। যে কোনও খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। বর্ষার মরশুমে এটি চাষ করার জন্য মাটি (৫০%), গোবর সার (৪০%) এবং বালি (১০%)-র মিশ্রণ ব্যবহার করে ২৪x৬ ইঞ্চি গ্রো ব্যাগের মধ্যে ১ ইঞ্চি গভীর গর্ত করে বীজ বপন করতে হবে। এর পাতা ৪০-৫০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, কোলেস্টেরল কমাতে সক্ষম। এছাড়া ধনে পাতা লিভারের ডিটক্সিফিকেশন এবং মাসিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক।
ধনে পাতা: ছোট্ট এই গাছের পাতা সূক্ষ্ম-সবুজ। যে কোনও খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। বর্ষার মরশুমে এটি চাষ করার জন্য মাটি (৫০%), গোবর সার (৪০%) এবং বালি (১০%)-র মিশ্রণ ব্যবহার করে ২৪x৬ ইঞ্চি গ্রো ব্যাগের মধ্যে ১ ইঞ্চি গভীর গর্ত করে বীজ বপন করতে হবে। এর পাতা ৪০-৫০ দিনের মধ্যে ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, কোলেস্টেরল কমাতে সক্ষম। এছাড়া ধনে পাতা লিভারের ডিটক্সিফিকেশন এবং মাসিকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক।
advertisement
5/7
আদা গাছ: এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। বর্ষাকালে এটি চাষ করার জন্য ১২×১২ ইঞ্চির পাত্রে মাটিতে ২ ইঞ্চি গভীর গর্ত করে আদার কন্দ রোপণ করতে হবে। এতে নিয়মিত জল দিতে হবে। ঠান্ডা লাগা, জয়েন্টে ব্যথা-সহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় আদা। এর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় এটি হজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক হিসেবেও কাজ করে।
আদা গাছ: এটি শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। বর্ষাকালে এটি চাষ করার জন্য ১২×১২ ইঞ্চির পাত্রে মাটিতে ২ ইঞ্চি গভীর গর্ত করে আদার কন্দ রোপণ করতে হবে। এতে নিয়মিত জল দিতে হবে। ঠান্ডা লাগা, জয়েন্টে ব্যথা-সহ নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় আদা। এর মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় এটি হজম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বর্ধক হিসেবেও কাজ করে।
advertisement
6/7
লেমনগ্রাস গাছ: ঘাসের মতো দেখতে এই গাছটি। টবে যদি একটি গাছ লাগানো হয়, তা থেকে অনেক গাছ হয়ে যাবে। এর জন্য ভাল নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে, এমন মাটি ব্যবহার করতে হবে। এটি বারান্দা বা জানালার কাছেও রাখা যেতে পারে। এর সুগন্ধ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। লেমনগ্রাসের চা পান করলে মানসিক চাপ কমে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়। এটি মশা তাড়ানোর স্প্রে হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেমনগ্রাস গাছ: ঘাসের মতো দেখতে এই গাছটি। টবে যদি একটি গাছ লাগানো হয়, তা থেকে অনেক গাছ হয়ে যাবে। এর জন্য ভাল নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে, এমন মাটি ব্যবহার করতে হবে। এটি বারান্দা বা জানালার কাছেও রাখা যেতে পারে। এর সুগন্ধ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। লেমনগ্রাসের চা পান করলে মানসিক চাপ কমে এবং হজমশক্তি উন্নত হয়। এটি মশা তাড়ানোর স্প্রে হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
advertisement
7/7
ভূমি আমলকি: এই গাছ একবার রোপণ করলে তা সহজেই পরিবেশের সঙ্গে নিজে থেকেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাই বাগানে এটি রোপণ করা খুব সহজ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, ভূমি আমলকি লিভারকে ডিটক্স করে। শুধু তা-ই নয়, জন্ডিস এবং আর্থ্রাইটিসের জন্যও একটি দারুণ ঔষধ এটি। এছাড়া এই গাছের পাতার রস কাশি, হাঁপানি নিরাময় করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে।
ভূমি আমলকি: এই গাছ একবার রোপণ করলে তা সহজেই পরিবেশের সঙ্গে নিজে থেকেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। তাই বাগানে এটি রোপণ করা খুব সহজ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে, ভূমি আমলকি লিভারকে ডিটক্স করে। শুধু তা-ই নয়, জন্ডিস এবং আর্থ্রাইটিসের জন্যও একটি দারুণ ঔষধ এটি। এছাড়া এই গাছের পাতার রস কাশি, হাঁপানি নিরাময় করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও উন্নত করে।
advertisement
advertisement
advertisement