হৃদরোগকে টাটা বাই বাই, ক্যানসারের 'মহৌষধ'! বিরল 'এই' ফল এবার মিলবে বাংলাতেই, জানুন

Last Updated:
গবেষণায় প্রমাণিত, এটি ক্যানসার, হৃদরোগ ও রক্তজমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফলে একদিকে যেমন এটি খাদ্যরসিকদের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনই স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছেও সমান জনপ্রিয়।
1/7
শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্য : শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কয়েকদিন আগে একটি বিশেষ দৃশ্য দেখা গেল। থাইল্যান্ড থেকে আনা ছোট্ট কিছু চারা গাছ, আর সেই চারাগুলোকে যত্ন করে মাটিতে বসাচ্ছেন গবেষকরা। এগুলো সাধারণ কোনো ফলের চারা নয়, এগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিরল ফল ম্যাঙ্গোস্টিন, যাকে বলা হয় ‘ফলরানি’। উত্তরবঙ্গের মাটিতে এই প্রথম শুরু হলো তার পরীক্ষামূলক চাষ।
<strong>শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্য</strong>: শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কয়েকদিন আগে একটি বিশেষ দৃশ্য দেখা গেল। থাইল্যান্ড থেকে আনা ছোট্ট কিছু চারা গাছ, আর সেই চারাগুলোকে যত্ন করে মাটিতে বসাচ্ছেন গবেষকরা। এগুলো সাধারণ কোনও ফলের চারা নয়, এগুলো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিরল ফল ম্যাঙ্গোস্টিন, যাকে বলা হয় ‘ফলরানি’। উত্তরবঙ্গের মাটিতে এই প্রথম শুরু হল তার পরীক্ষামূলক চাষ।
advertisement
2/7
ম্যাঙ্গোস্টিন ভারতেও খুব একটা সহজলভ্য নয়। কেবল কেরালা ও তামিলনাড়ুর কিছু অঞ্চলে সীমিত পরিসরে এর চাষ হয়। দামি, বিরল আর সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এই ফলের রয়েছে অসাধারণ ঔষধিগুণ। গবেষণায় প্রমাণিত, এটি ক্যানসার, হৃদরোগ ও রক্তজমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফলে একদিকে যেমন এটি খাদ্যরসিকদের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনি স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছেও সমান জনপ্রিয়। ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
ম্যাঙ্গোস্টিন ভারতেও খুব একটা সহজলভ্য নয়। কেবল কেরালা ও তামিলনাড়ুর কিছু অঞ্চলে সীমিত পরিসরে এর চাষ হয়। দামি, বিরল আর সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এই ফলের রয়েছে অসাধারণ ঔষধিগুণ। গবেষণায় প্রমাণিত, এটি ক্যানসার, হৃদরোগ ও রক্তজমাট বাঁধার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ফলে একদিকে যেমন এটি খাদ্যরসিকদের কাছে আকর্ষণীয়, তেমনই স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছেও সমান জনপ্রিয়।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
3/7
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের Centre for Floriculture and Agri-Business Management (COFAM)-এর উদ্যোগে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু হয়েছে। অধ্যাপক অমরেন্দ্র পান্ডে জানালেন, “আমরা আসলে পরীক্ষা করতে চাই উত্তরবঙ্গের জলবায়ু ও মাটিতে ম্যাঙ্গোস্টিন কতটা ভালো জন্মায়। যদি সফল হই, তবে স্থানীয় কৃষকদের এই ফলের চাষে প্রশিক্ষণ দিয়ে আয়ের নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া যাবে।” ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের Centre for Floriculture and Agri-Business Management (COFAM)-এর উদ্যোগে এই পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু হয়েছে। অধ্যাপক অমরেন্দ্র পান্ডে জানালেন, “আমরা আসলে পরীক্ষা করতে চাই উত্তরবঙ্গের জলবায়ু ও মাটিতে ম্যাঙ্গোস্টিন কতটা ভাল জন্মায়। যদি সফল হই, তবে স্থানীয় কৃষকদের এই ফলের চাষে প্রশিক্ষণ দিয়ে আয়ের নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া যাবে।”ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
4/7
চারা থেকে অঙ্কুরোদ্গম হতে যেখানে লাগে ২১-২৫ দিন, সেখানে পূর্ণবয়স্ক ফলদায়ক গাছে পরিণত হতে লেগে যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর। তাই এটা দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ হলেও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বিরাট। ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
চারা থেকে অঙ্কুরোদ্গম হতে যেখানে লাগে ২১-২৫ দিন, সেখানে পূর্ণবয়স্ক ফলদায়ক গাছে পরিণত হতে লেগে যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর। তাই এটা দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ হলেও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা বিরাট।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
5/7
শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ না রেখে ম্যাঙ্গোস্টিনকে সাধারণ মানুষের কাছেও তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৩ আগস্ট শিলিগুড়িতে আয়োজিত হবে একটি বিশেষ ম্যাঙ্গোস্টিন ফুড ফেস্টিভ্যাল। সেখানে মানুষ প্রথমবারের মতো এই বিরল ফল দেখবে, ছুঁয়ে দেখবে এবং স্বাদও নেবে। ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
শুধু গবেষণাগারে সীমাবদ্ধ না রেখে ম্যাঙ্গোস্টিনকে সাধারণ মানুষের কাছেও তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৩ আগস্ট শিলিগুড়িতে আয়োজিত হবে একটি বিশেষ ম্যাঙ্গোস্টিন ফুড ফেস্টিভ্যাল। সেখানে মানুষ প্রথমবারের মতো এই বিরল ফল দেখবে, ছুঁয়ে দেখবে এবং স্বাদও নেবে।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
6/7
এর আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সফলভাবে একাধিক বিদেশি ফল চাষ করেছে। তাই ম্যাঙ্গোস্টিন নিয়েও কর্মকর্তারা যথেষ্ট আশাবাদী। অধ্যাপক পান্ডে বললেন, “আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগ সফল হলে কৃষকেরা বিপুলভাবে লাভবান হবেন। আর উত্তরবঙ্গও পাবে নতুন কৃষিপণ্য, যা বাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি করবে।” ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
এর আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সফলভাবে একাধিক বিদেশি ফল চাষ করেছে। তাই ম্যাঙ্গোস্টিন নিয়েও কর্মকর্তারা যথেষ্ট আশাবাদী। অধ্যাপক পান্ডে বললেন, “আমাদের বিশ্বাস এই উদ্যোগ সফল হলে কৃষকেরা বিপুলভাবে লাভবান হবেন। আর উত্তরবঙ্গও পাবে নতুন কৃষিপণ্য, যা বাজারে বাড়তি চাহিদা তৈরি করবে।”ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
7/7
মাটিতে ছোট্ট চারাগুলো এখনো খুবই নাজুক। তবে গবেষক ও কৃষকদের চোখে সেই চারাগুলোই আগামী দিনের আশার আলো। কে জানে, কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তো উত্তরবঙ্গের বাজারে মিলবে নিজস্ব মাটিতে জন্মানো ‘ফলরানি’ ম্যাঙ্গোস্টিন। ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
মাটিতে ছোট্ট চারাগুলো এখনও খুবই নাজুক। তবে গবেষক ও কৃষকদের চোখে সেই চারাগুলোই আগামী দিনের আশার আলো। কে জানে, কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তো উত্তরবঙ্গের বাজারে মিলবে নিজস্ব মাটিতে জন্মানো ‘ফলরানি’ ম্যাঙ্গোস্টিন।ছবি ও তথ্য : ঋত্বিক ভট্টাচার্য
advertisement
advertisement
advertisement