Martinburn Rail:১৯০৫-এ পথচলা শুরু, মার্টিনবার্ন রেল যা ছুঁয়ে যায় বসিরহাটের ইতিহাস

Last Updated:
কলকাতার অভ্যন্তরস্থ ও পারিপার্শ্বিক অনুন্নত অঞ্চলগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে ইংরেজ আমলে রেল লাইন স্থাপিত হয়। ব্রিটিশ-বাঙালি যৌথ মালিকানায় গড়ে উঠেছিল মার্টিন লাইট রেলওয়ে।
1/7
পিঁ করে বাঁশি বাজল–নড়ে উঠল মার্টিনের রেল। তারপর ভোঁস ভোঁস করে ধোঁয়া ছেড়ে এর রান্নাঘর, ওর ভাঁড়ার-ঘরের পাশ দিয়ে গাড়ি চলল। এই স্মৃতি কথা মার্টিনবার্ন রেলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
পিঁ করে বাঁশি বাজল–নড়ে উঠল মার্টিনের রেল। তারপর ভোঁস ভোঁস করে ধোঁয়া ছেড়ে এর রান্নাঘর, ওর ভাঁড়ার-ঘরের পাশ দিয়ে গাড়ি চলল। এই স্মৃতি কথা মার্টিনবার্ন রেলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
advertisement
2/7
ঐতিহাসিক নগরী কলকাতার অভ্যন্তরস্থ ও পারিপার্শ্বিক অনুন্নত অঞ্চলগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে ইংরেজ আমলে রেল লাইন স্থাপিত হয়। ব্রিটিশ-বাঙালি যৌথ মালিকানায় গড়ে উঠেছিল মার্টিন লাইট রেলওয়ে।
ঐতিহাসিক নগরী কলকাতার অভ্যন্তরস্থ ও পারিপার্শ্বিক অনুন্নত অঞ্চলগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে ইংরেজ আমলে রেল লাইন স্থাপিত হয়। ব্রিটিশ-বাঙালি যৌথ মালিকানায় গড়ে উঠেছিল মার্টিন লাইট রেলওয়ে।
advertisement
3/7
লেখক বিশ্বজিৎ বন্দোপাধ্যায় জানান, সেই সময়কাল থেকেই হাওড়া, হুগলি, চব্বিশ পরগনার বিস্তৃত অঞ্চলের প্রচুর মানুষজন কাজের সূত্রে কলকাতা যাতায়াত করেন, কিন্তু তাঁদের জন্য কোনও সস্তা সুগম যাতায়াত ব্যবস্থা নেই। সেই অভাব দূর করতেই মার্টিন রেলের গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছিল বারাসত-বসিরহাট লাইট রেলওয়ে।
লেখক বিশ্বজিৎ বন্দোপাধ্যায় জানান, সেই সময়কাল থেকেই হাওড়া, হুগলি, চব্বিশ পরগনার বিস্তৃত অঞ্চলের প্রচুর মানুষজন কাজের সূত্রে কোলকাতা যাতায়াত করেন, কিন্তু তাঁদের জন্য কোনও সস্তা সুগম যাতায়াত ব্যবস্থা নেই। সেই অভাব দূর করতেই মার্টিন রেলের গুরুত্বপূর্ণ শাখা ছিল বারাসত-বসিরহাট লাইট রেলওয়ে।
advertisement
4/7
চব্বিশ পরগনা জেলার এই বর্ধিষ্ণু জনপদকে রেললাইনের মাধ্যমে যুক্ত করার এই প্রয়াস ছিল ঐতিহাসিক। ১৯০৫ সালে বারাসত থেকে বসিরহাট ২৬ মাইল দীর্ঘ এই রেলপথের সূচনা হয়। এর পর টাকি এবং ইছামতী-তীরবর্তী হাসনাবাদ পর্যন্ত দু’টি এক্সটেনশন লাইন যুক্ত করা হয়েছিল।
