Mixer Stone Remedy: ১ মিনিটে শিলনোড়া ধার দিন নিজেই! শিখে নিন নির্ঝঞ্ঝাট, সহজ, চটজলদি নিয়ম...

কিছুটা হারিয়ে যেতে বসলেও বাঙালির রান্নাঘরে আজও শোভা পায় শিলনোড়া। কারণ অনেকেই রান্নায় গুঁড়ো মশলার চেয়ে বাটা মশলাতেই ভরসা রাখেন বেশি। আর তার জন্য দরকার শিলনোড়া।

শিলনোড়া বলতে আমরা দুটো পাথরের টুকরোকে বুঝি। একটা সাধারণত আয়তাকার সমতল চ্যাপ্টা হয় আর একটা বেলন আকৃতির হয়, একটু সরু গোল যার উপর দুটো হাতের মুঠো অনায়াসে রাখা যায়।

আয়তাকার পাথরের নানা সাইজ হয় যা সাধারণত সংসারে কটা মাথা, কত রান্না হয় এসব ভেবে কেনা হত, একে শিল বলা হয়। আর বেলন আকারের পাথরকে নোড়া বলা হয়। নোড়া মোটামুটি এক সাইজের হয়।

শিলের উপর নোড়া দিয়ে ঘষে ঘষে মসলা পেষা হয়। অনেকে শিলবাটা বা শিলপাটাও বলেন শিলনোড়াকে। হরিয়ানা, গুজরাত এমন অনেক রাজ্যেই শিলনোড়ার ব্যবহার আছে তবে সেখানে বাটার জন্য যে নোড়া ব্যবহার করা হয় সেটা গোল নয় একটা ত্রিকোণাকার পাথর।

আধুনিক জীবনে আজকাল গৃহস্থলীর কাজকে সহজ করতে অনেক বিকল্প পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে ঠিকই। আর তারই ধারাবাহিকতায় মশলা বাটার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ব্লেন্ডার মেশিন। তবে শিলনোড়ার গ্রহণযোগ্যতা একেবারে হারিয়েছে এমনটাও নয়।

যতই ব্লেন্ডার থাকুক নানা পদের ভর্তা আর বাটা মশলা বানাতে শিলনোড়া ছাড়া চলেই না। আর শিল-পাটার ধার কমে গেলে মশলা পিষে নেওয়া বেশ কষ্টকর হয়। সেক্ষেত্রে ধার করার লোক খুঁজতে হয়। বা বাজারে নিয়ে গিয়ে ধার করতে হয় তাঁদের থেকে।

কিন্তু সেই কাজ যদি নিজেই করে নেওয়া যায়? চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক বাড়িতেই কী ভাবে ধার করবেন শিলনোড়া - প্রথমে মেঝেতে একটি মোটা কাপড় বা তোয়ালের উপর শিলনোড়া বসিয়ে নিন। হাতুড়ি এবং বড় স্ক্রু অথবা গজাল নিন।

নোড়াটির পুরনো গর্তগুলির খোদাইয়ের মধ্যে খানিকটা বাঁকা করে স্ক্রু ধরুন এবং অল্প অল্প করে হাতুড়ি দিয়ে ঠুকুন। চাইলে নতুন করেও গর্ত করতে পারেন। ঘন ঘন গর্ত করতে হবে, নোড়া বা পাটা গর্ত হয়ে গেলে একইভাবে শিলেও ধার দিয়ে নিন।

সতর্কতা : শিলনোড়া ধার করার সময় চোখে বড় চশমা অথবা সানগ্লাস পরে নেবেন অবশ্যই। নাহলে ছোট ছোট পাথরের টুকরা ছিটকে চোখে যেতে পারে। হাতে গ্লাভসও পড়ে নিতে পারেন।