চব্বিশ পরগনা জেলার এই বর্ধিষ্ণু জনপদকে রেললাইনের মাধ্যমে যুক্ত করার এই প্রয়াস ছিল ঐতিহাসিক। ১৯০৫ সালে বারাসত থেকে বসিরহাট ২৬ মাইল দীর্ঘ এই রেলপথের সূচনা হয়। এর পর টাকি এবং ইছামতী-তীরবর্তী হাসনাবাদ পর্যন্ত দু’টি এক্সটেনশন লাইন যুক্ত করা হয়েছিল।
advertisement
5/7
এর পর রেলে যাত্রীর সংখ্যা অতি দ্রুত বৃদ্ধির কারণে ১৯০৮ সালে এই লাইনেই শ্যামবাজার শাখা খোলা হয়। গোটা উত্তর এবং পূর্ব কলকাতা ছুঁয়ে চলত এই মার্টিন রেল। শ্যামবাজার থেকে শুরু হয়ে পাতিপুকুর, বাগুইআটি, হাতিয়ারা, রাজারহাট, লাঙলপোতা, হাড়োয়াখোল, খড়িবেড়ি, আমিনপুর, বেলেঘাটা জংশন হয়ে এই ট্রেন পৌঁছত হাসনাবাদ।
এর পর রেলে যাত্রীর সংখ্যা অতি দ্রুত বৃদ্ধির কারণে ১৯০৮ সালে এই লাইনেই শ্যামবাজার শাখা খোলা হয়। গোটা উত্তর এবং পূর্ব কলকাতা ছুঁয়ে চলত এই মার্টিন রেল। শ্যামবাজার থেকে শুরু হয়ে পাতিপুকুর, বাগুইআটি, হাতিয়ারা, রাজারহাট, লাঙলপোতা, হাড়োয়াখোল, খড়িবেড়ি, আমিনপুর, বেলেঘাটা জংশন হয়ে এই ট্রেন পৌঁছত হাসনাবাদ।
advertisement
6/7
নিত্যযাত্রী ছাড়াও কাঠ, পাট, মাছ, দুধ, মাদুর ও কৃষিজ পণ্যও নিয়ে যেত এই লাইনের গাড়িগুলি। বাষ্প-ইঞ্জিনচালিত পাঁচ কামরাবিশিষ্ট এই ধীরগতির ট্রেনে শ্যামবাজার থেকে বসিরহাট পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগত সাড়ে চার ঘণ্টা। কিন্তু খুব দ্রুত শ্যামবাজার থেকে বাস-পরিষেবা চালু হয়। ট্রেনের চেয়ে ঢের কম সময়ে এবং কম খরচে বাসে চড়ে মানুষ পৌঁছতেন গন্তব্যে।
নিত্যযাত্রী ছাড়াও কাঠ, পাট, মাছ, দুধ, মাদুর ও কৃষিজ পণ্যও নিয়ে যেত এই লাইনের গাড়িগুলি। বাষ্প-ইঞ্জিনচালিত পাঁচ কামরাবিশিষ্ট এই ধীরগতির ট্রেনে শ্যামবাজার থেকে বসিরহাট পর্যন্ত পৌঁছতে সময় লাগত সাড়ে চার ঘণ্টা। কিন্তু খুব দ্রুত শ্যামবাজার থেকে বাস-পরিষেবা চালু হয়। ট্রেনের চেয়ে ঢের কম সময়ে এবং কম খরচে বাসে চড়ে মানুষ পৌঁছতেন গন্তব্যে।
advertisement
7/7
লোকমুখে বলা হত, ‘মার্টিন গাড়ি’ বা ‘ছোটগাড়ি’। কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কারও বাগান বা কারও উঠোনের সামনে দিয়ে চলত ছয় কামরার ট্রেন। পরবর্তীতে শ্যামবাজার-বসিরহাট বাস পরিষেবা চালু হতেই ‘ছোটগাড়ি’র যাত্রী কমতে শুরু করে।
লোকমুখে বলা হতো ‘মার্টিন গাড়ি’ বা ‘ছোটগাড়ি’। কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কারও বাগান বা কারও উঠোনের সামনে দিয়ে চলত ছয় কামরার ট্রেন। পরবর্তীতে শ্যামবাজার-বসিরহাট বাস পরিষেবা চালু হতেই ‘ছোটগাড়ি’র যাত্রী কমতে শুরু করে।
advertisement
advertisement
advertisement